মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের কাটিগ্রামে চলছে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহোউৎসব, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অবৈধ ভাবে মাটি কেটে ট্রাক্টরে ও ইঞ্জিন চালিত লাটা গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা ভরাট ও ইট ভাটাতে বিক্রয় করছে,স্থানীয় প্রভাব শালী মধুখালী গ্রামের শিহাব ও গঙ্গারামপুর গ্রামের তুরান।সরজমিনে সাংবাদিকরা আসলে স্থানীয় এলাকা বাসির অভিযোগ করেন মাটি কাটার কারনে রাস্তা ঘাটসহ এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।,
ধুলাবালির কারনে এলাকার ঘর বাড়ি আসবাপত্র,খাবার নষ্ট সহ দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এমনও অভিযোগ করেন গাড়ি চলার কারনে শিশু সহ বয়সবৃদ্ধ দের শষকষ্ট সহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্হানীয় কাটিগ্রাম এলাকা বাসি দৈনিক খবর বাংলাদেশকে বলেন,এইমাটি কাটার কারনে আমাদের বাড়িতে থাকা অসম্ভব হচ্ছে, খাবার খাইতে গেলে মনে হয় ধুলা বালি খাচ্ছি,এমনও মনে হয় পানি খেতে গেলে পানির পাত্রে ও পানিতে শুধু ধুলাবালু খাচ্ছি ।
এই রাস্তা দিয়ে অবৈধ গাড়ি চলায় আমাদের ছেলে মেয়ে তাদের স্কুল কলেজে,মাদ্রাসা যাওয়া নিরাপদ নয়, যে কোন সময় হতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা, বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে আমাদের ফসল আনতে নানান সমস্যা দেখা দেবে এবং মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য গাড়ির চললে অ্যাক্সিডেন্টের প্রভাব পড়বে। মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে,মাটি ব্যবসায়ি শিহাব জানান আমাদের মাটি কাটতে কোন অনুমতি লাগে না, আর আমরা তো আমদের গ্রামের সন্তান ফরিদুজ্জামান ডিসি তার জায়গায় থেকে মাটি কেটে তার জায়গাতে ভরাট করতেছি এতে অনুমতি লাগবে কেন।
মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মোঃ বনি আমিন এর কাছে সাংবাদিকেরা মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাটি কাটার কোন অনুমতি দেয়নি।এতে আপনাদের কি অসুবিধা এবং এলাকা বাসির কি অসুবিধা, একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কিভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে এমন বক্তব্য গণমাধ্যম কে দিতে পারে। তাহলে কি মাটি খেকোদের কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশনের বিনিময়ে এই উপজেলা প্রশাসন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে