ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবে বিএনপি – আমিনুল হক অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা বিতরণ জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে আবার যোগ দিল গণফোরাম-সিপিবি গিভিংটুইসডে মুভমেন্টের কমিউনিটি ডিরেক্টর হলেন হাসান মাহামুদ দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, প্রস্তুত গুলশানে বাড়ি সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ! বহাল তবিয়তে আছেন আওয়ামী সুবিধাভোগী প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল হক! শরীয়তপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত লালমোহনে মৃত সালমার ভাইদের প্রতারণা  ভাগ্নি- ভাগিনার টাকা – জমি আত্মসাৎ বন্ধ রাখে বোনের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে আবার যোগ দিল গণফোরাম-সিপিবি

আব্দুল্লাহ আল শাফী-
রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম।

পরে আয়োজকদের আশ্বাসে তারা সংলাপে ফিরেন।

বুধবার (১৮ জুন) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ কথা বলতে শুরু করেন। ঠিক সে সময়ই ড. মিজানুর রহমান সংলাপস্থল ত্যাগ করেন। তার পেছন পেছন বেরিয়ে আসেন রুহিন হোসেন প্রিন্স ও শাহাদাত হোসেন সেলিম।

সংলাপস্থল ত্যাগের কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জামায়াতে ইসলামীর তিনজন নেতা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, অথচ আমাদের একজনকে কথা বলতেও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আয়োজকরা তাদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি নোট করেছেন বলেই তারা সংলাপে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমরা যখন বক্তব্য দিতে চেয়েছি, তখন আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ জামায়াত নেতারা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছিলেন। আমি বিষয়টি তুলে ধরলে একজন নেতা প্রশ্ন করেন, আপনি কতজনকে প্রতিনিধিত্ব করেন?

তিনি বলেন, এ ধরনের আচরণ সভার পরিপন্থী এবং সংলাপের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ণ করে।

সংলাপে ঘটে যাওয়া এই অপ্রীতিকর ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তারা ওয়াকআউট করা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সম্মেলন কক্ষে ফিরিয়ে আনেন।

ঘটনার কিছুক্ষণ পর তিন নেতা আবারও সংলাপ কক্ষে প্রবেশ করেন এবং বৈঠকে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, ভবিষ্যতে সকল অংশগ্রহণকারী দলের নেতাদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবে বিএনপি – আমিনুল হক

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে আবার যোগ দিল গণফোরাম-সিপিবি

আপডেট টাইম : ১২:৫৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

আব্দুল্লাহ আল শাফী-
রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম।

পরে আয়োজকদের আশ্বাসে তারা সংলাপে ফিরেন।

বুধবার (১৮ জুন) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ কথা বলতে শুরু করেন। ঠিক সে সময়ই ড. মিজানুর রহমান সংলাপস্থল ত্যাগ করেন। তার পেছন পেছন বেরিয়ে আসেন রুহিন হোসেন প্রিন্স ও শাহাদাত হোসেন সেলিম।

সংলাপস্থল ত্যাগের কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জামায়াতে ইসলামীর তিনজন নেতা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, অথচ আমাদের একজনকে কথা বলতেও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আয়োজকরা তাদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি নোট করেছেন বলেই তারা সংলাপে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমরা যখন বক্তব্য দিতে চেয়েছি, তখন আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ জামায়াত নেতারা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছিলেন। আমি বিষয়টি তুলে ধরলে একজন নেতা প্রশ্ন করেন, আপনি কতজনকে প্রতিনিধিত্ব করেন?

তিনি বলেন, এ ধরনের আচরণ সভার পরিপন্থী এবং সংলাপের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ণ করে।

সংলাপে ঘটে যাওয়া এই অপ্রীতিকর ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তারা ওয়াকআউট করা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সম্মেলন কক্ষে ফিরিয়ে আনেন।

ঘটনার কিছুক্ষণ পর তিন নেতা আবারও সংলাপ কক্ষে প্রবেশ করেন এবং বৈঠকে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, ভবিষ্যতে সকল অংশগ্রহণকারী দলের নেতাদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।