রাজধানী মিরপুর-১ নম্বর এলাকাতে রাস্তা ও ফুটপাতএখন হকারদের দখলে। রাস্তার মধ্যে ৪ স্তোরের দোকানের কারণে পথচারী ও গাড়ী চলতে পারছে না, যানঝট লেগে আছে। ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল শড়কে উঠে গেছে দোকানের বহর। একেবারে ছোট হয়েছে ব্যস্ত রাজপথ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে, এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। কিছু চাঁদাবাজরা তাদের পকেট ভারী করার জন্য রাস্তা দখল করে দোকান পাট বসিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে।
এসব উচ্ছেদে এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই সিটি করপোরেশনের। এ ছাড়াও প্রোশাসনের নেই কোনো ভুমিকা। সার্জেন্টরা দাড়িয়ে তামাশা দেখছে তাদের কোনো ভুমিকা দেখা যাচ্ছে না।
ছোট ছোট দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি রাস্তা। পথচারীদের হাঁটা চলা ও গাড়ী চলাচলের জায়গা চলে গেছে পুরোপুরি হকারদের দখলে।
মিরপুরের ফুটপাতে নেই পা ফেলার জায়গাটুকুও। মূল সড়কের পাশে ৩০ ফুট চওড়া ফুটপাত। অথচ সেখানে বসছে ৪ স্তরে দোকানপাট। নিয়ম ভেঙে কেনো ফুটপাতেই বসাতে হয় দোকান পাট?
এমন একটি দৃশ্য দেখা যায় শাহ্আলী থানাধীন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, রবিউল প্লাজা (এপেক্স এর শো রুম) ও মুক্তবাংলা মার্কেটের সামনে দিয়ে।
ঢাকার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পথচারীদের হাঁটার জন্য প্রশস্ত করা হয়েছিল সড়কের দু’পাশের ফুটপাত। প্রত্যাশা ছিল এবার হয়ত পাল্টাবে অবস্থা। কিন্তু ঘটেছে উলটো।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিলো আকাশচুম্বী। নগরবাসীর চাওয়া, দ্রুত দখলমুক্ত করে ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাদের রাস্তা ও হাঁটার পথ। মিরপুরের ফুটপাত নিয়ে আজ থাকছে প্রথম পর্ব।