ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম উন্নয়ন শুধু জেলা সদরেই নয়, সকল উপজেলায় দৃশ্যমান হতে হবে- পার্বত্য উপদেষ্টা জুলাইবিপ্লবী শহিদ হাসানকে দেখতে হাসপাতালে ধর্ম উপদেষ্টা পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক আদমদীঘিতে বেড়েছে অপরাধের প্রবণতা, নীরব ভূমিকায় থানা পুলিশ সিংগাইরে কিশোর গ্যাংদের হাতে খুন হলেন স্কুল ছাত্র রাহুল ইসলাম খান মাগুরা আলোকদিয়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ খুন রাজধানীতে থেমে নেই যুবলীগ নেতা নুর ইসলামের চাঁদাবাজি-ত্রাসের রাজত্ব! রূপগঞ্জে সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা সরকারি রাস্তা উদ্ধার শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: খালাস পেলো ৩

পঞ্চগড়ে প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো মোটরসাইকেল উপহার

গলায় পুষ্পমাল্য, সাথে সম্মাননা স্মারক ও নানা ধরনের উপহার নিয়ে পুস্পসজ্জিত সাজানো গাড়িতে বসে আছেন প্রধান শিক্ষক। আর সেই গাড়িতে রশি লাগিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে টেনে রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
চাকরি জীবনের শেষ দিনে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এমন বর্ণিল আয়োজন করেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
১৯৯৮ সালে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন
ওসমান গণি সরকার। টানা দীর্ঘ ২৭ বছর শিক্ষকতাকালে ব্যক্তি জীবনে আলোকিত মানুষ হতে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর আজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এর আগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত করা হয় বিদায়ী ওই শিক্ষককে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মালেক। পরে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক ওসমান গণি তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বিদায় নেন।
আলোচনা সভা শেষে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক ওসমান গণিকে প্রথমে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে একটি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল উপহার দেন। এর পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুষ্প মাল্য, সম্মাননা স্মারক এবং উপহার সামগ্রী দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনে আপ্লুত বিদায়ী প্রধান শিক্ষক ওসমান গণি সরকার। তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করি। ২০০০ সালে নিয়োগ পাই। এরপর আজ ২৭ বছর অবসরে যাচ্ছি। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমি আনন্দিত।
সিদরাতুল মুনতাহা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ আমাদের স্যারকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। তিনি শুধু শিক্ষক ছিলেন না, পিতার মতো স্নেহ করতেন আমাদের। স্যারের বিদায় আমাদের খুব মর্মাহত করছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নয়ন বলেন, একজন শিক্ষক যখন তাঁর চাকরিজীবন শেষ করে বিদায় নেন, এটা তাঁর জন্য কষ্টের। তখন বিদায় মুহূর্তে এমন রাজকীয় বিদায় তাঁকে সম্মানিত ও আনন্দিত করে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম

পঞ্চগড়ে প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো মোটরসাইকেল উপহার

আপডেট টাইম : ০৪:১২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গলায় পুষ্পমাল্য, সাথে সম্মাননা স্মারক ও নানা ধরনের উপহার নিয়ে পুস্পসজ্জিত সাজানো গাড়িতে বসে আছেন প্রধান শিক্ষক। আর সেই গাড়িতে রশি লাগিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে টেনে রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
চাকরি জীবনের শেষ দিনে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এমন বর্ণিল আয়োজন করেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
১৯৯৮ সালে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন
ওসমান গণি সরকার। টানা দীর্ঘ ২৭ বছর শিক্ষকতাকালে ব্যক্তি জীবনে আলোকিত মানুষ হতে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর আজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এর আগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত করা হয় বিদায়ী ওই শিক্ষককে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মালেক। পরে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক ওসমান গণি তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বিদায় নেন।
আলোচনা সভা শেষে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক ওসমান গণিকে প্রথমে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে একটি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল উপহার দেন। এর পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুষ্প মাল্য, সম্মাননা স্মারক এবং উপহার সামগ্রী দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনে আপ্লুত বিদায়ী প্রধান শিক্ষক ওসমান গণি সরকার। তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করি। ২০০০ সালে নিয়োগ পাই। এরপর আজ ২৭ বছর অবসরে যাচ্ছি। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমি আনন্দিত।
সিদরাতুল মুনতাহা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ আমাদের স্যারকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। তিনি শুধু শিক্ষক ছিলেন না, পিতার মতো স্নেহ করতেন আমাদের। স্যারের বিদায় আমাদের খুব মর্মাহত করছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নয়ন বলেন, একজন শিক্ষক যখন তাঁর চাকরিজীবন শেষ করে বিদায় নেন, এটা তাঁর জন্য কষ্টের। তখন বিদায় মুহূর্তে এমন রাজকীয় বিদায় তাঁকে সম্মানিত ও আনন্দিত করে।