নাদিম আহমেদ অনিক,নিজস্ব প্রতিবেদক-
নওগাঁয় নিজ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি ভিডিও পোস্টকে কেন্দ্র করে মোঃ রাফিউল ইসলাম (রিফাত) নামে এক কলেজ ছাত্রকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার শিশির ও কলেজ ছাত্রদল নেতা মারুফ সহ ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগটি তোলেন আহত ঐ শিক্ষার্থী।
আহত রিফাত নওগাঁ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় নওগাঁ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নওগাঁ জেলা সদরের ডাকবাংলো এর বিপরিতে রাস্তা বেদখল করে পাথর ও বালি রাখা নিয়ে রিফাত নিজ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ১০ সেকেন্ডের ভিডিও এর পাশাপাশি একটি পোস্ট দেন ‘NAOGAON’ নামে ফেসবুক গ্রুপে।
তিনি পোস্টে লিখেন-
“আমাদের নওগাঁ মানুষের হাঁটার জায়গায় কিভাবে তারা ইট বালু খোয়া ফেলে দিয়ে রাখছে দেখেন কি করতেছে এইটা। এগুলো কি দেখতে পায় না আমাদের নওগাঁ জেলা প্রশাসক। এটা তো মানুষের হাতের হাঁটার জায়গা। এই জায়গায় কেন ঈদ ভালো ফেলে দিয়ে রাখবে।
Location: জেলা ডাকবাংলো ঠিক বিপরীত পাশে”
পরবর্তীতে শরিবার (২৬ এপ্রিল) রিফাত নওগাঁ সরকারি কলেজে প্রবেশ করলে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার শিশির ও মারুফ নামে দুজনসহ ১০-১৫ জন তার সাথে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র তর্ক বিতর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে রিফাতকে মারপিট শুরু করে তারা।
পরবর্তীতে নওগাঁ সরকারি কলেজের কর্মচারীবৃন্দের সহযোগীতায় রিফাতকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
রিফাত খবর বাংলাদেশকে বলেন, পার্ক রোডে জেলা ডাকবাংলোর অপজিট পাশে নতুন মহিলা হোস্টেলের সামনে রাস্তায় পাথর ও বালি রাখার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিলো তাই আমি এ বিষয়টি ফেসবুকে তুলে ধরি, যার পরিপেক্ষিতে আজ কলেজে প্রবেশ করলে শিশির ও মারুফ নামে ছাত্রদল নেতা আমাকে এ বিষয় নিয়ে গালিগালাজ শুরু করে, কেন গালি দিচ্ছে বিষয়টি জানতে চাইলে শিশির ও মারুফ সহ ১০-১৫ জন আমাকে লাঠি সোঠা দিয়ে মারপিট শুরু করে এক পর্যায়ে শিশির আমাতে আঘাত করার জন্য চাকু বের করলে আমি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। পরবর্তীতে আমি গুরুতর আহত হলে কলেজের কর্মচারীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তী করে। আমি আইনকে শ্রোদ্ধা করি তাই বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার শিশিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কখনো অন্যায় করেনা। রিফাত কলেজের ব্রেঞ্চ ভেঙ্গে বাটাম নিয়ে আমাকে মারতে আসায় শিক্ষকরা এ বিষয়টা দেখেন এবং কলেজের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করায় আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজন তাকে চড়-থাপ্পর মারে এবং কলেজ থেকে বের করে দেয়।
ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানে প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওগাঁ সরকারি কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, ঘটনার সময় আমি কলেজে ঢুকছিলাম, দেখি রিফাত নামে ওই ছেলেটা তার বেল্ট খুলে শিশিরকে মারতে আসছিলো, এক পর্যায়ে রিফাত ব্রেঞ্চ ভেঙ্গে শিশিরতে আঘাত করতে গেলে শিশিরসহ আরও কয়েকজন তা প্রতিহত করে।
নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: সামসুল হক এর সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নী।