ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম উন্নয়ন শুধু জেলা সদরেই নয়, সকল উপজেলায় দৃশ্যমান হতে হবে- পার্বত্য উপদেষ্টা জুলাইবিপ্লবী শহিদ হাসানকে দেখতে হাসপাতালে ধর্ম উপদেষ্টা পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক আদমদীঘিতে বেড়েছে অপরাধের প্রবণতা, নীরব ভূমিকায় থানা পুলিশ সিংগাইরে কিশোর গ্যাংদের হাতে খুন হলেন স্কুল ছাত্র রাহুল ইসলাম খান মাগুরা আলোকদিয়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ খুন রাজধানীতে থেমে নেই যুবলীগ নেতা নুর ইসলামের চাঁদাবাজি-ত্রাসের রাজত্ব! রূপগঞ্জে সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা সরকারি রাস্তা উদ্ধার শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: খালাস পেলো ৩

ছাত্রলীগের আসামি ছাড়াতে গিয়ে অপদস্থ ছাত্রদল নেতা বাপ্পি

পল্লবীতে আলোচিত ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতা সবুজ খানকে রক্ষা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছাত্রদলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। শুক্রবার, ২ মার্চ ২০২৫, মিরপুর ১১-এর সাংবাদিক প্লট এলাকার পশ্চিম পাশে ‘অপদা বিল্ডিং’-এর সামনে ছদ্মবেশে উপস্থিত সবুজ খানকে আটক করেন ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীরা।

ঘটনার সময় সবুজ খান আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন। তার সন্দেহজনক আচরণ দেখে এক যুবদল কর্মী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া করে যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে।

ঘটনার মোড় ঘুরে যায়, যখন পল্লবী থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. বাপ্পি প্রকাশ্যে সবুজকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তদবির শুরু করেন। যুবদল নেতারা জানান, বাপ্পি তখন বলেন, “ভাই, বাদ দেন, ওরে ছাইড়া দেন। কিছু ব্যবস্থা হইব।” এতে যুবদল নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাপ্পিকে মারধর করেন। পরে বাপ্পি যুবদলের নেতাদের পা ধরে ক্ষমা চান।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে হঠাৎ করেই বাপ্পি পল্লবী থানা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পান, যদিও তার আগে রাজনৈতিকভাবে তার কোনো সক্রিয়তা ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পল্লবী ও বাউনিয়াবাধ এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সবুজ ছাড়াও আল আমিন, তাহমিদসহ একাধিক আওয়ামীপন্থী নেতাকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিয়ে আসছেন।

সূত্র মতে, বাপ্পির সঙ্গে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদেরও সখ্যতা রয়েছে—যাদের মধ্যে রয়েছেন খলিলুর রহমান, সুলতান সরদার, জুয়েল রানা, ছাত্রলীগের মহিউদ্দিন, আল আমিন নাইম। তিনি মাসিকভাবে তাদের অর্থ সহায়তাও পাঠান বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকেও তিনি মূলত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রকল্পে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

পল্লবী থানা যুবদলের আহ্বায়ক নুর সালাম বলেন,
“বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেউ ছাত্রলীগ বা নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের পক্ষে দাঁড়ালে তার বিরুদ্ধে হাইকমান্ডের নির্দেশে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পল্লবী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল খন্দকার বলেন,
“বিষয়টি আমিও শুনেছি। বাপ্পির পরিচয় থাকতেই পারে, তবে তিনি সহসভাপতি হলেও ছাত্রদলের কোনো মিটিং-মিছিলে তাকে দেখা যায়নি। তার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় দল নেবে না। উর্ধ্বতন নেতৃত্ব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ বলেন,
“এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম

ছাত্রলীগের আসামি ছাড়াতে গিয়ে অপদস্থ ছাত্রদল নেতা বাপ্পি

আপডেট টাইম : ০৪:২১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

পল্লবীতে আলোচিত ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতা সবুজ খানকে রক্ষা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছাত্রদলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। শুক্রবার, ২ মার্চ ২০২৫, মিরপুর ১১-এর সাংবাদিক প্লট এলাকার পশ্চিম পাশে ‘অপদা বিল্ডিং’-এর সামনে ছদ্মবেশে উপস্থিত সবুজ খানকে আটক করেন ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীরা।

ঘটনার সময় সবুজ খান আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন। তার সন্দেহজনক আচরণ দেখে এক যুবদল কর্মী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া করে যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে।

ঘটনার মোড় ঘুরে যায়, যখন পল্লবী থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. বাপ্পি প্রকাশ্যে সবুজকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তদবির শুরু করেন। যুবদল নেতারা জানান, বাপ্পি তখন বলেন, “ভাই, বাদ দেন, ওরে ছাইড়া দেন। কিছু ব্যবস্থা হইব।” এতে যুবদল নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাপ্পিকে মারধর করেন। পরে বাপ্পি যুবদলের নেতাদের পা ধরে ক্ষমা চান।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে হঠাৎ করেই বাপ্পি পল্লবী থানা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পান, যদিও তার আগে রাজনৈতিকভাবে তার কোনো সক্রিয়তা ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পল্লবী ও বাউনিয়াবাধ এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সবুজ ছাড়াও আল আমিন, তাহমিদসহ একাধিক আওয়ামীপন্থী নেতাকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিয়ে আসছেন।

সূত্র মতে, বাপ্পির সঙ্গে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদেরও সখ্যতা রয়েছে—যাদের মধ্যে রয়েছেন খলিলুর রহমান, সুলতান সরদার, জুয়েল রানা, ছাত্রলীগের মহিউদ্দিন, আল আমিন নাইম। তিনি মাসিকভাবে তাদের অর্থ সহায়তাও পাঠান বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকেও তিনি মূলত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রকল্পে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

পল্লবী থানা যুবদলের আহ্বায়ক নুর সালাম বলেন,
“বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেউ ছাত্রলীগ বা নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের পক্ষে দাঁড়ালে তার বিরুদ্ধে হাইকমান্ডের নির্দেশে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পল্লবী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল খন্দকার বলেন,
“বিষয়টি আমিও শুনেছি। বাপ্পির পরিচয় থাকতেই পারে, তবে তিনি সহসভাপতি হলেও ছাত্রদলের কোনো মিটিং-মিছিলে তাকে দেখা যায়নি। তার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় দল নেবে না। উর্ধ্বতন নেতৃত্ব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ বলেন,
“এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”