নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সহসভাপতি হেমায়েত মোল্যা বালুর ব্যবসায় সৃষ্ট নেগেটিভ এক্সটার্নালিটিজ-এ এলাকাবাসী অতীষ্ট। মাকড়াইল পুরাতন বাসস্টপেজ থেকে নদীর তীর অভিমূখী তিনশ মিটার সংবেদনশীল রাস্তা দিয়ে বালুবাহী ভারী অবৈধ লাইসেন্সবিহীন থ্রি হুইলার লাটা দ্রুত চলাচল করায় শতশত মানুষের ও দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ও প্রায় দূর্ঘটনা ঘটছে, সরকারি রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। । প্রায়শঃ দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে এলাকাবাসী। কয়েকবার গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে গণস্বাক্ষর ও টিপসই সম্বলিত আবেদন পত্র দাখিল করেছে। রাস্তাটি বালু দ্বারা সম্পূর্ণ আবৃত হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে কাদায় এবং গ্রীষ্মকালে তীব্র ধুলায় আশপাশের জনবসতি তীব্র ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বালু নিসৃত পানিতে আশপাশের প্রতিবেশী দের গৃহালয় ও কৃষিজমি বিনষ্ট হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বালু নিসৃত জলস্রোতে গলন নেমে নদীর পাড় ভেঙ্গে অসংখ্য বসতি নদী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে।
প্রায় নারী ও শিশুরা টিকটকার থ্রি হুইলার লাটা শ্রমিক কতৃক ইভটিজিং ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। লাটা গাড়ির তীব্র কঠিন অনবরত শব্দে ও বায়ুদূষণের ফলে এলাকাবাসী অতীষ্ট। বালুর বেড সংলগ্ন গোরস্তানের নিকট লাটা চালকগন প্রায়ই (অবকাশে) মাদক সেবন করে। একটু বাতাস হলেই বালু উড়ে সবাই কে বালুময় করে তুলে।
বাল্কহেড থেকে বালু খালি করতে হাইড্রলিক পাম্প ব্যবহার করায় ভাইব্রেশনে নদীর পাড়ে ফাটল ধরে নদীভাঙ্গন প্রকট হচ্ছে, এমনকি সরকার একদিকে নদীর পাড়ের উক্ত অংশে বস্তার বাধ তৈরি করছে, অপরদিকে একই সাথে একই সময়ে উক্ত আওয়ামিলীগ নেতা নদীর পাড়ে বেড তৈরি করে সেগুলো নষ্ট করছে, ফলে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ জলে যাচ্ছে। নদীর পাড়ে বালুর বেডের মাঝে বিশাল ডিশ তৈরি হওয়ায়, ডিশ এবং নদীর মাঝামাঝি অংশ নদীতে বিলিন হওয়ার ঝুকি রয়েছে, সরকারি বস্তাগুলো চলে যাচ্ছে নদীতে। খাবারের ভিতরও বালুর উপস্থিতি দেখতে পায় এলাকাবাসী, ধুলা বালিতে আশপাশের বসতি ছেয়ে যাচ্ছে”।
উক্ত আওয়ামিলীগ নেতার বড় ভাই মোঃ নান্নু মোল্যা, ছোটভাই রহিম মোল্যার জমি জোরপূর্বক দখল করে বালুর বেড তৈরি করছে, তারাও বারবার প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়ে আসছে। সরকার, জনগন, এডিসি (Rev.), একচেন মহোদয়, টিএনও সাহেব একাধিকবার বেড অপসারনের নির্দেশ দিলেও তিনি বেড অপসারণ করছে না।
০৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে, ১১:৫৬ মিনিটে এডিসি মহোদয় উক্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বালুর বেড অপসারনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন বলে অভিযোগকারী শতাধিক ভুক্তভোগী জনগনকে আশ্বাস দেন।
এর আগে, ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১২:৪৫ টায়, এসিল্যান্ড উক্ত এলাকা পরিদর্শন করতে আসলে, উক্ত ব্যবসায়ী আ’লীগ নেতা উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুর মোল্যা কে ডেকে এনে পরিদর্শনে বাধা দিলে জনগন ক্ষোভে ফুসে উঠে।
০৭ এপ্রিল ২০২৫, সন্ধ্যা ০৭:৪০ মিনিটে উক্ত উপজেলার একজন আওয়ামিলীগ ল্যাসপেন্সার একজন ভুক্তভোগী কে ডেকে নিয়ে (এডিডাস শোরুম, লোহাগড়া) ডিসি বরাবর জনগন কতৃক প্রদত্ত লিখিত অভিযোগ পকেট থেকে বের করে হুমকি দিয়ে বলেন, “ডিসির কাছে যেটা দিছো সেটা আমার কাছে চলে আসছে” এবং সেটা প্রত্যাহারের জন্য ভুক্তভোগী কে হুমকি করে। একজন আওয়ামিলীগ নেতার পক্ষে ডিসি মহোদয় ও উক্ত আওয়ামিলীগ ল্যাসপেন্সারের এরুপ স্টান্ডবাজি করায় এবং বারবার অভিযোগ দেয়ার পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায়, জেলা প্রশাসক আওয়ামিলীগের পক্ষ হয়ে কাজ না করতে জনগন অনুরোধ করে আসছে।
জনগনের দাবি উক্তি ঘনবসতিপূণর্ এলাকা থেকে বালুর বেড অপসারণ করা অথবা উক্ত তিনশ মিটার স্কুলঅভিমূখী রাস্তা দিয়ে বালুবাহী লাটা চলাচল বন্ধ হোক।
আওয়ামী নেতাকে সুবিধা দিতে সরকারি অবকাঠামো (রাস্তা) এবং সরকারি কাজ (নদীবাধ) নষ্ট করে সরকারি অর্থ অপচয়ে না করতে জেলা প্রশাসকের প্রতি জনগন অনুরোধ করে আসছে।
শিরোনাম :
নড়াইলে আওয়ামিলীগ নেতার কাছে প্রশাসন জিম্মি?
-
নড়াইল প্রতিনিধি :
- আপডেট টাইম : ০২:৪৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস