আব্দুল্লাহ আল শাফী-
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করবে। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক যেন সবসময় দৃঢ় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার রাশিয়ান হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুটি দেশকেও বন্ধুত্বের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। পরবর্তী ৫০ বছর যেন আরও বেশি সাফল্য, সহযোগিতা এবং যৌথ অর্জনে পরিপূর্ণ হয়। আমাদের দুটি দেশ যেন একসঙ্গে কাজ করে উভয় জাতি এবং বিশ্বব্যাপী একটি উজ্জ্বল, আরও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ অর্জন করতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন ঢাকায় রুশ হাউজের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, তখন চলুন ভবিষ্যতের দিকেও দৃষ্টি দিই। এ মহান মাইলফলক উদযাপন শুধুমাত্র অতীতের প্রতিফলন নয়, বরং আগামী দিনে আরও শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার নতুন অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্কের এক অসাধারণ মাইলফলক উদযাপন উপলক্ষে, রাশিয়ান হাউসের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের সামনে দাঁড়ানো এক বিরাট সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাব্দী পূর্তির প্রতীক নয়, বরং এটি আমাদের দুই মহান জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া, পারস্পরিক সম্মান এবং ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের একটি যৌথ যাত্রার উদযাপন।
তিনি আরো বলেন, এই ঐতিহাসিক উপলক্ষ্যে আমি রাশিয়ান সরকার, ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এবং রাশিয়ান হাউসের কর্মকর্তা ও কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এই বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে নিরলস কাজ করেছেন। পাশাপাশি, গত পাঁচ দশকে রাশিয়ান হাউসের সাফল্য ও ঐতিহ্য নির্মাণে যারা অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতিও আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
১৯৭৪ সালে ঢাকায় রাশিয়ান হাউস যাত্রা শুরু করেছিল দুই দেশের জনগণের মধ্যে একটি দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। অর্ধশতাব্দী পর, আমি গর্বের সাথে বলতে পারি যে রাশিয়ান হাউস সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। এটি সাংস্কৃতিক বিনিময়, বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপ এবং মানুষে-মানুষে সংযোগ স্থাপনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করেছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রুশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা থেকে উপকৃত হয়েছেন। আজ, তাদের অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আমাদের সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় রুশ হাউজ আরও বহু বছর ধরে আমাদের দুই জনগণের মধ্যে গভীর সংযোগ অনুপ্রাণিত ও লালন করে যাক। বাংলাদেশ-রাশিয়া বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক।