ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের মামলায় কারাগারে আদমদীঘির পিআইও

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি-
স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় কারাগারে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) কাওছার আলী। রবিবার দুপুরে হাজিরা দিতে গিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন সিরাজগঞ্জ জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আইভীন আক্তার। কাওছার আলী আদমদীঘি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ও সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার চরকাদহ গ্রামের ছমের আলী খন্দকারের ছেলে।
জানা যায়, কয়েকবছর ধরে কাওছার আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী আসমা খাতুনের সংসার জীবন নিয়ে কলহ চলছিলো। মাঝেমধ্যে স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন তিনি। এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন কাওছার আলী। এরপর আবারো তাকে প্রলোভন দেখিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে শ্বশুর বাড়ি কাজীপুরে নিয়ে এসে পুনরায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেন তিনি। এরপর থেকে তাদের মধ্যে দুরত্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আইনগত সহায়তার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন স্ত্রী আসমা খাতুন। এ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যৌতুকের মামলায় কারাগারে আদমদীঘির পিআইও

আপডেট টাইম : ০১:০৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি-
স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় কারাগারে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) কাওছার আলী। রবিবার দুপুরে হাজিরা দিতে গিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন সিরাজগঞ্জ জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আইভীন আক্তার। কাওছার আলী আদমদীঘি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ও সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার চরকাদহ গ্রামের ছমের আলী খন্দকারের ছেলে।
জানা যায়, কয়েকবছর ধরে কাওছার আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী আসমা খাতুনের সংসার জীবন নিয়ে কলহ চলছিলো। মাঝেমধ্যে স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন তিনি। এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন কাওছার আলী। এরপর আবারো তাকে প্রলোভন দেখিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে শ্বশুর বাড়ি কাজীপুরে নিয়ে এসে পুনরায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেন তিনি। এরপর থেকে তাদের মধ্যে দুরত্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আইনগত সহায়তার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন স্ত্রী আসমা খাতুন। এ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।