ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান! পটুয়াখালীতে সড়কের বেহাল অবস্থা, ২০ টাকার ভাড়া গুনতে হয় ৫০ টাকা ক্রীড়া ও ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে চায় বিএনপি – আমিনুল হক রূপনগরে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানের ১২ লাখ টাকা চাঁদাবাজি! মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শহীদ সারিয়ার পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক রূপনগরে ২০ হাজার গাছ রোপণের উদ্যোগ, যুবসমাজকে খেলায় ফেরানোর আহ্বান উত্তরা মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নিলেন বিএনপি মহাসচিব সড়ক দুর্ঘটনায় খবর বাংলাদেশ’র অনিক আহত মিরপুরে যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শাহ্আলী থানা ঘেরাও রাতে আটক যুবদল নেতা সকালে মৃত্যু, শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন!

রূপনগরে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানের ১২ লাখ টাকা চাঁদাবাজি!

স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ২০২২ সালে হাই কোর্টের এক জারিকারক মোঃ রফিকুল ইসলাম ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে রাজধানী মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় ২৩ নম্বর রোডের, ২৪ নম্বর বাড়ীর, ৮ম তলার একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। ফ্ল্যাটটি সমস্যা থাকার কারণে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেননি ফ্ল্যাট মালিক হাজী মোঃ জাকির হোসেন রতন। ৩ বছর পর রফিকুল ইসলাম তার টাকা ফেরৎ চাইলে ফ্ল্যাট মালিক তার ৩৪ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে রাজি হন। কিন্তু ৩৪ লাখ টাকা রফিকুল ইসলাম নিবে না, উনাকে দিতে হবে মূল টাকার সাথে আরও ১৬ লাখ টাকা বেশি, অর্থাৎ মোট দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা। ফ্ল্যাট মালিক অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রফিকুল ইসলাম, রূপনগরের বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানকে ভাড়া করে আনেন টাকা তোলার জন্য। এবং গত ২৭ মে ২০২৫ইং তারিখে রাত ৯টার সময় বাড়ীওয়ালা হাজী জাকির হোসেন রতনের রূপনগরের আরামবাগ এলাকার ১৯নং রোডের ৪৮নং বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ৫০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়ার জন্য বাড়ীওয়ালাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যয়ে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার বদলে ৪৬ লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে তিন শত টাকার ষ্ট্যাম্পে জোর পূর্বক লিখিত করে স্বাক্ষর নেন বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নান। এবং দুই মাসের মধ্যে ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কোর্টের একজন জারিকারক হয়ে এতো টাকা কোথায় পেলো এমন প্রশ্নের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে নিরাপত্তায় রাখাতে ষ্ট্যাম্পে ফ্ল্যাটের ক্রয়-বিক্রয় অথবা টাকা ফেরতের কোন কথা উল্লেখ করেননি ওই দূধর্ষ হাই কোর্টের জারিকারক রফিকুল ইসলাম। তার মানে আতিরিক্ত টাকা নেতাদের চাঁদাবাজি?
বর্তমানে ৪৬ লাখ টাকা তোলার জন্য প্রায় সময় বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নান বাড়ীওয়ালা হাজী মোঃ জাকির হোসেন রতনের অফিসে গিয়ে টাকা পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে আসেন। এবং বলে আসেন আমরা বিএনপির এই এলাকার নেতা আমাদের কথা মোতাবেক টাকা না দিলে ঝামেলায় পড়ে যাবেন।

জারিকারক রফিকুলের চাকরি হয় স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এবং সে ছিলো সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের নিকটত্বম আত্বীয় এবং উনার সুপারিশে জারিকারকের চাকরিটা পান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

রূপনগরে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানের ১২ লাখ টাকা চাঁদাবাজি!

আপডেট টাইম : ০১:০১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ২০২২ সালে হাই কোর্টের এক জারিকারক মোঃ রফিকুল ইসলাম ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে রাজধানী মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় ২৩ নম্বর রোডের, ২৪ নম্বর বাড়ীর, ৮ম তলার একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। ফ্ল্যাটটি সমস্যা থাকার কারণে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেননি ফ্ল্যাট মালিক হাজী মোঃ জাকির হোসেন রতন। ৩ বছর পর রফিকুল ইসলাম তার টাকা ফেরৎ চাইলে ফ্ল্যাট মালিক তার ৩৪ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে রাজি হন। কিন্তু ৩৪ লাখ টাকা রফিকুল ইসলাম নিবে না, উনাকে দিতে হবে মূল টাকার সাথে আরও ১৬ লাখ টাকা বেশি, অর্থাৎ মোট দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা। ফ্ল্যাট মালিক অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রফিকুল ইসলাম, রূপনগরের বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানকে ভাড়া করে আনেন টাকা তোলার জন্য। এবং গত ২৭ মে ২০২৫ইং তারিখে রাত ৯টার সময় বাড়ীওয়ালা হাজী জাকির হোসেন রতনের রূপনগরের আরামবাগ এলাকার ১৯নং রোডের ৪৮নং বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ৫০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়ার জন্য বাড়ীওয়ালাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যয়ে জারিকারক রফিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার বদলে ৪৬ লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে তিন শত টাকার ষ্ট্যাম্পে জোর পূর্বক লিখিত করে স্বাক্ষর নেন বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নান। এবং দুই মাসের মধ্যে ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কোর্টের একজন জারিকারক হয়ে এতো টাকা কোথায় পেলো এমন প্রশ্নের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে নিরাপত্তায় রাখাতে ষ্ট্যাম্পে ফ্ল্যাটের ক্রয়-বিক্রয় অথবা টাকা ফেরতের কোন কথা উল্লেখ করেননি ওই দূধর্ষ হাই কোর্টের জারিকারক রফিকুল ইসলাম। তার মানে আতিরিক্ত টাকা নেতাদের চাঁদাবাজি?
বর্তমানে ৪৬ লাখ টাকা তোলার জন্য প্রায় সময় বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নান বাড়ীওয়ালা হাজী মোঃ জাকির হোসেন রতনের অফিসে গিয়ে টাকা পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে আসেন। এবং বলে আসেন আমরা বিএনপির এই এলাকার নেতা আমাদের কথা মোতাবেক টাকা না দিলে ঝামেলায় পড়ে যাবেন।

জারিকারক রফিকুলের চাকরি হয় স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এবং সে ছিলো সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের নিকটত্বম আত্বীয় এবং উনার সুপারিশে জারিকারকের চাকরিটা পান।