ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম উন্নয়ন শুধু জেলা সদরেই নয়, সকল উপজেলায় দৃশ্যমান হতে হবে- পার্বত্য উপদেষ্টা জুলাইবিপ্লবী শহিদ হাসানকে দেখতে হাসপাতালে ধর্ম উপদেষ্টা পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক আদমদীঘিতে বেড়েছে অপরাধের প্রবণতা, নীরব ভূমিকায় থানা পুলিশ সিংগাইরে কিশোর গ্যাংদের হাতে খুন হলেন স্কুল ছাত্র রাহুল ইসলাম খান মাগুরা আলোকদিয়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ খুন রাজধানীতে থেমে নেই যুবলীগ নেতা নুর ইসলামের চাঁদাবাজি-ত্রাসের রাজত্ব! রূপগঞ্জে সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা সরকারি রাস্তা উদ্ধার শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: খালাস পেলো ৩

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫২টি পরিবারের মাঝে ষাঁড় ও বকনা গরু ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার  (১৭এপ্রিল) বেলা ১২:৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণি সম্পদের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগিদের মাঝে এসব ষাঁড় ও বকনা গরু বিতরণ করা হয়।
উপকরণের মধ্যে ছিল গরুর, ঘর নির্মাণের ৫ টি টিন, ৪টি ঘরের খুঁটি ও দুই টি করে রাবার ম্যাট সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব গরু বিতরণ করেন৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন  উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায় ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল  চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, আলামপুর ইউনিয়নের হোসনে আরা, মামুদপুর ইউনিয়নের মিলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত বলেন, সমাজের পিছিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়কে উন্নয়নের কাতারে নিয়ে আসার জন্য  গবাদি পশু দ্বারা তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা ঘোরাতে সম্ভব।
তিনি আরো বলেন যে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তারা যেন পরবর্তীতে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ রেখে, নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারে। যদি কোন গরুর রোগা বা আক্রান্ত বা  অসুস্থ হয়। সেই লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের সুবিধাভোগী আদিবাসী নারী সাগরিকা বিশ্বাস বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে  গরু টিন আর ঘরের খুঁটি দেওয়া হয়েছে। সেটি পেয়ে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। একটি বকনা গরু থেকে যেন আমি আরো অনেক গরু পালন করতে পারি৷
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় যারা  সুবিধা পেয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী  সামাজিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এর জলন্ত উদাহরণ বড়তারা ইউনিয়নের সাগরিকা বিশ্বাস। সেই লক্ষ্যে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। এই বিতরণের পূর্বেও বকনা গরু, মুরগি, ভেড়া ও ষাড় গরু বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ

আপডেট টাইম : ০৫:৩২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫২টি পরিবারের মাঝে ষাঁড় ও বকনা গরু ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার  (১৭এপ্রিল) বেলা ১২:৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণি সম্পদের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগিদের মাঝে এসব ষাঁড় ও বকনা গরু বিতরণ করা হয়।
উপকরণের মধ্যে ছিল গরুর, ঘর নির্মাণের ৫ টি টিন, ৪টি ঘরের খুঁটি ও দুই টি করে রাবার ম্যাট সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব গরু বিতরণ করেন৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন  উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায় ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল  চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, আলামপুর ইউনিয়নের হোসনে আরা, মামুদপুর ইউনিয়নের মিলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত বলেন, সমাজের পিছিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়কে উন্নয়নের কাতারে নিয়ে আসার জন্য  গবাদি পশু দ্বারা তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা ঘোরাতে সম্ভব।
তিনি আরো বলেন যে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তারা যেন পরবর্তীতে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ রেখে, নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারে। যদি কোন গরুর রোগা বা আক্রান্ত বা  অসুস্থ হয়। সেই লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের সুবিধাভোগী আদিবাসী নারী সাগরিকা বিশ্বাস বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে  গরু টিন আর ঘরের খুঁটি দেওয়া হয়েছে। সেটি পেয়ে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। একটি বকনা গরু থেকে যেন আমি আরো অনেক গরু পালন করতে পারি৷
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় যারা  সুবিধা পেয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী  সামাজিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এর জলন্ত উদাহরণ বড়তারা ইউনিয়নের সাগরিকা বিশ্বাস। সেই লক্ষ্যে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। এই বিতরণের পূর্বেও বকনা গরু, মুরগি, ভেড়া ও ষাড় গরু বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।