মাগুরা শালিখা উপজেলার বুনাগাতি ইউনিয়নের মাছের চান্দী বাজার থেকে দীর্ঘ দিনের পাওনা টাকা নিয়ে একই ইউনিয়নের দেশমুখ পাড়া গ্রামের তারিকুল মন্ডল ও গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সাবেক খাটর গ্রামের আলমগীর সিদ্দিকী বাদশার মধ্যে তুমুল মারামারি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান ৮ টার সময় বুনাগাতি বাজারের মাছের চান্দী থেকে এই মারামারির ঘটনা ঘটে পরে বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা গিয়ে মারামারি ঠেকায়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় দেশমুখ পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক মন্ডলের পুত্র মোঃ তারিকুল ইসলাম (৪০) ও সাবেক খাটর গ্রামের মৃত রুস্তম মোল্লার পুত্র আলমগীর সিদ্দিকী (বাদশা) দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পূর্বের পাওনা টাকার জন্য এই মারামারি। বিশ্বস্ত গোপন সূত্রে জানা যায় বুনাগাতী বাজারের রুস্তমের মোটরসাইকেল গ্যারেজ সংলগ্ন স্থান থেকে পাওনাদার তারিকুল ইসলাম বেদম আকারে প্রহার কিল, ঘুষি ও লাথি মারে তাজ ব্রিকস প্রোপাইটর আলমগীর সিদ্দিকী (বাদশা) কে।
দেশমুখ পাড়ার মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, গত ২০১১ সালের ১ জুলাই আমার আপন ভাই হাছিবুল ১ নং ইট ৯ গাড়ী ১৮ হাজার ইট যার মূল্য ৬৩ হাজার টাকা ইট পরিশোধের সময় ফ্লাগুন মাসের মধ্যে এবং গত ২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বুনাই জিল্লু ১ নং ইট ২ গাড়ি ৪ হাজার ইট মূল্য ১৫ হাজার টাকা এই ইট পরিশোধের সময় চৈত্র মাসের মধ্যে। কিন্তু বাদশা ৭৮ হাজার নগদ টাকা নিয়ে এই ইট দেয়না তারিকুলদের। এরপর ২০২২ সালে শালিখা হাজরাহাটি পুলিশ ক্যাম্পে শালিস হওয়ার পর দিনের পর দিন পার হওয়ার পর পাওয়া যায় ২৫ হাজার টাকা, এখনও ৩৫ হাজার ৫ শত টাকা পাওয়া যাবে বাদশার কাছে। দীর্ঘ দিন ফোন ধরে না ৩ বছর পর বাড়ি আসে বুনাগাতী মাছের চান্দীর বাজারের পাশে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে দেশমুখ পাড়া ব্রীজের মাথায় আকরামের চায়ের দোকানে শালিস বসে। শালিসে উপস্থিত ছিলো ওসমান, আকরাম, তবিবার, লুৎফার বিশ্বাস, ফখরুল, কেরামত সহ আরও অনেকে এ সময় বুনাগাতি ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক তবিবার রাধাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তিনি এই ৩৫ হাজার ৫ শত টাকা দেওয়ার দায়িত্ব নেন। ২০২৫ সালে অক্টোবর মাসের শেষে ৩ কিস্তিতে ৩ মাসে টাকা পরিশোধ করবে বাদশা, আর বাদশা টাকা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলে এই টাকা নিজের থেকে সম্পূর্ণ টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে ও প্রতিশ্রুতি দেয় উপস্থিত সবার সামনে বিএনপির ওয়ার্ড সেক্রেটারি নেতা তবিবার।
এদিকে বাদশার বাড়িতে গেলে তার আপন ভাই নজরুল মোল্লা জানান, তারিকুল বুনাগাতি বাজার থেকে সকালে এলোপাতাড়ি কিল ও ঘুষি মেরেছে বাদশাকে আর বাদশা মার খেয়ে লোকলজ্জার মান সম্মানের চক্ষুর আড়ালের জন্য ঢাকায় চলে গেছে।
তবে তাজ ব্রিকসের প্রোপাইটর আলমগীর সিদ্দিকী বাদশার কাছে এলাকাসহ বাইরের লোকজন হাজার হাজার লাখ লাখ টাকা পাবে যেটা কোটি টাকায় ছাড়িয়ে যাবে। আর এজন্যই বাদশা এলাকায় আসে না রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপন করেছে।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে তারেক জিয়া তৃণমূলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা থেকে সকলের উদ্দেশ্য কড়া আদেশ ও হুশিয়ার দিয়েছেন বিএনপির কোন নেতা কোন শালিস বৈঠক ও দরবারে যেন নিজেকে না জড়ায়।