ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা ২ আসনে কাজী কামালের লক্ষ্যাধিক লোকের সমাবেশের প্রস্তুতি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নওগাঁর মহাদেবপুরে হোন্ডা কোম্পানি’র সাইন ১০০ মোটরসাইকেলের উদ্বোধন ইটভাটায় গাছ কাটার অভিযোগে অভিযান ট্রাকভর্তি ১১ টন কাঠ জব্দ অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শ্রমিকদল নেতা নিখোঁজ মিরপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা: সভাপতি আমিরুজ্জামান, সম্পাদক জহিরুল বিএনপি গণঅধিকার পরিষদ জোট হলে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে লড়বে মোঃ ফারুক হোসেন গুরুদাসপুর থেকে দেশের প্রথম ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফিডিং কর্মসূচি’ উদ্বোধন ভুক্তভোগীকে মামলা না করতে হুমকির অভিযোগ, যুবদল নেতার দাবি- মীমাংসার জন্য বলেছি নওগাঁ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

মাগুরা-২ আসনে রবিউল ইসলাম নয়ন বিএনপি থেকে সবুজ সংকেত পেলেন

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা) আসনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবুজ সংকেত দিলেন ঢাকা দক্ষিণের যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে বিজয়ের লক্ষ্যে মাগুরা-২ আসনের ভোটারদের সাথে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। নয়ন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পানি ঘাটা গ্রামের কৃতি সন্তান।
২০২৩ সালের ২৮শে অক্টোবরের আন্দোলনে তার কঠোর অবস্থান ও সাহসী ভূমিকার কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্ধনে ডিআইজি হারুনের নেতৃত্বে তাকে ক্রসফায়ার (বিচারবহির্ভূত হত্যা) এর টার্গেট বানানো হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার তাকে “শুট টু কিল” করার নির্দেশ দিয়েছিল! ২০১৪ সালে রাজপথে তরুন ছাত্রনেতা হিসেবে তার ভুমিকা বাংলার জনগণ স্বচক্ষে দেখেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে তার প্রতি যে নির্মমতা হয়েছে বাংলার জনগণ তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
২০২৪ সালে আন্দোলনকে বেগবান করতে বিগাত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে পিছু হটাতে রাজপথে তার কর্মিদের নিয়ে আন্দোলন সচল রাখেন। ডিবি পুলিশ তাকে ধরতে আবার ব্যস্থ হতে লাগলো চলে অলিগলি তল্লাশি তবুও তাকে ধরতে পারেননি। হাসিনা সরকারের প্রধান টার্গেট ছিলো রবিউল ইসলাম নয়ন।
কারন রাজনীতির মাঠে যে গুণগুলো দলকে সবচেয়ে বেশি লাভবান করে তার অধিকাংশ গুণই নয়নের আছে,
সে শুধু সাহসী নয়, রাজপথে তার নেতৃত্ব যথেষ্ট শক্তিশালী, দলের মধ্যে অনেক সাহসী নেতা আছেন কিন্তু মাঠের কর্মীদের মাঝে নয়নের মতো সক্রিয় ও জনপ্রিয় নয়; দলের প্রয়োজনে নয়ন মূহুর্তেই রাজপথে হাজার হাজার কর্মী জড়ো করতে পারেন যা অন্য যে কোন বিরোধী দলের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ আর সে কারনেই নয়নকে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিশেষ টার্গেটে পরিণত করেছিল। এমন আর একজন পাবেন যাকে শেখ হাসিনা গং নয়নের মতো করে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন? না পাবেন না।
১৬টি বছর ধরে নয়ন রাজপথে সংগ্রাম করে গেছে। পুলিশের গুলিতে একবার প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল, গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মক জখম অবস্থায় পুলিশ তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। রিমান্ডের নামে তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেও সে টাকার কাছে মাথা নত করেনি। এমন একজন মানুষকে আজ “চাঁদাবাজ” বলে লেবেলিং করা হচ্ছে এটা কি ন্যায্য? (তাকে যারা কাছ থেকে দেখছে বা তার সাথে মিশেছে তারা কেউ বলতে পারবে না, তাই এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।
জুলাই যোদ্ধা, জুলাই গুলি খাওয়া যোদ্ধা! রবিউল ইসলাম নয়ন কি জুলাইতে গুলি খায়নি? হ্যা সে ২০ জুলাই মালিবাগের মোড় থেকে ডিবি প্রধান হারুনের নির্দেশে ডিবি ডিসি মশিউর রহমান তাকে গুলি করে ছিলো কোন রকমের ওইখান থেকে রবিউল ইসলাম নয়ন পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে প্রাণে বেচে যান, এরপরও প্রতিটা ক্লিনিক হাসপাতালে চলে তল্লাশি। কিন্তু নয়ন কাউকে কোনদিন বলেননি সে জুলাইয়ে গুলি খেয়েছে। এখনো সে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটে। নয়ন এখনো ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে বিশ্বাস করে। যার ফলে নয়ন দলের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।
আমি জানি, এই লেখা পড়ে অনেকেই হতবাক হবেন। কিন্তু সত্য কথা বলার জন্য আমাকে আজও স্রোতের বিপরীতে যেতে হবে। নয়নের মতো সংগ্রামী যুবকদের অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ট্যাগস

