ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিরপুর ইস্টার্ণ হাউজিং ডাইং ফ্যাক্টারিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাউৎসব প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় গ্রেফতার বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন- মাওলানা ইমতিয়াজ আলম রাজউককে জনবান্ধব করতে আইন ও বোর্ডের গঠন বদলাতে হবে- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সিরাজদিখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা সড়ক অবরোধ না করতে ডিএমপির বিশেষ অনুরোধ আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মির্জাগঞ্জে মানববন্ধন আমাকে অপসারণ করা হয়নি, পদত্যাগ করেছি: উপদেষ্টা আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেম ডিএমপির নির্দেশনা হাইকোর্টে স্থগিত শ্রীপুরে খানাখন্দে ভরা নয়নপুর-বরমী সড়ক: শ্রমিক-শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন-১

কাফরুলে হোটেল রাজধানী প্যালেসে চলছে রমরমা মাদক ও দেহব্যবসা

  • স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮৬৯ বার পড়া হয়েছে

রাজধানী কাফরুল থানাধিন পূর্ব শেওড়াপাড়া বাস ষ্ট্যান্ড, কবর স্থানের পাশে আবাসিক “রাজধানী” হোটেলে অবাধে চলছে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা। আর ওই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে ম্যাজোর সাইফুল, হোটেল মালিক অভি, আপন, রুবেল ও নাহিদ। এদের সবার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা রয়েছে। থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ওই অবৈধ ব্যবসা। এছাড়া কিশোর গ্যাং দিয়েও করছে নিয়ন্ত্রণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলটি কিশোর গ্যাং শাকিল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে, সাংবাদিকরা শনিবার বেলা ২:০০ ঘটিকায় ঘটনা স্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে দেখতে পান হোটেলের মধ্যে অনেক পতিতা ও মাদক বানিজ্য চলছে। তখন ম্যানেজার সাইফুল ও মালিক অভি, কিশোর গ্যাং শাকিল গ্রুপকে ফোন দেয়, তখন কিশোর গ্যাং শাকিলসহ গ্রুপের ৭/৮জন হোটেলে এসে ছাত্র পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সার্চ করতে থাকে, আপনারা এখানে কেনো এসেছেন? এখানে আসার অনুমতি কে দেছে? মালিকদের সাথে কথা বলার সাহস কে দেছে? এছাড়াও সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ বলে ভিবিন্ন হুমকী ধামকীও দেয়। তখন সাংবাদিকরা কাফরুল থানার ওসিকে ফোন দিলে ২ ঘন্টা পর এসআই রুবেল সরকার তার সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে আসে। কিশোর গ্যাং শাকিলের হুমকীতে এসআই রুবেল কাউকে গ্রেফতার করতে সাহস পায়নি। সবার প্রশ্ন ২ ঘন্টা পর পুলিশ আসা মানে হোটেল মালিকদের সাথে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে।
হোটেলের গেটে ঢুকতেই দেখা যায় সরু পথ, সামনে এগোলেই বাবু সোনা আসো বলে ৩ তলার রিসিপশনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন মধ্যম বয়সের পতিতার দালাল। দ্বিতীয় ধাপে ৪র্থ তলায় হলো কাস্টমারের পছন্দের নারী খোঁজ মিলবে, ইচ্ছে মতো রমনীদের দেখে-শুনে কথা বলে পছন্দ করার বিষয়টি। রুমে রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে দরকষাকষি, বনিবনা হলে নিয়ে যায় ৫ তলায়, বাস্তবে এমন চিত্র দেখা গেছে। আবার দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যে কোনো একজন একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু অশ্লীল কথা বলে। একই সাথে বিভিন্নভাবে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টাও করছে হোটেলে থাকা মেয়েরা। অনুসন্ধানী টিম কৌশলে একজন কাছে পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে কলেজ ছাত্রী বলে দাবি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও গ্রামঞ্চাল থেকে এসেছে। এদের রয়েছে এক ধরনের দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে সাংবাদিকদের হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই অবৈধ কর্মকান্ডের তথ্য আনতে প্রতিবেদকদের বাধা সৃষ্টি করে। আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে অসামাজিক কর্মকান্ডের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।

এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করে থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসে। পতিতাদের নিয়ে রাত্রী যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, রাজধানীর সন্ত্রাসীদের বিশাল একটি গ্রুপের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মতো কাজও চলে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুর ইস্টার্ণ হাউজিং ডাইং ফ্যাক্টারিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাউৎসব

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন-১

কাফরুলে হোটেল রাজধানী প্যালেসে চলছে রমরমা মাদক ও দেহব্যবসা

আপডেট টাইম : ০৮:১৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানী কাফরুল থানাধিন পূর্ব শেওড়াপাড়া বাস ষ্ট্যান্ড, কবর স্থানের পাশে আবাসিক “রাজধানী” হোটেলে অবাধে চলছে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা। আর ওই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে ম্যাজোর সাইফুল, হোটেল মালিক অভি, আপন, রুবেল ও নাহিদ। এদের সবার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা রয়েছে। থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ওই অবৈধ ব্যবসা। এছাড়া কিশোর গ্যাং দিয়েও করছে নিয়ন্ত্রণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলটি কিশোর গ্যাং শাকিল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে, সাংবাদিকরা শনিবার বেলা ২:০০ ঘটিকায় ঘটনা স্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে দেখতে পান হোটেলের মধ্যে অনেক পতিতা ও মাদক বানিজ্য চলছে। তখন ম্যানেজার সাইফুল ও মালিক অভি, কিশোর গ্যাং শাকিল গ্রুপকে ফোন দেয়, তখন কিশোর গ্যাং শাকিলসহ গ্রুপের ৭/৮জন হোটেলে এসে ছাত্র পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সার্চ করতে থাকে, আপনারা এখানে কেনো এসেছেন? এখানে আসার অনুমতি কে দেছে? মালিকদের সাথে কথা বলার সাহস কে দেছে? এছাড়াও সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ বলে ভিবিন্ন হুমকী ধামকীও দেয়। তখন সাংবাদিকরা কাফরুল থানার ওসিকে ফোন দিলে ২ ঘন্টা পর এসআই রুবেল সরকার তার সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে আসে। কিশোর গ্যাং শাকিলের হুমকীতে এসআই রুবেল কাউকে গ্রেফতার করতে সাহস পায়নি। সবার প্রশ্ন ২ ঘন্টা পর পুলিশ আসা মানে হোটেল মালিকদের সাথে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে।
হোটেলের গেটে ঢুকতেই দেখা যায় সরু পথ, সামনে এগোলেই বাবু সোনা আসো বলে ৩ তলার রিসিপশনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন মধ্যম বয়সের পতিতার দালাল। দ্বিতীয় ধাপে ৪র্থ তলায় হলো কাস্টমারের পছন্দের নারী খোঁজ মিলবে, ইচ্ছে মতো রমনীদের দেখে-শুনে কথা বলে পছন্দ করার বিষয়টি। রুমে রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে দরকষাকষি, বনিবনা হলে নিয়ে যায় ৫ তলায়, বাস্তবে এমন চিত্র দেখা গেছে। আবার দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যে কোনো একজন একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু অশ্লীল কথা বলে। একই সাথে বিভিন্নভাবে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টাও করছে হোটেলে থাকা মেয়েরা। অনুসন্ধানী টিম কৌশলে একজন কাছে পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে কলেজ ছাত্রী বলে দাবি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও গ্রামঞ্চাল থেকে এসেছে। এদের রয়েছে এক ধরনের দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে সাংবাদিকদের হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই অবৈধ কর্মকান্ডের তথ্য আনতে প্রতিবেদকদের বাধা সৃষ্টি করে। আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে অসামাজিক কর্মকান্ডের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।

এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করে থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসে। পতিতাদের নিয়ে রাত্রী যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, রাজধানীর সন্ত্রাসীদের বিশাল একটি গ্রুপের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মতো কাজও চলে।