রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম থানাধীন দক্ষিণ বিশিল এলাকায় দুর্বৃত্তর গুলিতে তাহমিনা রহমান রানু (৪০) নামে এক নারী মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার ৪ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১:৩০ মিনিটের সময় মিরপুর ১ দক্ষিণ বিশিলের ৭ নং রোডের ১৬২/২ নং বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হোসেন।
তাহমিনা রহমান রানু স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম (এনা)’র ছোট বোন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম ( এনা)’র ছোট ভাই ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বাবু কে তার দক্ষিণ বিশিলের ৭ নং রোডে অবস্থিত Deep First Network নামক ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে হত্যা করার উদ্দেশ্য ধাওয়া করে সন্ত্রাসী দুর্বৃত্তরা। জীবন বাঁচাতে দৌড়ে দক্ষিণ বিশিলের একই রোডের ১৬২/২, নীজ খালার বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাবু। দুর্বৃত্তরাও বাবুর পিছনে পিছনে সেই বাড়িতে ঢুকে বাবুকে লক্ষ্যকরে একটি গুলি করে। বোন তাহমিনা ভাই বাবুকে টান দিয়ে রুমের ভিতরে ঢুকিয়ে দিলে সেই গুলি বোন তাহমিনা রহমান রানু’র মাথায় গিয়ে লাগলে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে রানু।
তবে বিষয়টির ব্যাপারে ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত রানু’র খালা। তিনি বলেন, আমার ভাগিনা বাবু’র ইন্টারনেট ব্যবসা দেখাশোনা করতো আমার ভাগ্নি রানু। গতরাত ১:৩০ টার দিকে ব্যবসায়ীক খোঁজখবর ও হিসাব নিকাশের জন্য আমার বাসায় আসে বাবু। ব্যবসায়ীক বিষয় নিয়ে আমরা ৩ জন আলাপ করছিলাম এমতাবস্থায়
বাবুর পিছনে একটু দূরে ৩ জন অজ্ঞাত লোক দেখতে পেয়ে আমি বাবুকে জিজ্ঞেস করি ওরা কারা? একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা বাবুকে লক্ষ্য করে একটি গুলি করে এসময় হঠাৎই আমার ভাগ্নি রানু রুম থেকে মাথা বের করে বাবুকে সরিয়ে ঘটনাটি দেখতে গেলে গুলিটি তার মাথায় এসে লাগে এবং মুহূর্তেই রানু লুটিয়ে পড়ে। আমরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনা স্থলেই রানুর মৃত্যু হয়।
ঘটনার সাথে জড়িতদের পরিচয় ও কারন জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে খবর বাংলাদেশ কে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়ির দুইজন ভাড়াটিয়া বলেন, অনেক রাত হওয়ায় আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম আগে কি ঘটেছিল কিছুই জানিনা। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘুম থেকে উঠে অনেক লোকজন দেখতে পাই। পরে গুলি বিদ্ধ রকতাক্ত অবস্থায় রানু কে পড়ে থাকতে দেখি।
এব্যাপারে দারুসসালাম থানার (ওসি) রকিবুল হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত তাহমিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।