বিশেষ প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী জহিরুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন মিয়ার অবৈধ কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন পিডিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। তারা ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সীমা লংঘন করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে অস্থির করে তুলেছেন। চাকরি থেকে গত ৫ বছর আগে অবসর গ্রহন করলেও এখনো তারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ টি অফিস দখলে রেখেছেন। শ্রম আইন ও মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে পিডিবির সিবিএ থেকে তাদের সদস্য পদ বাতিল করা হলেও তারা অবৈধভাবে সিবিএর পদ পদবি ব্যবহার করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ৪টি অফিস নিজেদের দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। অভিযুক্তরা হলেন- পিডিবির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী জহিরুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন মিয়া। তারা দু’জন যথাক্রমে পিডিবির সিবিএ’র (কালেক্টিভ বার্গেইনিং এজেন্ট) মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কিন্তু এখনো তারা অভৈধভাবে বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে পিডিবির ৪ অফিস দখল করে রেখেছেন। প্রায় ৫ বছর আগে পিডিবির চাকরি থেকে অবসরে গেছেন জহির ও আলাউদ্দিন। কিন্তু অফিস ও সংগঠনের দখল আজও ছাড়েননি। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এই সংগঠনের নির্বাচন। সিবিএ’র ক্ষমতাকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে তারা নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সম্প্রতি এক চিঠিতে এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পিডিবিকে নির্দেশ দিয়েছে। পিডিবির গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগে এই দু’জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। জহিরুল ইসলাম ছিলেন পিডিবির অডিট পরিদপ্তরের সহকারী হিসাবরক্ষক এবং আলাউদ্দিন মিয়া ছিলেন ডিজাইন অ্যান্ড ইন্সপেকশন পরিদপ্তর-১-এর সাবেক স্টেনো টাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর। আলাউদ্দিন মিয়া ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট এবং জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৮ সালের ৬ জুন চাকরি থেকে অবসরে যান।
অফিস তাদের দখলে !
বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদকের চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি পিডিবির মতিঝিল ওয়াপদা ভবনের নিচতলা, মতিঝিলের ৯/বি ভবনের একাংশ এবং আব্দুল গণি রোডের বিদ্যুৎ ভবনের অডিট পরিদপ্তরের অফিসসহ ৪টি অফিস দখলে রেখে প্রতি মাসে সরকারের লাখ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি করছেন। জহিরুল নিজের দখলে রেখেছেন ওয়াপদা ভবনের নিচতলা,কেন্টিন বিল্ডিংয়ের নীচতলায় একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ভবনের ১৩ তলার অডিট পরিদপ্তরের একটি অফিস কক্ষও তার দখলে রয়েছে। যদিও তিনি এই শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে অবসরে গিয়েছেন। এ দিকে মতিঝিলের ৯/বি ভবনের নিচতলার একটি অংশ দখলে রেখেছেন আলাউদ্দিন মিয়া। যদিও বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) ২০০৮ অনুসারে, ট্রেড ইউনিয়নের অফিস প্রতিষ্ঠানের দুইশ মিটারের মধ্যে থাকবে না মর্মে আইন বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু পিডিবি কর্তৃপক্ষ সব কিছু জানা সত্তেও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সম্প্রতি মতিঝিলের ওয়াপদা ভবন ঘুরে দেখা যায়, পিডিবির কার্যালয়ের নিচতলা , কেন্টিন বিল্ডিংয়ের নীচতলায় একটি অংশে সামনের দেয়ালে সবুজ রঙের ১টি সাইনবোর্ড। তাতে লেখা- প্রধান কার্যালয়, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ (নিবন্ধন নং বি-১৯০২) সিবিএ। অপরটি ৯/বি মতিঝিল সেখানে লেখা- প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন (নিবন্ধন নং বি-২১৪২)। নিজের অনুসারীদের নিয়ে ৩টি অফিস দখলে রেখেছেন জহিরুল ইসলাম। রাস্তার অপর পাশে পিডিবির নকশা ভবনের নিচতলার একটি বড় অংশ দখলে রেখেছেন আলাউদ্দিন মিয়া। ভবনের সামনে ফিরোজা রঙের একটি বড় সাইনবোর্ড। তাতে লেখা- সিবিএ কেন্দ্রীয় কার্যালয়, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ (নিবন্ধন নং বি-১৯০২) সিবিএ। সচিবালয়ের পাশে অবস্থিত বিদ্যুৎ ভবনের ১৩ তলায় ১৩০২ (এস) নম্বর কক্ষের কাচের দেয়ালে ছাপানো কাগজে লেখা- মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সভাপতি, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ (নিবন্ধন নং বি-১৯০২) সিবিএ। এখানে তিনি মাঝে মাঝে বসেন বলে জানা গেছে।
দুদকের চার্জশিট
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও জহিরুল ও আলাউদ্দিন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ব্যবহারযোগ্য পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করতেন। অবসরে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন গাড়ি দুটি তাদের দখলে ছিল। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুদক গাড়ি দুটি উদ্ধার করে পিডিবির পরিবহন পুলে জমা দেয়। এরপর অনুসন্ধান শেষে একই বছরের জুলাই মাসে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই দুই সিবিএ নেতা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে পিডিবির দুটি গাড়ি প্রায় ১০ বছর ধরে ২৪ ঘণ্টাই ব্যবহার করেছেন। গাড়ির চালকের বেতন, তেল ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বহন করেছে পিডিবি। ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ খাতে পিডিবির ব্যয় হয় এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। জহিরুল ইসলাম সিলেট মেট্রো-ঘ-০২-০০৩৩ নম্বরের এবং আলাউদ্দিন ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-২৮২৭ নম্বরের পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করতেন। শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর ২০২ ধারা অনুসারে শ্রমিক সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী সংশ্নিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে যানবাহন সুবিধা নিতে পারবেন না। তবে জহিরুল ইসলাম বলেন, তারা ব্যক্তিগত কাজে নয়, সংগঠনের প্রয়োজনে ও কর্মচারীদের স্বার্থসংশ্নিষ্ট কাজে গাড়ি ব্যবহার করেছেন। পিডিবি কর্তৃপক্ষই তাদের এই গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে এ মামলার চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগেরও তদন্ত করছে দুদক। বিদ্যুৎ বিভাগের অপর এক চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেও জহিরুল ও আলাউদ্দিনকে আইন অমান্য করে পেনশন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়েও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পিডিবিকে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। অভিযোগের বিষয়ে আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, এগুলো সিবিএ অফিস। প্রায় দুই যুগ ধরে ব্যবহার হলেও পিডিবি কখনও নোটিশ দেয়নি, বলেনি এগুলো দখল করে রাখা হয়েছে। চাকরি করেছি পেনশনের অর্থ পেয়েছি। এটা আমাদের অধিকার। আর চার্জশিট দিলেই তো অভিযোগ প্রমাণিত হয় না। মামলা তো আদালতে বিচারাধীন। এ প্রসঙ্গে জহিরুল ইসলাম বলেন, মতিঝিলের অফিসগুলো সিবিএর। সিবিএর প্রতিনিধি হিসেবেই সেগুলো তারা ব্যবহার করছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কেউ সিবিএতে এলে তাদের অফিস বুঝিয়ে দেওয়া হবে। দখলের কিছু নেই। সিবিএর অফিস চাইলেই কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না। বিদ্যুৎ ভবনের অফিস প্রসঙ্গে জহিরুল জানান, তিনি ভলিবল খেলোয়াড় ছিলেন; এখন পিডিবির ভলিবল কোচ। বিদ্যুৎ ভবনে সিবিএ’র কোনো অফিস নেই। তাই তারা মাসে দুই-তিন দিন এই অফিসে বসেন। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে এই কক্ষ নিয়ে নিতে পারে। পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেন, চার্জশিট দেওয়ার আগেই তারা দু’জন অবসরে গেছেন। পেনশনও দেওয়া হয়েছে আগেই। অফিস দখলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই এগুলো উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু পিডিবির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা আজো জানে না জহিরের মত একজন দুর্নীতিবাজকে ভলিবলের কোচ হিসাবে রাখা হয়েছে।
