হত-দরিদ্র পরিবারের সন্তান ফাতেমা। জানুয়ারী মাসে অসাবধানতা বসত চুলায় রান্না করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ঝলসে যায় তার শরির। পিতার সামর্থ না থাকায় দিশোহারা হয়ে পড়ে পরিবার। চিকিৎসা ছাড়া ৩ দিন ধরে বাড়ির বিছানায় কাতরাচ্ছিল ছোট শিশু ফাতেমা। স্থানীয়রা জানতে পেরে ঘটনার পর একে একে সহযোগিতা করে জোগাড় করেন সামান্য কিছু টাকা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে টাকার পরিমান একেবারেই নগন্য। সেই টাকা দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে বাড়ি থেকে ফাতেমার চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর হতদরিদ্র পরিবারের অসহায়ত্বর বিষয়টি জানাজানি হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম নয়ন বিষয় টি জানতে পেরে খোজখবর নিতে ছুটে যান ঢাকার হাসপাতালে। ঘটনাটি নিয়ে ভার্চুয়ালী ভাবে যোগাযোগ করে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে।
তারেক রহমান পরিবারটিকে চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করার আশ^স্ত করেন এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। সেই সাথে রবউিল ইসলাম নয়নকে শিশুটি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুটি ও তার পরিবারের পাশে থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। সেইদিন থেকেই শুরু হয় ফাতেমার উন্নত চিকিৎসা। একে একে বিভিন্ন সময়ে ৪ বার অস্ত্রপাচার করা হয় শিশু ফাতেমার শরীরে। দীর্ঘ ৩ মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ফাতেমা। স্বাভাবিক জিবন ফিরে পেয়েছে ফাতেমা। যেখানে শিশু ফাতেমার বাঁচার আশায় ছেড়ে দিয়েছিল তার পরিবার সেখানে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফেরা ফাতেমার মুখে হাসি দেখে আবেগে আল্পিত হয়ে পড়ে তার পরিবার ও আত্বিয় স্বজন ।
ফাতেমা মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পূর্ব নারানপুর এলাকার দিনমজুর রহিম মিয়ার মেয়ে।
শিশুটির মা ফুলজান বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান আর রবিউল ইসলাম নয়ন ভাইয়ের জন্য আজ আমার মনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে । এত বড় নেতারা আমাদের মত গরিব মানসির পাশে চিকিৎসার সাহায্য করছে এতে আমরা অনেক খুশি। আমরা নেতাগেরে দোয়া করতিছি মন থেকেই।
ফাতেমার পিতা রহিম মিয়া বলেন, আমার মায়েরে তো চিকিৎসা করার সমর্থই আমার ছিলনা । নয়ন ভাই আর তাকে রহমান পাশে ছিল বলেই আমার আজ আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে উঠেছে। তিনি ও তার পরিবার তারেক রহমানের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন । সেই সাথে রবিউল ইসলাম নয়নকেও ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ মো: আবু দাউদ হোসেন বলেন, ফাতেমা যে বেঁচে ফিরবে সেটা কেউ ভাবতেউ পারিনাই। নেতাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে শুনলাম মেয়েটিকে আরেকবার ঢাকায় যেতে বলছে চিকিৎসক । পুরোদমে সুস্থ হবার জন্য আরেকবার যদি ঢাকা নিতে হয় সে ক্ষেত্রে আরেকটু সহযোগীতা করার অনুরোধ করেন সকলকেই।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন, অগ্নিগ্ধ ফাতেমার খবর পেয়েই আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে ফাতেমার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মেয়েটি এখন সুস্থ হয়েছে যদি মেয়েটিকে আবারো শারীরিক কোন সমস্যার কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় সেক্ষেত্রে আমরা তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করুন ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পূর্ব নারানপুর নিজ বাড়িতে রান্না করার সময় চুলার আগুনে পুড়ে ঝলসে যায় ফাতেমার শরির।