ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৫ বছর যাবত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে লুটপাট করছেন গণপূর্তের নিবাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা! মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এর লোপাট কাহিনী! মির্জাগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত মানুষ চায় ডিসেম্বরেই নির্বাচন- আমিনুল হক দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন জয়ী এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত পল্লবীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার পরিবারের পাশে : আমিনুল হক নওগাঁয় জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত তারুণ্যের সমাবেশে তারেক রহমানের বার্তা- ” ডিসেম্বরেই চাই নির্বাচন “ নওগাঁয় মিডিয়া কাপ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে প্রিন্ট মিডিয়া একাদশের দাপুটে জয় রূপনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তুর উদ্বোধন করলেন আমিনুল হক

মিরপুরে ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টা

রাজধানীর মিরপুরের এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টা করেছে একটি চক্র। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে প্রায় দেড় শতাধিক দুর্বৃত্ত নিয়ে সে জমি নিজের ক্রয়কৃত সম্পক্তি দাবি করে দখলের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরাতায় জাহাঙ্গীর হোসেনের সে চেষ্টা ব্যার্থ হয়। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ব্যাবসায়ী বায়েজিদ।

প্রাপ্ত তথ্য ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লবী থানাধীন দ্বিগুন মৌজার সিটি খতিয়ান-১৪৮৯ দাগ ৮৪০৭ এর মালিক আব্দুস সাত্তার মোল্লার কাছ থেকে ১৯৯৩ সালে জনৈক নুরজাহান ৭শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তবে পরবর্তীতে সিটি জরিপে ভুলবশতঃ নুরজাহানের নামে ২৮.১৯ শতাংশ জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। নুরজাহান বেগম ১৯৯৮ সালে ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ-এক কাছে তার জমিটি বিক্রি করেন। ইষ্টার্ণ হাউজিং থেকে ব্যবসায়ী বায়েজিদ গং জমিটি ক্রয় করেন। ব্যবসায়ী বায়েজিদ ইষ্টার্ণ হাউজিং থেকে জমিটি বুঝে নিয়ে তার সীমানা প্রাচীর সহ সেখানে কাচাপাকা ভবন নির্মাণ করে ভোগদখল করছেন।

কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সেই জমিটি নিজের ক্রয়কৃত সম্পক্তি দাবি করে দখলের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর নামের জনৈক ব্যক্তি। তার তথ্যানুশারে ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীর এই জমিটি ক্রয় করেছেন এবং সেই দলিলমুলে তিনি নামজারী ও খাজনা খারিজ করেন। একইসাথে বর্তমানে দখলকৃত ব্যবসায়ী বায়েজিদকে উচ্ছেদের প্রয়াসে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে ২০২৪ সালে একটি সিআর মামলাও করেন। বিষয়টির সঠিক সিদ্ধান্তে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিআইডিকে তথ্য সংগ্রহের আদেশ দেন। সে আদেশমতে সিআইডি পুলিশের এসআই মো. সজিব মিয়াকে তদন্তকারী অফিসার নিযুক্ত করেন। এসআই সজিব মিয়া তদন্ত করে গত ১৬/১/২০২৫ তারিখ আদালতে একটি রিপোর্ট দাখিল করেন।

দাখিলকৃত রিপোর্টে তিনি লিখেন, মিরপুর পল্লবী থানাধীন দ্বিগুন মৌজার এ জমিটি ১৯৯৩ সালে জনৈক আব্দুস সাত্তার মোল্লার কাছ থেকে ৭শতাংশ জমি মাদারীপুরের জনৈক নুরজাহান বেগম ক্রয় করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সিটিজরিপে ভুলবশতঃ ২৮.১৯ শতাংশ জমি নুরজাহান বেগমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালে নুরজাহান বেগম ইস্টার্ন হাউজিং লিঃ-এর কাছে তার জমি বিক্রি করেন। পরে ২০২০ সালে ইস্টার্ণ হাউজিং হতে কামাল হোসেন গং মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে সম্পত্তির খাজনা খারিজ করে ভোগ দখলে রয়েছেন। জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি উক্ত নুরজাহান বেগম তার কাছে জমিটি ২০১৮ সালে বিক্রি করেছেন। কিন্তু দলিলদাতা নুরজাহান বেগম তার মৃত্যুর পূর্বেই ১৯৯৮ সালে ইস্টার্ন হাউজিং এর নিকট এ জমিটি বিক্রি করেন।

ব্যবসায়ী বায়েজিদ জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারী জাহাঙ্গীর হোসেন তার লোকজন নিয়ে জমিটি দখলের সুযোগ নেয়। সেদিন জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পল্লবী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থালে এসে বিষয়টি আদালত কেন্দ্রিক হওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেন এবং তার লোকজনকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। পরে এবিষয়ে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

সরেজমিনে রবিবার দেখা যায়, সেই জমিটির কাছেই ইষ্টার্ণ হাউজিং কর্তৃপক্ষের কয়েকজন আনসার পাহারায় ঘোরাঘুরি করছেন। আনসাররা জানান এখানে তারা পূর্ব থেকেই নিয়মিতই পাহারা দেন। জমিটির বসতঘরের মূল ফটকে আশরাফ উদ্দিন গং নামে একটি বোর্ড রয়েছে, পাশাপাশি দেয়ালে আদালতের একটি নোটিশ সাটানো রয়েছে।

এবিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর দেননি। এছাড়া ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ এর জিএম শামিনের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগস

৫ বছর যাবত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে লুটপাট করছেন গণপূর্তের নিবাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা!