নির্বাচন হয় না বছরের পর বছর
প্রভাব খাটিয়ে এই দুই সিবিএ নেতা দীর্ঘদিন পিডিবিতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। ২০১০ সালে সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তারা আর নির্বাচন হতে দেননি। নিজেদের মতো করে কমিটি সাজিয়ে সংগঠন দখল করে রেখেছেন। একসময় তাদের দু’জনের মধ্যে বিরোধ থাকলেও নির্বাচনের দাবিতে অন্য সিবিএ নেতারা আন্দোলন শুরু করলে তারা একাট্টা হন। সিবিএর ক্ষমতা নিয়ে গ্রুপিং, মারামারি, এমনকি আদালতেও মামলা হয়েছে। সর্বশেষ শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের মধ্যস্থতায় জহির-আলাউদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে বিরোধী গ্রুপের সমঝোতা হয়। এতে উভয় পক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে রাজি হয়। এজন্য চলমান মামলাগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন হয়নি। এ দিকে বিদ্যুৎ খাতের সরকারি দল সমর্থক শ্রমিক সংগঠন জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সদস্য আব্দুস সামাদ ২০১৭ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ২০২০ সালের ৯ মার্চ ২০১৭ সালে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য শ্রম অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন ঝুলে থাকে। গত বছর হাইকোর্টে আরেকটি রিট পিটিশন দাখিল করেন সংগঠনটির একজন সদস্য। পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ২৪ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মিয়াকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। কারণ শ্রম আইন অনুযায়ী অবসর নেওয়ায় তারা দু’জন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। হাইকোর্ট তার রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশের পর শ্রম অধিদপ্তর নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। এরমধ্যেই নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হইকোর্টের দুই রায়ের বিরুদ্ধে ২টি সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল দাখিল করেন। শুনানি শেষে এক আদেশে আপিল বিভাগও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এখনও শ্রম অধিদপ্তর নির্বাচন আয়োজনের কোনো তৎপরতা শুরু করেনি বলে অভিযোগ সংগঠনের সদস্যদের। তারা বলছেন, বাতিল করা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন বন্ধ রাখতে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে ব্যবহার করছেন। তাই নির্বাচন সাধারণ গতিতে চলতে পাছে না। এদিকে পিডিবির সরকার সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ ১৯০২ এর কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাচনের খরচ মিটানোর জন্য পিডিবির কাছে বাজেটের টাকা চাওয়া হলে সংগঠনের রুপালী ব্যাংকের হিসাব নং ১০০১১৩১৭৮ যাচাই করতে গেলে দেখা যায় শ্রমিক কর্মচারিদের গত ১০ বছরের জমানো চাঁদার প্রায় ২ কোটি টাকা মো: জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ও মো: আলাউদ্দিন মিয়া ও মো: আমজাদ হোসেন জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলার বাদী সংগঠনের সদস্য আব্দুস সামাদ মহামান্য হাই কোর্টের রায়ের আলোকে বার বার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সংগঠনের অবৈধ লোককে টাকা না দিতে লিখিত আপত্তি এবং সর্বশেষ লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও ব্যাংক কর্র্তপক্ষ সেটা আমলে নেয় নি। ধারণা করা হচ্ছে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই জালিযাতির সংগে যুক্ত রয়েছেন। পিডিবির শ্রমিক কর্মচারিদের টাকা আত্মসাৎ’র বিষয়টি তদন্তের জন্য দ্রা দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।