ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী কোন কাজের জন্য কত টাকা ঘুষ, সভা ডেকে জানালো শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি মাগুরা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজের ‘ভাউচার’ কান্ডে সরকারী টাকা হরিলুট! মাগুরায় আছিয়ার কবর জিয়ারত করলেন আমিরে জামায়াত ডঃ শফিকুর রহমান বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব ও মাতৃজগত পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ মাগুরায় আছিয়ার ধর্ষকের বাড়িতে আগুন দিল বিক্ষুদ্ধ জনতা জয়পুরহাটে দুর্বৃত্তের হামলায় ছাত্রদল নেতা গুরুতরত যখম পুলিশ বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ- আইজিপি গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মশালা গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গভীরতর করবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সান্তাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা এখন বৈষম্যবিরোধী কমিটিতে

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঠিত ওই কমিটিতে তাকে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রাখা হয়। আর এতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন উক্ত কমিটির দায়িত্বরতা। অপরদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সম্মুখ সারির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কমিটিতে স্থান পাওয়া ওই নেতার নাম মেরাজ হোসেন। তিনি সান্তাহার সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ছিলেন। এবং সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার আদর্শ পাড়ার মিঠুর ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সান্তাহার কলেজে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ করে আসছিলেন মেরাজ হোসেন। ২০২৩ সালে সান্তাহার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের রাজন কান্দিদাসকে সভাপতি ও রাফিউল ইসলাম বাঁধনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের স্বাক্ষরিত একপত্রে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটি তালিকায় ২৯ নাম্বারে উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেরাজকে। এরপর থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা সেমিনার ও দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন তিনি। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতন হলে খোলস পাল্টে দল বদল করে। পরে ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে বৈষম্যবিরোধী

নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন৷ আস্তে আস্তে তাদের মন জয় করে বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে স্থান নেয়। গত ৩০ জানুয়ারি বগুড়া জেলা শাখায় গঠিত কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে তাকে রাখা হয়। ফলে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ করতো। দল পরিবর্তনের সঙ্গে সেও নিজেকে পরিবর্তন করেছে। তার ছাত্রলীগ করা নাম তালিকা রয়েছে। দলীয় প্রোগ্রামে রবিনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরদের সাথে কাজ করতো। পরে বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে নাম দেখে হতভাগ হয়েছি।

অভিযুক্ত মেরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।

বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির আহবায়ক মাহমুদুল হাসান জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের গঠিত কমিটিতে আছে। যদি ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে নাম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী

সান্তাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা এখন বৈষম্যবিরোধী কমিটিতে

আপডেট টাইম : ০৩:০৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঠিত ওই কমিটিতে তাকে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রাখা হয়। আর এতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন উক্ত কমিটির দায়িত্বরতা। অপরদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সম্মুখ সারির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কমিটিতে স্থান পাওয়া ওই নেতার নাম মেরাজ হোসেন। তিনি সান্তাহার সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ছিলেন। এবং সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার আদর্শ পাড়ার মিঠুর ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সান্তাহার কলেজে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ করে আসছিলেন মেরাজ হোসেন। ২০২৩ সালে সান্তাহার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের রাজন কান্দিদাসকে সভাপতি ও রাফিউল ইসলাম বাঁধনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের স্বাক্ষরিত একপত্রে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটি তালিকায় ২৯ নাম্বারে উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেরাজকে। এরপর থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা সেমিনার ও দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন তিনি। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতন হলে খোলস পাল্টে দল বদল করে। পরে ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে বৈষম্যবিরোধী

নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন৷ আস্তে আস্তে তাদের মন জয় করে বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে স্থান নেয়। গত ৩০ জানুয়ারি বগুড়া জেলা শাখায় গঠিত কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে তাকে রাখা হয়। ফলে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ করতো। দল পরিবর্তনের সঙ্গে সেও নিজেকে পরিবর্তন করেছে। তার ছাত্রলীগ করা নাম তালিকা রয়েছে। দলীয় প্রোগ্রামে রবিনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরদের সাথে কাজ করতো। পরে বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে নাম দেখে হতভাগ হয়েছি।

অভিযুক্ত মেরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।

বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির আহবায়ক মাহমুদুল হাসান জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের গঠিত কমিটিতে আছে। যদি ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে নাম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।