ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা ২ আসনে কাজী কামালের লক্ষ্যাধিক লোকের সমাবেশের প্রস্তুতি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নওগাঁর মহাদেবপুরে হোন্ডা কোম্পানি’র সাইন ১০০ মোটরসাইকেলের উদ্বোধন ইটভাটায় গাছ কাটার অভিযোগে অভিযান ট্রাকভর্তি ১১ টন কাঠ জব্দ অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শ্রমিকদল নেতা নিখোঁজ মিরপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা: সভাপতি আমিরুজ্জামান, সম্পাদক জহিরুল বিএনপি গণঅধিকার পরিষদ জোট হলে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে লড়বে মোঃ ফারুক হোসেন গুরুদাসপুর থেকে দেশের প্রথম ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফিডিং কর্মসূচি’ উদ্বোধন ভুক্তভোগীকে মামলা না করতে হুমকির অভিযোগ, যুবদল নেতার দাবি- মীমাংসার জন্য বলেছি নওগাঁ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে অনুপস্থিত টেবুনিয়া বিএডিসি কর্মকর্তা

পাবনার টেবুনিয়া বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে কর্মরত সহকারী পরিচালক (বীপ্র) কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর গত বছর বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় মামলা রুজু করে। তদন্ত শেষে সতর্কবার্তা দিয়ে এবং ভবিষ্যতে নিয়মিত অফিস করার অঙ্গীকারনামা নেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ওই সতর্কবার্তা ও অঙ্গীকারনামার পরও গত ৬ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত তিনি অফিসে উপস্থিত হচ্ছেন না। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস কক্ষে তালা ঝুলছে, জানা যায় গত ৬-৭ মাস যাবত তিনি অফিসে আসেন না।

গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তিনি অনুমোদন ছাড়া টানা ২১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। একাধিকবার শোকজ করা হলেও কোনো জবাব দেননি। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (মামলা নং-২৩/২০২৩) রুজু করা হয়। তবে সার্বিক বিবেচনায় তাকে কঠোর শাস্তি না দিয়ে সতর্ক করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আর না করার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র ও সহকর্মীদের অভিযোগ, মামলা নিষ্পত্তির পরও তিনি দায়িত্ব পালনে উদাসীন। অফিসের কাজে তাকে দেখা যায় না, অথচ নিয়মিতভাবে বেতন তুলছেন। এমন আচরণে সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

যুগ্ম পরিচালক (বীপ্র), বিএডিসি টেবুনিয়া, মোঃ মহিবুর রহমান বলেন, “বারবার শোকজ করা হলেও তিনি জবাব দেননি। মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে না আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়।”

বিএডিসি কর্মচারী চাকুরি প্রবিধানমালা ১৯৯০ অনুযায়ী, দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অসদাচরণ শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। কিন্তু অনুপস্থিতি ও নিয়ম ভঙ্গের পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে পদে রয়েছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

স্থানীয়রা বলছেন, অদৃশ্য শক্তির প্রভাবের কারণেই তিনি বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও বহাল আছেন।

ট্যাগস

মাগুরা ২ আসনে কাজী কামালের লক্ষ্যাধিক লোকের সমাবেশের প্রস্তুতি

বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে অনুপস্থিত টেবুনিয়া বিএডিসি কর্মকর্তা

আপডেট টাইম : ০২:০২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাবনার টেবুনিয়া বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে কর্মরত সহকারী পরিচালক (বীপ্র) কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর গত বছর বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় মামলা রুজু করে। তদন্ত শেষে সতর্কবার্তা দিয়ে এবং ভবিষ্যতে নিয়মিত অফিস করার অঙ্গীকারনামা নেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ওই সতর্কবার্তা ও অঙ্গীকারনামার পরও গত ৬ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত তিনি অফিসে উপস্থিত হচ্ছেন না। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস কক্ষে তালা ঝুলছে, জানা যায় গত ৬-৭ মাস যাবত তিনি অফিসে আসেন না।

গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তিনি অনুমোদন ছাড়া টানা ২১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। একাধিকবার শোকজ করা হলেও কোনো জবাব দেননি। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (মামলা নং-২৩/২০২৩) রুজু করা হয়। তবে সার্বিক বিবেচনায় তাকে কঠোর শাস্তি না দিয়ে সতর্ক করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আর না করার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র ও সহকর্মীদের অভিযোগ, মামলা নিষ্পত্তির পরও তিনি দায়িত্ব পালনে উদাসীন। অফিসের কাজে তাকে দেখা যায় না, অথচ নিয়মিতভাবে বেতন তুলছেন। এমন আচরণে সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

যুগ্ম পরিচালক (বীপ্র), বিএডিসি টেবুনিয়া, মোঃ মহিবুর রহমান বলেন, “বারবার শোকজ করা হলেও তিনি জবাব দেননি। মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে না আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়।”

বিএডিসি কর্মচারী চাকুরি প্রবিধানমালা ১৯৯০ অনুযায়ী, দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অসদাচরণ শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। কিন্তু অনুপস্থিতি ও নিয়ম ভঙ্গের পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে পদে রয়েছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

স্থানীয়রা বলছেন, অদৃশ্য শক্তির প্রভাবের কারণেই তিনি বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও বহাল আছেন।