ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিরপুর ইস্টার্ণ হাউজিং ডাইং ফ্যাক্টারিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাউৎসব প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় গ্রেফতার বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন- মাওলানা ইমতিয়াজ আলম রাজউককে জনবান্ধব করতে আইন ও বোর্ডের গঠন বদলাতে হবে- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সিরাজদিখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা সড়ক অবরোধ না করতে ডিএমপির বিশেষ অনুরোধ আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মির্জাগঞ্জে মানববন্ধন আমাকে অপসারণ করা হয়নি, পদত্যাগ করেছি: উপদেষ্টা আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেম ডিএমপির নির্দেশনা হাইকোর্টে স্থগিত শ্রীপুরে খানাখন্দে ভরা নয়নপুর-বরমী সড়ক: শ্রমিক-শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ

কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংকের অন্ধকার গহ্বরে নিথর দেহে পাওয়া গেলো কলেজপড়ুয়া এক তরুণের লাশ। ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা আব্দুল আলীম আজ নিথর, নিশ্চুপ। তার মা আকলিমা বেগমের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার আকাশ-বাতাস।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার জামাল বাদশার বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল আলীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় পেঁচানো ছিলো প্লাস্টিকের রশি, পেটে ছিল ছুরির গভীর ক্ষত। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—শ্বাসরোধ করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আব্দুল আলীম (১৯) ঘাটাইল উপজেলার চানতারা গ্রামের সন্তান। সৌদি প্রবাসী জহুরুল ইসলাম নজরুলের ছেলে সে। পড়াশোনার স্বপ্নে বিভোর এই তরুণ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

১২ এপ্রিল, শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরিবারের হৃদয়বিদারক অপেক্ষার অবসান ঘটে একটি মৃত্যুসংবাদে।

আব্দুলের ফুফাতো বোন মোচ্ছামত খালেদা আক্তার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আলীম সকালে বের হয়েছিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য। কে জানতো, ওর ফিরে আসা আর হবে না!

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আদিবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।

তবে প্রশ্ন থেকে যায়—কে এমন নিষ্ঠুর? কার আক্রোশে প্রাণ গেলো এক সম্ভাবনাময় তরুণের? উত্তর জানে না কেউ, কিন্তু কালো মেঘে ঢেকে গেছে একটি মা-বাবার জীবন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুর ইস্টার্ণ হাউজিং ডাইং ফ্যাক্টারিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাউৎসব

কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৩:৫১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংকের অন্ধকার গহ্বরে নিথর দেহে পাওয়া গেলো কলেজপড়ুয়া এক তরুণের লাশ। ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা আব্দুল আলীম আজ নিথর, নিশ্চুপ। তার মা আকলিমা বেগমের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার আকাশ-বাতাস।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার জামাল বাদশার বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল আলীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় পেঁচানো ছিলো প্লাস্টিকের রশি, পেটে ছিল ছুরির গভীর ক্ষত। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—শ্বাসরোধ করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আব্দুল আলীম (১৯) ঘাটাইল উপজেলার চানতারা গ্রামের সন্তান। সৌদি প্রবাসী জহুরুল ইসলাম নজরুলের ছেলে সে। পড়াশোনার স্বপ্নে বিভোর এই তরুণ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

১২ এপ্রিল, শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরিবারের হৃদয়বিদারক অপেক্ষার অবসান ঘটে একটি মৃত্যুসংবাদে।

আব্দুলের ফুফাতো বোন মোচ্ছামত খালেদা আক্তার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আলীম সকালে বের হয়েছিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য। কে জানতো, ওর ফিরে আসা আর হবে না!

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আদিবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।

তবে প্রশ্ন থেকে যায়—কে এমন নিষ্ঠুর? কার আক্রোশে প্রাণ গেলো এক সম্ভাবনাময় তরুণের? উত্তর জানে না কেউ, কিন্তু কালো মেঘে ঢেকে গেছে একটি মা-বাবার জীবন।