ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ছাত্রদলের বিপক্ষে মব সৃষ্টি করছে শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা: নাছির ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায় দেশের মানুষ, নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না – মোস্তফা জামান ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে, এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না: ফখরুল বীর মুক্তিযোদ্ধা খ.ম. আমীর আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ: মুক্তিযোদ্ধা ও জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ জুলাই শহিদদের প্রকৃত সম্মান হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিধি ভংগ করে পিডি নিয়োগ বরগুনা নির্বাচন অফিসে ভয়াবহ আগুন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর তথ্য আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযান শুরু

লালমোহনে মৃত সালমার ভাইদের প্রতারণা  ভাগ্নি- ভাগিনার টাকা – জমি আত্মসাৎ বন্ধ রাখে বোনের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু

বোনের সাথে ভাইদের প্রতারণা ,ডায়ালাইসিস এক মাস বন্ধ করায় বিনা চিকিৎসায় বোন সালমা বেগমের  মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন তার কন্যা  ফারজানা ও  ছেলে দিদারুল ইসলাম নয়ন  এবং মেয়ের জামাই (ফারজানার স্বামী) মিলন হোসেন । সালমা বেগমের যে ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন –

মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ জুয়েল ,মোহাম্মদ রুবেল ও মোহাম্মদ রাজিব সর্ব পিতা – কাঞ্চন সাহারা আলী (সালমার পিতা ) ঠিকানা – ডাওরি ৩ নং ওয়ার্ড (সাহারা আলী বাড়ি ) থানা- লালমোহন,  জেলা ভোলা । সালমা বেগম কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ আব্দুল মুকিত এর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন কয়েক মাস গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং সালমা বেগমের লাস্ট ডায়ালাইসিস হয় ধানমন্ডির ইডেন মাল্টিকেয়ার হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এ, এরপর সালমাকে তার উপরোক্ত ভাইয়েরা মিলে রাজধানীর দারুস সালাম থানার আহমেদনগরে থাকা সালমার মেয়ের জামাই (ফারজানার স্বামী)  মিলন হোসেনের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক সালমা বেগমকে উন্নত  চিকিৎসার কথা বলে গ্রামে নিয়ে যায় কিন্তু তারা সেখানে নিয়ে তার ডায়ালিসিস বন্ধ সহ সকল চিকিৎসা বন্ধ রেখে সালমার চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বাক্ষর লাগবে মর্মে একটি স্বাক্ষর নেয় এবং সেই স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩৯ শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে তারা লিখে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে যার দলিল নং ২২৩৪ বিএস খতিয়ান নং ৯০৪, জমা খারিজ নং ৭৫১০ , দলিল হয় ২০ মে ২০২৫ ইং বলে জানান সালমা বেগমের আত্মীয়-স্বজন   , এছাড়াও এর আগে সালমার বিদেশে পরিশ্রম করা আয় ৫ লক্ষ টাকা ( সালমার ভাই রুবেল ) গাড়ি ক্রয় করার জন্য  হাওলাত নিয়ে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ আছে এবং ভাইদের কাছে আমানত রাখা বাংলাদেশী ১১ লক্ষ টাকা  সমমান( রিয়াল)  এবং ভাইদের কাছে আমানত হিসাবে রাখা ১৯ বড়ি স্বর্ণ অলংকার আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে , এদিকে সালমাকে জোর পূর্বক ভোলার লালমোহনে নিয়ে চিকিৎসা বিহীন রাখায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা শুনে সালমা বেগমের সন্তানেরা ও তার মেয়ের জামাই মিলন  হোসেন তাদের প্রতি  চাপ প্রয়োগ  করলে তারা সালমাকে ঢাকায় নিয়ে আসতে বাধ্য হন গত ২৩ মে (সকাল বেলা) ২০২৫ ইং সেদিনই বিকাল বেলা সালমা বেগমের মৃত্যু হয় কিডনি বিশেষজ্ঞ  ডাক্তার মো: আব্দুল মুকিত এর চিকিৎসাধীন  ঢাকার আল মানার হাসপাতালে ,

