ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর তথ্য আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযান শুরু চারজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি, আর পুলিশ বলছে ‘রাজনৈতিক পরিচয় মেলেনি’ শালিখায় পারিবারিক কলহে স্বামীর শাবলের আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান মিটফোর্ডের ঘটনায় জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদপুরে সাবেক ডিআইজির বাড়িতে গৃহবধু ধর্ষন নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক নতুন ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চমকে দিলেন ইউএনও

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর তথ্য

অনলাইন ডেস্ক-
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পৈশাচিক কায়দায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এমনটিই দাবি করেছেন একাধিক সামরিক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। গোয়েন্ধা সংস্থা বিএনপিকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর সব তথ্য।

তারা বলছেন, গোয়েন্দা সংস্থার মদদে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে যেভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং রাতারাতি একযোগে সারাদেশে বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একই কায়দায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঢেউ তোলা হয়েছে, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। প্রায় একই সময়ে যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যার ঘটনায় কেন সবাই নীরব ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপির বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট অপপ্রচারের পেছনে একটি ইসলামী ক্যাডারভিত্তিক দলকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনার মহানগরের দৌলতপুর পশ্চিম মহেশ্বরপাশা এলাকায় থানা যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই নেতার নিজ বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ওই নেতার নাম মাহবুবুর রহমান মোল্লা (৩৮)। তিনি দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি।

ফেসবুকে এক লাইভে অব: লে: কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান মিটফোর্ডের ঘটনায় ডিজিএফআইকে সরাসরি দায়ী করেছেন। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, তারেক জিয়া আন্দোলন চলাকালে ওখানে (লন্ডন) কোনো একটা প্লান করছেন, ডিজিএফআই-এনএসআই সঙ্গে সঙ্গে এখান থেকে তা জেনে যেত। এটা (মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড) বুঝার জন্য যথেষ্ট।

তিনি বলেন, পাথর মেরে একজনকে মারল। আর একজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার পুরো ভিডিও করল। এখানে একটা জিনিস খেয়াল করতে হবে, একটা স্বাভাবিকভাবে এরকম একটা ঘৃণ্য পরিস্থিতি ঘটছে, একজনকে লাঠি দিয়ে বা পাথর দিয়ে মারা হচ্ছে। সাধারণ জনগণ তখন কী করবে? ওরা তো পালিয়ে চলে যাবে। এটা কিন্তু ওই পরিস্থিতি না।

একজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরোটা ভিডিও করেছে এবং যে পজিশন থেকে পুরো ভিডিওটা করেছে, যারা পাথর মারছিল তাদের এটা বোঝার কথা। কারণ ভিডিওটা যে করছে সে ওর দিক থেকে এসে পাথর মারতেছে। যেখান থেকে ভিডিওটা করছে সে দিক থেকে গিয়ে পাথর মারছে। এটা পরিকল্পিত’’ বলেন কর্নেল মুস্তাফিজুর।

তিনি তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহে পূর্বে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই যে দক্ষতা দেখিয়েছে তা তুলে ধরেন। প্রশ্ন তোলেন, এই সংস্থাগুলি চায়লেই কি মিটফোর্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেন না? গোয়েন্দারা অস্থিরতা তৈরির জন্য ভারতীয় পরামর্শে এসব কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতি শক্তভাবে মোকাবেলা করতে হলে বিএনপিকে লাগবে মন্তব্য করে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপিকে দুর্বল করতে পারলে কে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে? ভারত লাভবান হবে। এসময় তিনি বিএনপির কৌশলগত কিছু ভুলের সমালোচনা করেন। তিনি পরামর্শ দেন, তারেক জিয়ার আশেপাশে যারা আছে তাদের সিকিউরিটি ভেরিফিকেশন (অন্য কারোর সাথে কোনো সংযোগ আছে কিনা যাচাই করা) করা দরকার। কারোর কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হচ্ছে কিনা?

