ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফের হত্যার হুমকিতে পলাতক বাদীপক্ষ সকলকে সাথে নিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আশা ব্যক্ত করলেন মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন নড়াইলে আওয়ামিলীগ নেতার কাছে প্রশাসন জিম্মি? মনপুরার ইতিহাসে রেকর্ড পরিমান বজ্রপাত :কাকড়া শিকারীর মৃত্যু সহ ৬ গরু মহিষের মৃত্যু মির্জাগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীকে চায়ের দোকান দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লালনের তিরোধান দিবস জাতীয় দিবস ঘোষণায় কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের অভিনন্দন বাউফলে মাদ্রাসার তালা ভেঙ্গে চেয়ার ও কাগজপত্র তছনছসহ লাঞ্ছিতের অভিযোগ কালীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুর কালীগঞ্জে ট্রেন-অটোরিকশা সংঘর্ষ জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দিয়ামনি ই – কমিউনিকেশন স্টার এ্যাওয়ার্ড
কুষ্টিয়া জোড়া হত্যা মামলার ১৫ আসামির জামিন!

ফের হত্যার হুমকিতে পলাতক বাদীপক্ষ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রকাশ্যে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলার ১৫ আসামিকে জামিন দিলেন বিজ্ঞ আদালত। জামিনে মুক্ত হয়েই মামলার বাদি পক্ষকে ফের হত্যার হুমকি দেওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। প্রকাশ্য দিবালোকে দুই সহোদরকে নৃশংস হত্যাকান্ডের আসামিদের জামিন হওয়ায় সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে । জানা যায়, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের সাতারপাড়া গ্রামের বাজারে ২০২৪ সালের ৩০ শে অক্টোবর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে আপন দুই ভাই নজরুল ও হামিদকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় আহত হয় আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় ২রা নভেম্বর দৌলতপুর থানায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে সুরুজ আলী। ৬ ই মে হত্যা মামলার ১৫ আসামি বিজ্ঞ অআদালতে হাজির হলে জেল হাজতে আসামিদের প্রেরন না করেই জামিন দেন কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ সুমিয়া খানম। জামিন পেয়েই বাদীকে আদালত চত্বরেই প্রাণে হত্যার ফের হুমকি দেন জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা। এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদি ও তার পরিবারের লোকজন। এতে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বাদীপক্ষের লোকেরা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাতারপাড়া গ্রামের বাজারে পূর্বশত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দের জেরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে দুজন এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের সাতারপাড়া গ্রামের রমজান মালের ছেলে হামিদ (৫০) ও নজরুল ইসলাম মালে (৪৫)। নজরুল ব্যবসা করতেন এবং হামিদ কৃষক ছিলেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে সুরুজ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাজারে শত শত মানুষের চোখের সামনে আসামিরা আমার বাবা ও চাচাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল চারজন। তাদের মধ্যে দুজন এখনো গুরুতর আহত রয়েছে। এমন মামলার ১৫ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর আদালতেই বাদীপক্ষের লোকজনকে হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন আসামিরা। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারণ, আসামিরা যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর হামলা করতে পারে।’
হত্যাকান্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলের নিহত ব্যক্তিদের ভাতিজা আকবর ও আসমত আলী। তাঁরা এখনো অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আকবর ও আসমত আলী বলেন, ‘বিকেলে আমরা সাতারপাড়া বাজারে চা খাচ্ছিলাম। ওই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা আমাদের ওপর হামলা করে। নৃশংসভাবে কুপিয়ে আমাদের দুই চাচাকে হত্যা করে। আমরাসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হই। এখন পর্যন্ত আমরা দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। সেই আসামিরা জামিন নিয়ে আদালতেই আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা এখন কার কাছে যাব ? কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাবো ? আমরা পুরা পরিবারসহ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি । ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেও আমরা এখন ব্যার্থ ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘ডাবল মার্ডার মামলার ১৫ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল কিন্ত সেটি আমলে না নিয়েই আসামিদের জামিন দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। জামিন দেওয়াটা আদালতের এখতিয়ার এখানে আমাদের কিছুই করার থাকেনা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, বাদিপক্ষের কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস

ফের হত্যার হুমকিতে পলাতক বাদীপক্ষ

কুষ্টিয়া জোড়া হত্যা মামলার ১৫ আসামির জামিন!

ফের হত্যার হুমকিতে পলাতক বাদীপক্ষ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রকাশ্যে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলার ১৫ আসামিকে জামিন দিলেন বিজ্ঞ আদালত। জামিনে মুক্ত হয়েই মামলার বাদি পক্ষকে ফের হত্যার হুমকি দেওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। প্রকাশ্য দিবালোকে দুই সহোদরকে নৃশংস হত্যাকান্ডের আসামিদের জামিন হওয়ায় সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে । জানা যায়, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের সাতারপাড়া গ্রামের বাজারে ২০২৪ সালের ৩০ শে অক্টোবর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে আপন দুই ভাই নজরুল ও হামিদকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় আহত হয় আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় ২রা নভেম্বর দৌলতপুর থানায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে সুরুজ আলী। ৬ ই মে হত্যা মামলার ১৫ আসামি বিজ্ঞ অআদালতে হাজির হলে জেল হাজতে আসামিদের প্রেরন না করেই জামিন দেন কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ সুমিয়া খানম। জামিন পেয়েই বাদীকে আদালত চত্বরেই প্রাণে হত্যার ফের হুমকি দেন জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা। এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদি ও তার পরিবারের লোকজন। এতে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বাদীপক্ষের লোকেরা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাতারপাড়া গ্রামের বাজারে পূর্বশত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দের জেরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে দুজন এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের সাতারপাড়া গ্রামের রমজান মালের ছেলে হামিদ (৫০) ও নজরুল ইসলাম মালে (৪৫)। নজরুল ব্যবসা করতেন এবং হামিদ কৃষক ছিলেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে সুরুজ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাজারে শত শত মানুষের চোখের সামনে আসামিরা আমার বাবা ও চাচাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল চারজন। তাদের মধ্যে দুজন এখনো গুরুতর আহত রয়েছে। এমন মামলার ১৫ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর আদালতেই বাদীপক্ষের লোকজনকে হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন আসামিরা। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারণ, আসামিরা যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর হামলা করতে পারে।’
হত্যাকান্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলের নিহত ব্যক্তিদের ভাতিজা আকবর ও আসমত আলী। তাঁরা এখনো অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আকবর ও আসমত আলী বলেন, ‘বিকেলে আমরা সাতারপাড়া বাজারে চা খাচ্ছিলাম। ওই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা আমাদের ওপর হামলা করে। নৃশংসভাবে কুপিয়ে আমাদের দুই চাচাকে হত্যা করে। আমরাসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হই। এখন পর্যন্ত আমরা দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। সেই আসামিরা জামিন নিয়ে আদালতেই আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা এখন কার কাছে যাব ? কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাবো ? আমরা পুরা পরিবারসহ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি । ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেও আমরা এখন ব্যার্থ ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘ডাবল মার্ডার মামলার ১৫ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল কিন্ত সেটি আমলে না নিয়েই আসামিদের জামিন দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। জামিন দেওয়াটা আদালতের এখতিয়ার এখানে আমাদের কিছুই করার থাকেনা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, বাদিপক্ষের কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।