এ ব্যাপারে ডাক্তার মোঃ আব্দুল মুকিত বলেন সালমা বেগমকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালিসিস করাতে হবে এরকম পরামর্শ দেওয়া ছিল  কিন্তু তার অভিভাবকরা তা না করে ডায়ালাইসিস প্রায় একমাস বন্ধ করে রেখেছিল এজন্যই রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং দ্রুত চিকিৎসার অভাবে  মৃত্যু বরণ করেন ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদলের বিপক্ষে মব সৃষ্টি করছে শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা: নাছির

লালমোহনে মৃত সালমার ভাইদের প্রতারণা  ভাগ্নি- ভাগিনার টাকা – জমি আত্মসাৎ বন্ধ রাখে বোনের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৫:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

বোনের সাথে ভাইদের প্রতারণা ,ডায়ালাইসিস এক মাস বন্ধ করায় বিনা চিকিৎসায় বোন সালমা বেগমের  মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন তার কন্যা  ফারজানা ও  ছেলে দিদারুল ইসলাম নয়ন  এবং মেয়ের জামাই (ফারজানার স্বামী) মিলন হোসেন । সালমা বেগমের যে ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন –

মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ জুয়েল ,মোহাম্মদ রুবেল ও মোহাম্মদ রাজিব সর্ব পিতা – কাঞ্চন সাহারা আলী (সালমার পিতা ) ঠিকানা – ডাওরি ৩ নং ওয়ার্ড (সাহারা আলী বাড়ি ) থানা- লালমোহন,  জেলা ভোলা । সালমা বেগম কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ আব্দুল মুকিত এর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন কয়েক মাস গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং সালমা বেগমের লাস্ট ডায়ালাইসিস হয় ধানমন্ডির ইডেন মাল্টিকেয়ার হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এ, এরপর সালমাকে তার উপরোক্ত ভাইয়েরা মিলে রাজধানীর দারুস সালাম থানার আহমেদনগরে থাকা সালমার মেয়ের জামাই (ফারজানার স্বামী)  মিলন হোসেনের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক সালমা বেগমকে উন্নত  চিকিৎসার কথা বলে গ্রামে নিয়ে যায় কিন্তু তারা সেখানে নিয়ে তার ডায়ালিসিস বন্ধ সহ সকল চিকিৎসা বন্ধ রেখে সালমার চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বাক্ষর লাগবে মর্মে একটি স্বাক্ষর নেয় এবং সেই স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩৯ শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে তারা লিখে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে যার দলিল নং ২২৩৪ বিএস খতিয়ান নং ৯০৪, জমা খারিজ নং ৭৫১০ , দলিল হয় ২০ মে ২০২৫ ইং বলে জানান সালমা বেগমের আত্মীয়-স্বজন   , এছাড়াও এর আগে সালমার বিদেশে পরিশ্রম করা আয় ৫ লক্ষ টাকা ( সালমার ভাই রুবেল ) গাড়ি ক্রয় করার জন্য  হাওলাত নিয়ে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ আছে এবং ভাইদের কাছে আমানত রাখা বাংলাদেশী ১১ লক্ষ টাকা  সমমান( রিয়াল)  এবং ভাইদের কাছে আমানত হিসাবে রাখা ১৯ বড়ি স্বর্ণ অলংকার আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে , এদিকে সালমাকে জোর পূর্বক ভোলার লালমোহনে নিয়ে চিকিৎসা বিহীন রাখায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা শুনে সালমা বেগমের সন্তানেরা ও তার মেয়ের জামাই মিলন  হোসেন তাদের প্রতি  চাপ প্রয়োগ  করলে তারা সালমাকে ঢাকায় নিয়ে আসতে বাধ্য হন গত ২৩ মে (সকাল বেলা) ২০২৫ ইং সেদিনই বিকাল বেলা সালমা বেগমের মৃত্যু হয় কিডনি বিশেষজ্ঞ  ডাক্তার মো: আব্দুল মুকিত এর চিকিৎসাধীন  ঢাকার আল মানার হাসপাতালে ,

এ ব্যাপারে ডাক্তার মোঃ আব্দুল মুকিত বলেন সালমা বেগমকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালিসিস করাতে হবে এরকম পরামর্শ দেওয়া ছিল  কিন্তু তার অভিভাবকরা তা না করে ডায়ালাইসিস প্রায় একমাস বন্ধ করে রেখেছিল এজন্যই রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং দ্রুত চিকিৎসার অভাবে  মৃত্যু বরণ করেন ।