বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশের সুপরিচিত সামাজিক সংগঠন দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন -এর নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকার রামপুরাকে তাঁর নিজ বাসভবনে গিয়ে এই সাক্ষাৎ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান অপূর্ব ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সাক্ষাৎকালে তারা এই কিংবদন্তি শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দীর্ঘ সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আসন্ন একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হয় আনোয়ারার কাছ থেকে। জবাবে তিনি বলেন,তোমার পরিকল্পনা ভালো, এগিয়ে যাও। আমি পাশে আছি।তিনি আরও জানান,আগের মতো এখন আর যেতে পারি না। বয়স হয়েছে, শরীর ঠিক নেই। তবে আমার মেয়ে রুমানা ইসলাম (মুক্তি) সবসময় তোমাদের পাশে থাকবে।
দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সৌজন্য সাক্ষাৎ কেবল সম্মান প্রদর্শনের অংশ নয়, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শিল্প ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আনোয়ারা জামাল ১৯৪৮ সালের ১ জুন কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। নৃত্যশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও মাত্র ১৪–১৫ বছর বয়সে ১৯৬১ সালে ‘আজান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক ঘটে। এরপর ‘উত্তরণ’ ও ‘নাচঘর’–এ অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
১৯৬৭ সালে ‘বালা’ ছবিতে প্রথমবার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে আলেয়া চরিত্রে অভিনয়।
তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে: ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সখিনার যুদ্ধ’
সেরা অভিনেত্রী‘শুভদা’
(১৯৮৬),আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ২০২০ সালে।
২০২২ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে আনোয়ারার স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তিতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে বলে জানায় পরিবার। তাঁর দেখাশোনা করছেন একমাত্র মেয়ে রুমানা ইসলাম মুক্তি, যিনি নিজেও একজন সফল অভিনেত্রী।
আনোয়ারা বেগম ঢাকাই চলচ্চিত্রে একজন সুপরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি বহু বছর ধরে নায়িকা ও মা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন কিংবদন্তী এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও তার পরিবার।