বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত তলনা রুহুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট”-এর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রীড়া ফেডারেশনকে ক্রীড়া উপদেষ্টা নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। তার লোকজন দিয়ে, আওয়ামী দোসরদের দিয়ে তিনি এডহক কমিটি গঠন করেছেন। এর দায়ভার একদিন তাকেই নিতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনের পরিবারগুলোর সামনে একদিন তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
“ক্রীড়াঙ্গনে ভর করেছে স্বৈরাচারের ছায়া” মন্তব্য করে আমিনুল হক অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনকেও দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। অথচ অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ যে প্রত্যাশা করেছিল তা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, “স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে আমরা ভেবেছিলাম ক্রীড়াঙ্গন নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হচ্ছে- ক্রীড়া উপদেষ্টা সেই স্বৈরাচারের মতোই স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। ফুটবল ফেডারেশন, ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা- সব জায়গায় নিজের লোক বসাচ্ছেন।”
ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “আমরা চাই ক্রিকেট বোর্ড একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হোক। কিন্তু ক্রীড়া উপদেষ্টার অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে সেই নির্বাচনেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ক্রিকেট বোর্ড প্রত্যাশা করছে।”
যুব সমাজকে মাঠমুখী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন,
“আমরা তৃণমূল থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই। একটি সমৃদ্ধশালী ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমে আমরা যুব সমাজকে মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুস্থ ও যোগ্য জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে।”
দিনের খেলায় ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে হাতিরঝিল থানা তেজগাঁও থানাকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, মহানগর সদস্য জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, নুরুল হুদা ভূঁইয়াসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।