মিরপুরে ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর মিরপুরের এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টা করেছে একটি চক্র। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে প্রায় দেড় শতাধিক দুর্বৃত্ত নিয়ে সে জমি নিজের ক্রয়কৃত সম্পক্তি দাবি করে দখলের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরাতায় জাহাঙ্গীর হোসেনের সে চেষ্টা ব্যার্থ হয়। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ব্যাবসায়ী বায়েজিদ।

প্রাপ্ত তথ্য ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লবী থানাধীন দ্বিগুন মৌজার সিটি খতিয়ান-১৪৮৯ দাগ ৮৪০৭ এর মালিক আব্দুস সাত্তার মোল্লার কাছ থেকে ১৯৯৩ সালে জনৈক নুরজাহান ৭শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তবে পরবর্তীতে সিটি জরিপে ভুলবশতঃ নুরজাহানের নামে ২৮.১৯ শতাংশ জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। নুরজাহান বেগম ১৯৯৮ সালে ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ-এক কাছে তার জমিটি বিক্রি করেন। ইষ্টার্ণ হাউজিং থেকে ব্যবসায়ী বায়েজিদ গং জমিটি ক্রয় করেন। ব্যবসায়ী বায়েজিদ ইষ্টার্ণ হাউজিং থেকে জমিটি বুঝে নিয়ে তার সীমানা প্রাচীর সহ সেখানে কাচাপাকা ভবন নির্মাণ করে ভোগদখল করছেন।

কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সেই জমিটি নিজের ক্রয়কৃত সম্পক্তি দাবি করে দখলের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর নামের জনৈক ব্যক্তি। তার তথ্যানুশারে ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীর এই জমিটি ক্রয় করেছেন এবং সেই দলিলমুলে তিনি নামজারী ও খাজনা খারিজ করেন। একইসাথে বর্তমানে দখলকৃত ব্যবসায়ী বায়েজিদকে উচ্ছেদের প্রয়াসে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে ২০২৪ সালে একটি সিআর মামলাও করেন। বিষয়টির সঠিক সিদ্ধান্তে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিআইডিকে তথ্য সংগ্রহের আদেশ দেন। সে আদেশমতে সিআইডি পুলিশের এসআই মো. সজিব মিয়াকে তদন্তকারী অফিসার নিযুক্ত করেন। এসআই সজিব মিয়া তদন্ত করে গত ১৬/১/২০২৫ তারিখ আদালতে একটি রিপোর্ট দাখিল করেন।

দাখিলকৃত রিপোর্টে তিনি লিখেন, মিরপুর পল্লবী থানাধীন দ্বিগুন মৌজার এ জমিটি ১৯৯৩ সালে জনৈক আব্দুস সাত্তার মোল্লার কাছ থেকে ৭শতাংশ জমি মাদারীপুরের জনৈক নুরজাহান বেগম ক্রয় করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সিটিজরিপে ভুলবশতঃ ২৮.১৯ শতাংশ জমি নুরজাহান বেগমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালে নুরজাহান বেগম ইস্টার্ন হাউজিং লিঃ-এর কাছে তার জমি বিক্রি করেন। পরে ২০২০ সালে ইস্টার্ণ হাউজিং হতে কামাল হোসেন গং মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে সম্পত্তির খাজনা খারিজ করে ভোগ দখলে রয়েছেন। জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি উক্ত নুরজাহান বেগম তার কাছে জমিটি ২০১৮ সালে বিক্রি করেছেন। কিন্তু দলিলদাতা নুরজাহান বেগম তার মৃত্যুর পূর্বেই ১৯৯৮ সালে ইস্টার্ন হাউজিং এর নিকট এ জমিটি বিক্রি করেন।

ব্যবসায়ী বায়েজিদ জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারী জাহাঙ্গীর হোসেন তার লোকজন নিয়ে জমিটি দখলের সুযোগ নেয়। সেদিন জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পল্লবী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থালে এসে বিষয়টি আদালত কেন্দ্রিক হওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেন এবং তার লোকজনকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। পরে এবিষয়ে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

সরেজমিনে রবিবার দেখা যায়, সেই জমিটির কাছেই ইষ্টার্ণ হাউজিং কর্তৃপক্ষের কয়েকজন আনসার পাহারায় ঘোরাঘুরি করছেন। আনসাররা জানান এখানে তারা পূর্ব থেকেই নিয়মিতই পাহারা দেন। জমিটির বসতঘরের মূল ফটকে আশরাফ উদ্দিন গং নামে একটি বোর্ড রয়েছে, পাশাপাশি দেয়ালে আদালতের একটি নোটিশ সাটানো রয়েছে।

এবিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর দেননি। এছাড়া ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ এর জিএম শামিনের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।