ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা অস্বীকার!

মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে এক মর্মান্তিক শিশুধর্ষণ ও হত্যার মামলার বিচার। ৬ মার্চ বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় এবং পরে মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর প্রায় দুই মাস ধরে চলছে তদন্ত, অভিযোগ গঠন এবং সাক্ষ্যগ্রহণ। তবে মামলার বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অসঙ্গতি ও বিতর্ক।

৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। তার মা ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

অভিযোগ চারজন আসামির মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত শিশুটির বোনের শ্বশুর। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও resulting মৃত্যুজনিত অভিযোগ (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯(২) আনা হয়েছে। বাকি তিনজন স্বামী, ভাশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ।

১৫ মার্চ প্রধান অভিযুক্ত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, কিন্তু পরে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমরা সবাই তখন বাড়ির বাইরে ছিলাম। আমার ছেলের বউ এই কাজ করেছে।

এজাহারে বলা হয়, ধর্ষণ হয় ৫ মার্চ দিবাগত রাতে, বাইরে নিয়ে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনা ঘটে ৬ মার্চ সকালে, ঘরের ভেতর। আসামির জবানবন্দি ও আদালতের বয়ানেও অমিল প্রত্যেকে দায় এড়িয়ে একে অপরের দিকে ইঙ্গিত করছেন।

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বিচারক আশা করছেন, পরবর্তী দিনে আরও ১০ জন সাক্ষী উপস্থিত হবেন। রাষ্ট্রপক্ষ দ্রুত বিচার শেষ করতে সচেষ্ট।

এই মামলায় যেমন হৃদয়বিদারক এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তেমনি আছে বিচারব্যবস্থার এক কঠিন পরীক্ষা। আসামিদের স্বীকারোক্তি, পরে অস্বীকার, সাক্ষ্যবিভ্রাট ও ঘটনার অসঙ্গতি সবই প্রমাণ করে এই মামলার প্রতিটি ধাপ আরও গভীর অনুসন্ধান দাবি করে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা অস্বীকার!

আপডেট টাইম : ০৮:২১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে এক মর্মান্তিক শিশুধর্ষণ ও হত্যার মামলার বিচার। ৬ মার্চ বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় এবং পরে মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর প্রায় দুই মাস ধরে চলছে তদন্ত, অভিযোগ গঠন এবং সাক্ষ্যগ্রহণ। তবে মামলার বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অসঙ্গতি ও বিতর্ক।

৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। তার মা ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

অভিযোগ চারজন আসামির মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত শিশুটির বোনের শ্বশুর। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও resulting মৃত্যুজনিত অভিযোগ (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯(২) আনা হয়েছে। বাকি তিনজন স্বামী, ভাশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ।

১৫ মার্চ প্রধান অভিযুক্ত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, কিন্তু পরে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমরা সবাই তখন বাড়ির বাইরে ছিলাম। আমার ছেলের বউ এই কাজ করেছে।

এজাহারে বলা হয়, ধর্ষণ হয় ৫ মার্চ দিবাগত রাতে, বাইরে নিয়ে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনা ঘটে ৬ মার্চ সকালে, ঘরের ভেতর। আসামির জবানবন্দি ও আদালতের বয়ানেও অমিল প্রত্যেকে দায় এড়িয়ে একে অপরের দিকে ইঙ্গিত করছেন।

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বিচারক আশা করছেন, পরবর্তী দিনে আরও ১০ জন সাক্ষী উপস্থিত হবেন। রাষ্ট্রপক্ষ দ্রুত বিচার শেষ করতে সচেষ্ট।

এই মামলায় যেমন হৃদয়বিদারক এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তেমনি আছে বিচারব্যবস্থার এক কঠিন পরীক্ষা। আসামিদের স্বীকারোক্তি, পরে অস্বীকার, সাক্ষ্যবিভ্রাট ও ঘটনার অসঙ্গতি সবই প্রমাণ করে এই মামলার প্রতিটি ধাপ আরও গভীর অনুসন্ধান দাবি করে।