তিনি জনগণের স্পন্দন বোঝার জন্য বিএনপির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। দেশের ভেতর থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন যে, বিএনপির তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জেনারেল ওয়াকার এবং চুপ্পুকে অপসারণের জন্য সরকারের সাথে আলোচনা করা। কারণ তার দাবি মতে, তারা দুজনেই সুযোগ বুঝে বিএনপির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে।

এদিকে, এঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে দলীয় কোন্দলকে প্রচার করা হয়েছে চাঁদাবাজি হিসেবে। বিস্তারি তুলে ধরে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি আসলে যুবদলের (যুবদল) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে, স্থানীয় ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।

ইলিয়াস দাবি করেন, ডিজিএফআই রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং জনমতকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত করার সাথে জড়িত। ডিজিএফআই ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ঘটনার সংবাদ যেভাবে তৈরি করে দিয়েছে, তাদের প্রভাবিত মিডিয়াগুলো তা সেভাবেই ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামরিক বাহিনী থেকে ফ্যাসিস্ট দোসরদের এখনও না সরানোয় তীব্র ক্ষোভ করেন তিনি। বলেন, এরাই বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রবাসী লেখক পিনাকী ভট্যাচার্য্য মন্তব্য করেছেন, বিএনপির চান্দাবাজ দুর্বৃত্ত অংশকে আষ্কারা দিয়ে মাঠে নামিয়েছে ডিজিএফআই। ডিজিএফআইয়ের লক্ষ্যই ছিলো বিএনপির বেপোরোয়া অংশকে দিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করা যেন বিএনপি ঘৃনিত রাজনৈতিক শক্তিতে পরিনত হয়। যেন বিএনপিকে এভাবেই একেবারে ধ্বংস করে দেয়া যায়।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি ডিজিএফআইয়ের গ্রান্ড ডিজাইনটা বুঝতে পারতেছেন? প্রশ্ন করেন, কে তাদের সাহস দিছে এইভাবে খুন করা যায়? কে খুনের সময়ে ক্যামেরায় নিখুঁত ভাবে ভিডিও করলো? চাদা না পেয়ে খুন করা একরকম। কিন্তু বীভৎসভাবে খুনের স্পেক্টাকল কার পরিকল্পনায়? অবাক লাগেনা? যেন ক্যামেরাম্যান জানতো এই ঘটনা ঘটবেই।

 

সূত্র- দৈনিক ইনকিলাব

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর তথ্য

আপডেট টাইম : ০২:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক-
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পৈশাচিক কায়দায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এমনটিই দাবি করেছেন একাধিক সামরিক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। গোয়েন্ধা সংস্থা বিএনপিকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর সব তথ্য।

তারা বলছেন, গোয়েন্দা সংস্থার মদদে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে যেভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং রাতারাতি একযোগে সারাদেশে বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একই কায়দায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঢেউ তোলা হয়েছে, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। প্রায় একই সময়ে যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যার ঘটনায় কেন সবাই নীরব ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপির বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট অপপ্রচারের পেছনে একটি ইসলামী ক্যাডারভিত্তিক দলকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনার মহানগরের দৌলতপুর পশ্চিম মহেশ্বরপাশা এলাকায় থানা যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই নেতার নিজ বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ওই নেতার নাম মাহবুবুর রহমান মোল্লা (৩৮)। তিনি দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি।

ফেসবুকে এক লাইভে অব: লে: কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান মিটফোর্ডের ঘটনায় ডিজিএফআইকে সরাসরি দায়ী করেছেন। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, তারেক জিয়া আন্দোলন চলাকালে ওখানে (লন্ডন) কোনো একটা প্লান করছেন, ডিজিএফআই-এনএসআই সঙ্গে সঙ্গে এখান থেকে তা জেনে যেত। এটা (মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড) বুঝার জন্য যথেষ্ট।

তিনি বলেন, পাথর মেরে একজনকে মারল। আর একজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার পুরো ভিডিও করল। এখানে একটা জিনিস খেয়াল করতে হবে, একটা স্বাভাবিকভাবে এরকম একটা ঘৃণ্য পরিস্থিতি ঘটছে, একজনকে লাঠি দিয়ে বা পাথর দিয়ে মারা হচ্ছে। সাধারণ জনগণ তখন কী করবে? ওরা তো পালিয়ে চলে যাবে। এটা কিন্তু ওই পরিস্থিতি না।

একজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরোটা ভিডিও করেছে এবং যে পজিশন থেকে পুরো ভিডিওটা করেছে, যারা পাথর মারছিল তাদের এটা বোঝার কথা। কারণ ভিডিওটা যে করছে সে ওর দিক থেকে এসে পাথর মারতেছে। যেখান থেকে ভিডিওটা করছে সে দিক থেকে গিয়ে পাথর মারছে। এটা পরিকল্পিত’’ বলেন কর্নেল মুস্তাফিজুর।

তিনি তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহে পূর্বে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই যে দক্ষতা দেখিয়েছে তা তুলে ধরেন। প্রশ্ন তোলেন, এই সংস্থাগুলি চায়লেই কি মিটফোর্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেন না? গোয়েন্দারা অস্থিরতা তৈরির জন্য ভারতীয় পরামর্শে এসব কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতি শক্তভাবে মোকাবেলা করতে হলে বিএনপিকে লাগবে মন্তব্য করে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপিকে দুর্বল করতে পারলে কে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে? ভারত লাভবান হবে। এসময় তিনি বিএনপির কৌশলগত কিছু ভুলের সমালোচনা করেন। তিনি পরামর্শ দেন, তারেক জিয়ার আশেপাশে যারা আছে তাদের সিকিউরিটি ভেরিফিকেশন (অন্য কারোর সাথে কোনো সংযোগ আছে কিনা যাচাই করা) করা দরকার। কারোর কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হচ্ছে কিনা?

তিনি জনগণের স্পন্দন বোঝার জন্য বিএনপির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। দেশের ভেতর থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন যে, বিএনপির তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জেনারেল ওয়াকার এবং চুপ্পুকে অপসারণের জন্য সরকারের সাথে আলোচনা করা। কারণ তার দাবি মতে, তারা দুজনেই সুযোগ বুঝে বিএনপির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে।

এদিকে, এঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে দলীয় কোন্দলকে প্রচার করা হয়েছে চাঁদাবাজি হিসেবে। বিস্তারি তুলে ধরে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি আসলে যুবদলের (যুবদল) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে, স্থানীয় ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।

ইলিয়াস দাবি করেন, ডিজিএফআই রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং জনমতকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত করার সাথে জড়িত। ডিজিএফআই ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ঘটনার সংবাদ যেভাবে তৈরি করে দিয়েছে, তাদের প্রভাবিত মিডিয়াগুলো তা সেভাবেই ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামরিক বাহিনী থেকে ফ্যাসিস্ট দোসরদের এখনও না সরানোয় তীব্র ক্ষোভ করেন তিনি। বলেন, এরাই বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রবাসী লেখক পিনাকী ভট্যাচার্য্য মন্তব্য করেছেন, বিএনপির চান্দাবাজ দুর্বৃত্ত অংশকে আষ্কারা দিয়ে মাঠে নামিয়েছে ডিজিএফআই। ডিজিএফআইয়ের লক্ষ্যই ছিলো বিএনপির বেপোরোয়া অংশকে দিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করা যেন বিএনপি ঘৃনিত রাজনৈতিক শক্তিতে পরিনত হয়। যেন বিএনপিকে এভাবেই একেবারে ধ্বংস করে দেয়া যায়।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি ডিজিএফআইয়ের গ্রান্ড ডিজাইনটা বুঝতে পারতেছেন? প্রশ্ন করেন, কে তাদের সাহস দিছে এইভাবে খুন করা যায়? কে খুনের সময়ে ক্যামেরায় নিখুঁত ভাবে ভিডিও করলো? চাদা না পেয়ে খুন করা একরকম। কিন্তু বীভৎসভাবে খুনের স্পেক্টাকল কার পরিকল্পনায়? অবাক লাগেনা? যেন ক্যামেরাম্যান জানতো এই ঘটনা ঘটবেই।

 

সূত্র- দৈনিক ইনকিলাব