মাগুরা ২ আসনে কাজী কামালের লক্ষ্যাধিক লোকের সমাবেশের প্রস্তুতি

মাগুরা-২ আসনে রবিউল ইসলাম নয়ন বিএনপি থেকে সবুজ সংকেত পেলেন

আপডেট টাইম : ০৭:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা) আসনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবুজ সংকেত দিলেন ঢাকা দক্ষিণের যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে বিজয়ের লক্ষ্যে মাগুরা-২ আসনের ভোটারদের সাথে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। নয়ন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পানি ঘাটা গ্রামের কৃতি সন্তান।
২০২৩ সালের ২৮শে অক্টোবরের আন্দোলনে তার কঠোর অবস্থান ও সাহসী ভূমিকার কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্ধনে ডিআইজি হারুনের নেতৃত্বে তাকে ক্রসফায়ার (বিচারবহির্ভূত হত্যা) এর টার্গেট বানানো হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার তাকে “শুট টু কিল” করার নির্দেশ দিয়েছিল! ২০১৪ সালে রাজপথে তরুন ছাত্রনেতা হিসেবে তার ভুমিকা বাংলার জনগণ স্বচক্ষে দেখেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে তার প্রতি যে নির্মমতা হয়েছে বাংলার জনগণ তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
২০২৪ সালে আন্দোলনকে বেগবান করতে বিগাত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে পিছু হটাতে রাজপথে তার কর্মিদের নিয়ে আন্দোলন সচল রাখেন। ডিবি পুলিশ তাকে ধরতে আবার ব্যস্থ হতে লাগলো চলে অলিগলি তল্লাশি তবুও তাকে ধরতে পারেননি। হাসিনা সরকারের প্রধান টার্গেট ছিলো রবিউল ইসলাম নয়ন।
কারন রাজনীতির মাঠে যে গুণগুলো দলকে সবচেয়ে বেশি লাভবান করে তার অধিকাংশ গুণই নয়নের আছে,
সে শুধু সাহসী নয়, রাজপথে তার নেতৃত্ব যথেষ্ট শক্তিশালী, দলের মধ্যে অনেক সাহসী নেতা আছেন কিন্তু মাঠের কর্মীদের মাঝে নয়নের মতো সক্রিয় ও জনপ্রিয় নয়; দলের প্রয়োজনে নয়ন মূহুর্তেই রাজপথে হাজার হাজার কর্মী জড়ো করতে পারেন যা অন্য যে কোন বিরোধী দলের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ আর সে কারনেই নয়নকে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিশেষ টার্গেটে পরিণত করেছিল। এমন আর একজন পাবেন যাকে শেখ হাসিনা গং নয়নের মতো করে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন? না পাবেন না।
১৬টি বছর ধরে নয়ন রাজপথে সংগ্রাম করে গেছে। পুলিশের গুলিতে একবার প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল, গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মক জখম অবস্থায় পুলিশ তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। রিমান্ডের নামে তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেও সে টাকার কাছে মাথা নত করেনি। এমন একজন মানুষকে আজ “চাঁদাবাজ” বলে লেবেলিং করা হচ্ছে এটা কি ন্যায্য? (তাকে যারা কাছ থেকে দেখছে বা তার সাথে মিশেছে তারা কেউ বলতে পারবে না, তাই এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।
জুলাই যোদ্ধা, জুলাই গুলি খাওয়া যোদ্ধা! রবিউল ইসলাম নয়ন কি জুলাইতে গুলি খায়নি? হ্যা সে ২০ জুলাই মালিবাগের মোড় থেকে ডিবি প্রধান হারুনের নির্দেশে ডিবি ডিসি মশিউর রহমান তাকে গুলি করে ছিলো কোন রকমের ওইখান থেকে রবিউল ইসলাম নয়ন পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে প্রাণে বেচে যান, এরপরও প্রতিটা ক্লিনিক হাসপাতালে চলে তল্লাশি। কিন্তু নয়ন কাউকে কোনদিন বলেননি সে জুলাইয়ে গুলি খেয়েছে। এখনো সে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটে। নয়ন এখনো ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে বিশ্বাস করে। যার ফলে নয়ন দলের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।
আমি জানি, এই লেখা পড়ে অনেকেই হতবাক হবেন। কিন্তু সত্য কথা বলার জন্য আমাকে আজও স্রোতের বিপরীতে যেতে হবে। নয়নের মতো সংগ্রামী যুবকদের অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।