ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি থামলেও রাস্তার পানি শুকায় না! ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবে বিএনপি – আমিনুল হক অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা বিতরণ জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে আবার যোগ দিল গণফোরাম-সিপিবি গিভিংটুইসডে মুভমেন্টের কমিউনিটি ডিরেক্টর হলেন হাসান মাহামুদ দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, প্রস্তুত গুলশানে বাড়ি সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ! বহাল তবিয়তে আছেন আওয়ামী সুবিধাভোগী প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল হক! শরীয়তপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

আটকে পড়া ৭ হাজার ৯৬৪ বাংলাদেশি কর্মীদের নিতে রাজি মালয়েশিয়া

আব্দুল্লাহ আল শাফী, নিজস্ব প্রতিবেদক-
বাংলাদেশের প্রায় ১৮ হাজার কর্মীর গত বছর ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। নানা জটিলতায় তাদের যাওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ জন প্রথম ধাপে দেশটিতে যেতে পারবেন। আর বাদ পড়া বাকি ১০ হাজার কর্মীর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

মালয়েশিয়া সরকার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনকে এসব কথা জানিয়েছে।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ সোমবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

মুখপাত্র বলেন, ১৮ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইলকে জানান।
সাইফুদ্দিন পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের কর্মীদের নেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করতে হাইকমিশন ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। এই কমিটি গত এক মাসে দুটি বৈঠকে বসে। মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কমিটি ১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ জনকে প্রথম ধাপে দেশটিতে যাওয়ার জন্য বাছাই করে।

কবে নাগাদ ও কীভাবে এই ৭ হাজার ৯৬৪ জন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারবেন, এই প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, এটা কারিগরি কমিটি ঠিক করছে।

কীভাবে এই ৭ হাজার ৯৬৪ জন কর্মীকে বাছাই করা হয়েছে, এমন প্রশ্নে একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক আজকের পত্রিকাকে জানান, গত বছর মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে যেসব কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার বৈধ ভিসা ছিল, তাদের এ তালিকায় নেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে যতটা সম্ভব কম খরচে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টকে যুক্ত করা হবে না।

১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে বাদ পড়া আরও ১০ হাজার কর্মীর কী হবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কূটনীতিক বলেন, ৭ হাজার ৯৬৪ জনের যাওয়া চূড়ান্ত হয়ে গেলে বাকিদের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি থামলেও রাস্তার পানি শুকায় না!

আটকে পড়া ৭ হাজার ৯৬৪ বাংলাদেশি কর্মীদের নিতে রাজি মালয়েশিয়া

আপডেট টাইম : ০২:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

আব্দুল্লাহ আল শাফী, নিজস্ব প্রতিবেদক-
বাংলাদেশের প্রায় ১৮ হাজার কর্মীর গত বছর ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। নানা জটিলতায় তাদের যাওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ জন প্রথম ধাপে দেশটিতে যেতে পারবেন। আর বাদ পড়া বাকি ১০ হাজার কর্মীর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

মালয়েশিয়া সরকার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনকে এসব কথা জানিয়েছে।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ সোমবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

মুখপাত্র বলেন, ১৮ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইলকে জানান।
সাইফুদ্দিন পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের কর্মীদের নেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করতে হাইকমিশন ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। এই কমিটি গত এক মাসে দুটি বৈঠকে বসে। মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কমিটি ১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ জনকে প্রথম ধাপে দেশটিতে যাওয়ার জন্য বাছাই করে।

কবে নাগাদ ও কীভাবে এই ৭ হাজার ৯৬৪ জন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারবেন, এই প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, এটা কারিগরি কমিটি ঠিক করছে।

কীভাবে এই ৭ হাজার ৯৬৪ জন কর্মীকে বাছাই করা হয়েছে, এমন প্রশ্নে একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক আজকের পত্রিকাকে জানান, গত বছর মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে যেসব কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার বৈধ ভিসা ছিল, তাদের এ তালিকায় নেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে যতটা সম্ভব কম খরচে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টকে যুক্ত করা হবে না।

১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে বাদ পড়া আরও ১০ হাজার কর্মীর কী হবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কূটনীতিক বলেন, ৭ হাজার ৯৬৪ জনের যাওয়া চূড়ান্ত হয়ে গেলে বাকিদের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।