রাজধানী মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে বছরের পর বছর ধরে প্রভাবশালী দালাল চক্রের সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে চলছে বড় বড় ডাইং ফ্যাক্টরি।
ফ্যাক্টরিতে সংযোগ নিতে ফ্যাক্টরি মালিকদের গুনতে হয় ১ থেকে ৩ লাখ টাকা। আর প্রতি মাসে চাঁদা হিসেবে শফিক মাষ্টার গংদের দিতে হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে গ্যাসের মজুদ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ চক্রের মূল্য হোতা হলেন শফিক মাস্টার। ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে ডাইং ফ্যাক্টরি রয়েছে প্রায় ২২টি, ওই ২২টি ডাইং ফ্যাক্টরিতে রয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। আর এই অবৈধ গ্যাস সংযোগের মুল কারিগর শফিক অরফে শফিক মাষ্টার। স্থানীয়রা জানান এসব অবৈধ কারখানায় গ্যাস সংযোগের কারণে আবাসিক বাসা বাড়িতে গ্যাস পাচ্ছে না, এসব অবৈধ ডাইং ফ্যাক্টরি বন্ধ হলে এলাকার গ্যাস সংকট অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসি।
সুত্রে আরো জানাযায়, মিরপুরে ইস্টার্ন হাউজিং আলুদ্বী এলাকায় ডাইং ফ্যাক্টরি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছে শফিক ওরফে শফিক মাস্টার। শফিকের সাথে তিতাস গ্যাস অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ইস্টার্ন হাউজিং আলুদ্বী এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর শফিক মাস্টার এর সাথে সহযোগি হিসেবে ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছেন শামীম, হান্নান, ময়নুল, আক্তার, অভি দাদা, মোকলেছ, ইমন, সানি, কানা মনির, সাদ্দাম, জাহিদ, দেলোয়ার, মাছুম ও সামছু সহ আরো অনেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ডাইং ফ্যাক্টরিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের নিয়ন্ত্রণ করছেন তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদাররা।
মাঝে মাঝে ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ের ডাইং ফ্যাক্টরিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণের অভিযান চললেও শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে না। উচ্চ কর্মকর্তাদের চাপে অভিযান পরিচালনা করে যেসব অবৈধ সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করা হয় সেগুলো আবার রাতের আধারে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সংযোগ দেয়া হয় বলে জানা যায়।
এ সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে রাষ্ট্র কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোয় জালের মতো ছড়িয়ে আছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে গ্যাস দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। মানুষের জীবন পড়ছে ঝুঁকির মধ্যে। এ ঝুঁকির অবসানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ শুধু নয়, যারা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই ধরণের সংযোগ বিলুপ্ত হবে।
এ বিষয়ে তিতাসের মিরপুর জোনের ডিজিএম নাসিমুল সাহেবের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান আমরা প্রতি মাসেই ওই ডাইং ফ্যাক্টরীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে থাকি কিন্তু তারা আবার সিন্ডিকেটের মাধ্যেমে আবার সংযোগ নেয়।