আদমদীঘি প্রতিনিধি- বগুড়ার আদমদীঘিতে জনসাধারণদের সেবা প্রদানে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন সান্তাহার ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন। চারমাস আগে তিনি সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেবাপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন। ফলে সেবাদানে কোন রকম ভোগান্তি বা বিড়ম্বনায় পড়ছেন না জনসাধারণ।
জানা যায়, গত বছরের ৩ অক্টোবর বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নাজিম উদ্দীন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার মতো করে কর্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন৷ পরিষদে বসে দীর্ঘ সময় ধরে নাগরিকত্ব, চারিত্রিক, ওয়ারিশিয়ান সনদ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সহ বিভিন্ন বিষয়ে ইউনিয়নবাসীদের সেবা দিচ্ছেন তিনি। ফলে পরিষদে এসে দ্রুত সুবিধা পেয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে
ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
জাহানাবাজ গ্রামের রাজু আহমেদ জানান, কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন ভোটারের জন্য প্রত্যয়ন নিতে যায়। এসময় চেয়ারম্যান পরিষদে থাকায় খুব দ্রুত কাজটি করে দেন। দেখলাম অনেকেই নাগরিকত্ব, চারিত্রিক সনদসহ বিভিন্ন কাজে এসে সেবা নিয়ে যাচ্ছে। বিগত সময়ে অন্যান্য চেয়ারম্যান অফিসে এত সময় দিতো না দিনের পর দিন ঘুরতে হয়েছে। অথচ তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সর্বক্ষণ তাকে অফিসে দেখতে পাওয়া যায়। ফলে কোন রকম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছেনা জনসাধারণদের।
সান্দিড়া গ্রামের সেলিনা আক্তার জানান, ছেলের জন্ম নিবন্ধন করতে পরিষদে যায়। সেখানে দায়িত্বরতরা দ্রুত সেটির আবেদন করে আদমদিঘীতে পাঠিয়ে দেন। চেয়ারম্যান সব সময় পরিষদে থাকার কারনে কোন কাজে জটিলতা পোহাতে হচ্ছে না। এরপর একদিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন হাতে পেয়ে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়।
সান্তাহার ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন জানান, সেবাপ্রত্যাশীদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। সকাল থেকে পরিষদ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমার কাছে সকল রকম সেবা পাবেন জনসাধারণ। ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ক্যাম্পেইন করে প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রায় ১৩’শ ফ্রী নতুন নিবন্ধনের সুবিধা দিয়েছি। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে কেউ বিচার নিতে আসলে খুব সীমিত সময়ে তার সমাধান করে দেওয়া হয়। গত মাসে গ্রাম আদালতে ৭ টি মামলার মধ্যে ৫টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়াও নয়টি ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট, ড্রেন সহ বিভিন্ন কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব শীগ্রই সেই বরাদ্দকৃত কাজগুলো শুরু করা হবে। যেকোন ভাতার ক্ষেত্রে এদকম বিনামূল্যে সুবিধাভোগীদের প্রদান করা হয়েছে। সরকারিভাবে যেসব সেবা জনসাধারণের দেওয়া প্রয়োজন আমি তা দিয়ে আসছি বলে আশা করি।