ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নারী সাংবাদিকতার এক আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনাকে কোনো দেশ গ্রহণ করেননি ভারত করেছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন? সিরাজদিখানে রাতের অধারে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ বরগুনায় বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘মব-সন্ত্রাস’ বন্ধসহ চার দাবিতে গাইবান্ধায় সিপিবির বিক্ষোভ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে, সড়ক নেই — চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, সেলাই করলেন ওয়ার্ড বয়! মাগুরার মহম্মদপুরে শিক্ষক হান্নানের ক্লাস বর্জনের অভিযোগ

সিভিল সার্জনের সিদ্ধান্তে তিন বছর উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত রোগীরা!

সরকারি হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। রোগী প্রতি বরাদ্দ ছিল ১২৫ টাকা। কিন্তু এই টাকায় একজন রোগীর তিনবেলা ভারপুর খাবারে যথেষ্ট নয় বিধায় ২০২২ সালে সরকার ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু সরকারের এই আদেশ বাস্তবায়ন করেনি সাতক্ষীরা জেলার তৎকালীন সিভিল সার্জন। ফলে সিদ্ধান্তটি আটকে যায়। সিভিল সার্জন আদেশটি বাস্তবায়ন না করায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার নজরুল ইসলাম রোগীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য সচিব বরাবর আবেদন করেন। সচিব আবেদনটি গ্রহন করেন ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখায় পত্রটি প্রেরণ করেন। সেই আলোকে সরকারি আদেশ কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কাছে সেটির ব্যাখ্যা চান। সিভিল সার্জন সাতক্ষীরা ২০২৩ সালের ৩ মে মন্ত্রনালয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, দৈনিক রোগী প্রতি ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন টেন্ডার কার্যক্রমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পূর্বের ঠিকাদার কর্তৃক পূর্বে দেওয়া দর অনুযায়ী নতুন বরাদ্দ মোতাবেক খাদ্য পথ্য গ্রহন করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত/দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রানালয়কে অনুরোধ জানান।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের প্রেরিত ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে সচিব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা ১ শাখা ২০২৩ সালের ৬ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দিক নির্দেশনা প্রদান পূর্বক প্রেরিত পত্রের ৪ নং ক্রমিকে নির্দেশনা প্রদান করেন যে, পিপিএ ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮ এবং অর্থ বিভাগের ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টম্বর ও সেই মূলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তারিখের পত্রের সিধান্ত অনুযায়ী রোগীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ, পত্রের তিন নং ক্রমিকে সিভিল সার্জনের ব্যাখ্যার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উল্লেখিত পত্রের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা সিভিল সার্জন সাতক্ষীরাকে মন্ত্রনালয়ের আদেশ অমান্য করে নির্দেশনা প্রদান করেন যে, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দৈনিক রোগী প্রতি ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা খাদ্য সরবরাহ গ্রহন করা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এই আদেশের বিরুদ্ধে সরবরাহকারী নজরুল ইসলাম রোগীদের স্বার্থ রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের হাইর্কোট বিভাগে রিট পিটিশান দাখিল করেন। ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহ দীর্ঘ শুনানী শেষে স্বাস্থ্য সচিবকে ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকার খাদ্য পথ্য সরবরাহের জন্য মি. নজরুল ইসলামের মন্ত্রনালয়ের ০৩/০৯/২০২৩ তারিখে আবেদনটি ৪৫ দিনের মধ্য নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে নির্দেশনার প্রদানের জন্য সরবরাহকারী নজরুল ইসলাম আবেদন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আইন-১/২ শাখা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখাকে ১৭৫ টাকা বরাদ্দ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। অর্থ মন্ত্রনালয়ের মতামত গ্রহন করার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা পদক্ষেপ নেয়।
গেল ২০ জানুয়ারি নন কোভিট রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য রোগী প্রতি ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকার জারিকৃত আদেশ বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা সভিল সার্জনকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপ সচিব শাহাদত হোসেন কবির। এরই মধ্যে নির্দেশনার পত্রটি পত্রটি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন দপ্তর হাতে পেয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আদেশ ও সরবরাহকারী নজরুল ইসলামের দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ে প্রমাণিত হয়েছে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই হাসপাতালের রোগীদের ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকার খাদ্য গ্রহণ বৈধ ছিল। তবে এই সিদ্ধান্তে আসতে সময় কেঁটেছে প্রায় তিন বছর। এই সময়ে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ভরপেট খাবার গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করেছেন সাবেক সিভিল সার্জন। যে মামলার কারণে টেন্ডার কার্যক্রমে বাঁধা সেই মামলা রোগীদের ১৭৫ টাকার খাদ্য গ্রহণের জন্য বাঁধা ছিল না। সরকারের সিদ্ধান্ত আগেই বাস্তবায়ন করেছিল তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার বাকি ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন করেনি।
এদিকে, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি দালাল চক্রের খবর পাওয়া গেছে। যে চক্রটি হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহে নতুন টেন্ডার করাতে রোগীদের খাদ্য নয় ছয় করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমানে পূর্বের দরে খাদ্য গ্রহণ করা হয় হাসপাতালটিতে। এতে রোগী রোগীরা বেশী খাবার পাচ্ছেন। বর্তমান বাজারদরে টেন্ডার হলে ১৭৫ টাকায় এর অর্ধেক খাবার পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পূর্বের দরপত্রে খাবার গ্রহণ করায় সরকার ও রোগী উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সিভিল সার্জনের সিদ্ধান্তে তিন বছর উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত রোগীরা!

আপডেট টাইম : ০৫:১৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সরকারি হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। রোগী প্রতি বরাদ্দ ছিল ১২৫ টাকা। কিন্তু এই টাকায় একজন রোগীর তিনবেলা ভারপুর খাবারে যথেষ্ট নয় বিধায় ২০২২ সালে সরকার ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু সরকারের এই আদেশ বাস্তবায়ন করেনি সাতক্ষীরা জেলার তৎকালীন সিভিল সার্জন। ফলে সিদ্ধান্তটি আটকে যায়। সিভিল সার্জন আদেশটি বাস্তবায়ন না করায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার নজরুল ইসলাম রোগীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য সচিব বরাবর আবেদন করেন। সচিব আবেদনটি গ্রহন করেন ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখায় পত্রটি প্রেরণ করেন। সেই আলোকে সরকারি আদেশ কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কাছে সেটির ব্যাখ্যা চান। সিভিল সার্জন সাতক্ষীরা ২০২৩ সালের ৩ মে মন্ত্রনালয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, দৈনিক রোগী প্রতি ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন টেন্ডার কার্যক্রমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পূর্বের ঠিকাদার কর্তৃক পূর্বে দেওয়া দর অনুযায়ী নতুন বরাদ্দ মোতাবেক খাদ্য পথ্য গ্রহন করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত/দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রানালয়কে অনুরোধ জানান।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের প্রেরিত ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে সচিব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা ১ শাখা ২০২৩ সালের ৬ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দিক নির্দেশনা প্রদান পূর্বক প্রেরিত পত্রের ৪ নং ক্রমিকে নির্দেশনা প্রদান করেন যে, পিপিএ ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮ এবং অর্থ বিভাগের ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টম্বর ও সেই মূলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তারিখের পত্রের সিধান্ত অনুযায়ী রোগীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ, পত্রের তিন নং ক্রমিকে সিভিল সার্জনের ব্যাখ্যার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উল্লেখিত পত্রের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা সিভিল সার্জন সাতক্ষীরাকে মন্ত্রনালয়ের আদেশ অমান্য করে নির্দেশনা প্রদান করেন যে, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দৈনিক রোগী প্রতি ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা খাদ্য সরবরাহ গ্রহন করা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এই আদেশের বিরুদ্ধে সরবরাহকারী নজরুল ইসলাম রোগীদের স্বার্থ রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের হাইর্কোট বিভাগে রিট পিটিশান দাখিল করেন। ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহ দীর্ঘ শুনানী শেষে স্বাস্থ্য সচিবকে ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকার খাদ্য পথ্য সরবরাহের জন্য মি. নজরুল ইসলামের মন্ত্রনালয়ের ০৩/০৯/২০২৩ তারিখে আবেদনটি ৪৫ দিনের মধ্য নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে নির্দেশনার প্রদানের জন্য সরবরাহকারী নজরুল ইসলাম আবেদন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আইন-১/২ শাখা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখাকে ১৭৫ টাকা বরাদ্দ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। অর্থ মন্ত্রনালয়ের মতামত গ্রহন করার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা পদক্ষেপ নেয়।
গেল ২০ জানুয়ারি নন কোভিট রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য রোগী প্রতি ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকার জারিকৃত আদেশ বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা সভিল সার্জনকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপ সচিব শাহাদত হোসেন কবির। এরই মধ্যে নির্দেশনার পত্রটি পত্রটি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন দপ্তর হাতে পেয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আদেশ ও সরবরাহকারী নজরুল ইসলামের দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ে প্রমাণিত হয়েছে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই হাসপাতালের রোগীদের ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকার খাদ্য গ্রহণ বৈধ ছিল। তবে এই সিদ্ধান্তে আসতে সময় কেঁটেছে প্রায় তিন বছর। এই সময়ে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ভরপেট খাবার গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করেছেন সাবেক সিভিল সার্জন। যে মামলার কারণে টেন্ডার কার্যক্রমে বাঁধা সেই মামলা রোগীদের ১৭৫ টাকার খাদ্য গ্রহণের জন্য বাঁধা ছিল না। সরকারের সিদ্ধান্ত আগেই বাস্তবায়ন করেছিল তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার বাকি ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন করেনি।
এদিকে, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি দালাল চক্রের খবর পাওয়া গেছে। যে চক্রটি হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহে নতুন টেন্ডার করাতে রোগীদের খাদ্য নয় ছয় করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমানে পূর্বের দরে খাদ্য গ্রহণ করা হয় হাসপাতালটিতে। এতে রোগী রোগীরা বেশী খাবার পাচ্ছেন। বর্তমান বাজারদরে টেন্ডার হলে ১৭৫ টাকায় এর অর্ধেক খাবার পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পূর্বের দরপত্রে খাবার গ্রহণ করায় সরকার ও রোগী উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।