ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাত মুছার কবলে পড়ে সর্বশান্ত (পর্ব-১)

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়ার রসুনপুর গ্রামের মৃত ইসারত আলীর ছেলে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা পাড়ার বাসিন্দা মুছা হক ওরফে মুছা ডাকাত। ডাকাতি,দখলবাঁজি, চাঁদাবাজি অন্যের সম্পদ লুট করে বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক এখন ডাকাত মুছা। তবে ডাকাত নামটা আড়াল করে টাকার বিনিময়ে এখন সবাই হাজী মুছা অথবা ইট ভাটা ব্যাবসায়ী নামেই জানে। ২০০৯ সালে ২৬শে জুলাই চাঁদাবাজীর দ্বায়ে তিনি জেলে গিয়েছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা পাড়ার বাসিন্দা হয়ে যান। তবে ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রেহাই পেয়ে যায় ওই ডাকাত মুছা। এলাকাকে চাঁদাবাজ,দখলবাঁজ, চোর, চিটার বাটপারের স্বর্গরাজ্য পরিনত করেছে। এখন সর্বত্রই প্রতারক চাঁদাবাঁজ দখলবাঁজ সন্ত্রাসী মুছার জয় জয়কার। অবাক করার বিষয় হচ্ছে আগে চুরি,বাটপারি চাঁদাবাজি দখলবাঁজ ধরা খেলে গা ঢাকা দিতো পালিয়ে যেত। কিন্তুু এখন বাটপার,অপরাধী,লুটেরা স্ব স্ব স্থানে এতোটাই সংঘবদ্ধ যে, তাদের পাল্টা প্রতিরোধে সর্বস্বহারা প্রতারিত লোকজনই উল্টো পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হন। এ কারণে একই অপরাধ ঘটে চলে বারবার, একই অপরাধী বীর বেশে ঘোরাফেরা করে। সরকার যুগান্তকারী জনবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। জাল দলিলে দুই বছর জেল অতিরিক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে নিলে পাঁচ বছর জেল জোরপূর্বক জমি দখল তিন বছর জেল, দোষীদেও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হলে ভুমি দূশ্যদের অনেকটাই দৌরত্ব কমে যাবে বলে আশা করেন সাধারণ জনগন। বহুল আলোচিত রসুনপুর গ্রামের বিএনপির দাপুটে নেতা ভুমিদূশ্য মুছা হক ওরফে ডাকাত মুছা ঠিক তেমনই ঘটিয়েছে। দুই চাকার লড়বড়ে সাইকেল চালিয়ে জামজামী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুছা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক কিভাবে এই সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে চলছে এলাকাবাসিদের মধ্যে কানাঘুষা। একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান বিএনপি সরকার ক্ষমতা থাকা কালিন মুছা ছিলেন বিএনপির দাপুটে নেতা। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে দখলবাঁজ চাঁদাবাজ ও জামজামী মাঠের ডাকাত সরদার হিসাবে পরিচয় লাভ করে বর্তমানের হাজী মুসা। সুত্রে আরো জানা যায় ইটের ভাটায় কর্মরত এক শ্রমিককে গুলি করে মেরে অন্যর উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছিলেন দুধস্য সন্ত্রাসী ঐই মুসা। ক্ষমতার দাপটে হত্যা গুম চাঁদাবাজিঁ জায়গা দখল কোনটাই বাদ দেননি ডাকাত সরদার মুসা। পরবর্তীতে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে মুখোশ পাল্টিয়ে এখন সাধু সেজে সমাজের চোখে নিজেকে বিশিষ্ট ইটভাটা ব্যাবসায়ী ও হাজী মুছা হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। তবে এক চালা টিনের ঘর ভাঙ্গা সাইকেল পরিবর্তন করে বর্তমানে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক একতালা বিল্ডিং থেকে চার তালা বিল্ডিং ও আবাসিক হোটেল এর মালিক ভুমিদূশ্য মুছা। বেশিরভাগ জায়গা ক্ষমতার অপব্যাবহার করেই মিথ্যা মামলা ও পেশা শক্তি খাটিয়ে দখল করেছেন বলে সাধারণ জনগণ জানান। বর্তমানে মুছার অবৈধ সম্পদের পাহাড় যেন আঙ্গুর ফুলে কলাগাছ। অনুসন্ধানে ভুক্তভোগীদের সাথে সাক্ষাতে জানা যায় বর্তমানে যে ইটভাটার মালিক মুছা সেই ইট ভাটার ব্যাবসায়ীক পাটনার কে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দিয়ে জোর পুর্বক রাতের আধারে লিখে নিয়েছেন পিস্তল দেখিয়ে । ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী দখলবাঁজ মুসা নিজেকে ধোয়া তুলসী পাতার মতো মনে করলেও অতিত যেন তার পিছু ছাড়েনা।ডাকাত মুসা কৌশলে আবার আলমডাঙ্গা থানা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ হাতিয়ে নেয় পরবর্তীতে আলমডাঙ্গা থানার সাবেক অফিসার ইনর্চাজ বিষয়টি জানতে পেরে মুছাকে কমিটির পদ থেকে বহিস্কার করেন। সুত্রে জানা যায় ডাকাত মুসার ইটভাটার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। দেশের বাড়ি রসুনপুর গ্রামে হলে ও অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে আলমডাঙ্গা থানা পাড়া এলাকায় দাপটের সাথেই বসবাস করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বেশ পাল্টিয়ে দখলবাঁজি ও তার অদৃশ্য শক্তি আর ক্ষমতার দাপটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে শুরু করে আলমডাঙ্গা থানাপাড়া এমনটাই জানান ভুক্তভোগীরা। তাই আগের মতোই সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে অর্থ থেকে শুরু করে বসত বাড়ি জায়গা জমি ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান সহ জোরপূর্বক দখল নিতে মরিয়া। দখল নিতে না পারলে মিথ্যা মামলা দিয়ে সহজ সরল মানুষকে দিনের পর দিন হয়রানি করে যাচ্ছে ডাকাত মুছা। তার একান্ত সহযোগী হিসেবে রেখেছেন টাকার বিনিময়ে পর্রামর্শ দাতা ও সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী। জায়গা জমি দখলের মামলার বিষয়ে মুছার নিকটবর্তী এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন মামলা আপোষ করার জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাদী আর বিবাদী দুই পক্ষ আসলে আমি মামলা মিটিয়ে দিব, প্রতিবেদক জানতে চাই আপনি কি করে মামলা আপোষ করাবেন তখন তিনি বলেন মুছাকে আমি যা বলবো তাই আমার কথার বাহিরে মুছার যাওয়ার ক্ষমতা নেই কত টাকা দিবেন বলেন, বুঝতে আর বাকি থাকলো না জাল দলিল বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আত্মসাত করাই ভুমি দূশ্য মুসার কাজ। যা পূর্বে জামজামী বাজারে করেছিল ওই ডাকাত মুছা। আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় বসবাসকারী একাধিক ব্যাক্তি বলেন জায়গা জমি দখল ছাড়া বিভিন্ন অনৌতিক কাজে মুছার একান্ত সহকর্মী ও বুদ্ধি দাতা রয়েছে এছাড়াও একাধিক বিধবা মহিলা কে নির্যাতন ও করেছেন ডাকাত মুছা মামলা হয়েছে কিন্তু টাকার বিনিময়ে বারবার পারপেয়ে যায়। দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ডাকাত ভুমিদূস্য মুছার রোশানলে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত কেউ আবার অর্থ সম্পত্তি হারিয়ে ষ্টক করে মারা গেছে তবে সন্ত্রাসী মুছা সমাজের বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করে এখন নিজেকে সাধু দাবী করে হাজী বেশে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়ান। বর্তমানে আলমডাঙ্গা এলাকা বাসী সবাই মামলা বাজ মুছা অথবা ডাকাত মুসা নামেই চিনে। কেউ কেউ আবার লুচ্ছা মুছা ও বলে। অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য মুছা হক এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মুছা হক এর ছেলে লিংকন মোবাইল ফোনে প্রতিবেদকে বলেন নিউজ করলে আপনার পরিণতি ভালো হবে না আমার বাবার ক্ষমতা আর টাকা আছে আমার বাপের নামে আলমডাঙ্গা কাঁপতো, আমাদের সম্মধে সাংবাদিকদের ধারণা নেই বলে ফোন কেটে দেন। অনুসন্ধানে মুছার গ্রাম রসুনপুর গেলে স্থায়ী বাসিন্দারা জানান তার দুই চালা একটা টিনের ঘর একটা ভাঙ্গা সাইকেল জামজামি বাজারে ছোট্ট একটা দোকান ছিল কিন্তুু কিভাবে এতো সম্পত্তি টাকা পয়সার মালিক হলো তা আমরা কেউ বলতে পারবো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে জানান বিএনপি সরকার যে সময় ক্ষমতাই ছিল সেই সময় মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন ধর্ষণ নিরিহ মানুষের জমি দখল জোরপূর্বক ফসলি জমির মাটি কেটে ইট বানানো সহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মুল হোতা ছিল ঐই মুছা।বর্তমানে মুছার যতো টাকা অর্থ সম্পদ সব মানুষের কাছে থেকে অবৈধ ভাবে লুটপাটকরে নেওয়া।সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনীর অফিসার,ঘনিষ্ট বন্ধু, বিধবা মহিলা পযর্ন্ত ছাড় পাইনি এই ভুমিদূশ্য নারী লোভী সন্ত্রাসী ডাকাত মুছার হাত থেকে।তবে এলাকা বাসী ও ভুক্তভোগীরা বলেন ডাকাত মুছার খুটির জোর কোথায় তা যেন ধরা ছোয়ার বাহিরেই থেকে যায়। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাই তার পরে ও দখলবাঁজ মুছার তান্ডব কমেনি কারণ টাকা দিয়ে মুছা সব ক্ষণিকের মধ্য মেনেজ করেনেন। ভুক্তভোগীরা বলেন অন্যর সম্পদ জুলুম করে নিয়ে কেউ কখনও ভালো থাকেনা যেমন মুছার ছেলেরা এখন মাদকাসক্ত আগে ছিল ছিচকে চোর আর মুছা তার পুরোনো চরিত্র এখনো বদলাতে পারেনাই ।ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের একটাই চাওয়া আইনের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে মুছা ও তার সহকারী বুদ্ধি দাতাদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে কলংকিত করতে কতিপয় বিএনপির ক্যাডার অনৈতিক কার্যকলাপও আইন বহিভূত কাজ করে বার বার রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।সেই সাথে বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা প্রসাশন গুরুত্বর সাথে বিবেচনা করবে বলে আশা করে সুশীল সমাজ, ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণ। আরোও বিস্তারিত ২য় পর্বে দেখুন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাত মুছার কবলে পড়ে সর্বশান্ত (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়ার রসুনপুর গ্রামের মৃত ইসারত আলীর ছেলে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা পাড়ার বাসিন্দা মুছা হক ওরফে মুছা ডাকাত। ডাকাতি,দখলবাঁজি, চাঁদাবাজি অন্যের সম্পদ লুট করে বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক এখন ডাকাত মুছা। তবে ডাকাত নামটা আড়াল করে টাকার বিনিময়ে এখন সবাই হাজী মুছা অথবা ইট ভাটা ব্যাবসায়ী নামেই জানে। ২০০৯ সালে ২৬শে জুলাই চাঁদাবাজীর দ্বায়ে তিনি জেলে গিয়েছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা পাড়ার বাসিন্দা হয়ে যান। তবে ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রেহাই পেয়ে যায় ওই ডাকাত মুছা। এলাকাকে চাঁদাবাজ,দখলবাঁজ, চোর, চিটার বাটপারের স্বর্গরাজ্য পরিনত করেছে। এখন সর্বত্রই প্রতারক চাঁদাবাঁজ দখলবাঁজ সন্ত্রাসী মুছার জয় জয়কার। অবাক করার বিষয় হচ্ছে আগে চুরি,বাটপারি চাঁদাবাজি দখলবাঁজ ধরা খেলে গা ঢাকা দিতো পালিয়ে যেত। কিন্তুু এখন বাটপার,অপরাধী,লুটেরা স্ব স্ব স্থানে এতোটাই সংঘবদ্ধ যে, তাদের পাল্টা প্রতিরোধে সর্বস্বহারা প্রতারিত লোকজনই উল্টো পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হন। এ কারণে একই অপরাধ ঘটে চলে বারবার, একই অপরাধী বীর বেশে ঘোরাফেরা করে। সরকার যুগান্তকারী জনবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। জাল দলিলে দুই বছর জেল অতিরিক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে নিলে পাঁচ বছর জেল জোরপূর্বক জমি দখল তিন বছর জেল, দোষীদেও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হলে ভুমি দূশ্যদের অনেকটাই দৌরত্ব কমে যাবে বলে আশা করেন সাধারণ জনগন। বহুল আলোচিত রসুনপুর গ্রামের বিএনপির দাপুটে নেতা ভুমিদূশ্য মুছা হক ওরফে ডাকাত মুছা ঠিক তেমনই ঘটিয়েছে। দুই চাকার লড়বড়ে সাইকেল চালিয়ে জামজামী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুছা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক কিভাবে এই সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে চলছে এলাকাবাসিদের মধ্যে কানাঘুষা। একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান বিএনপি সরকার ক্ষমতা থাকা কালিন মুছা ছিলেন বিএনপির দাপুটে নেতা। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে দখলবাঁজ চাঁদাবাজ ও জামজামী মাঠের ডাকাত সরদার হিসাবে পরিচয় লাভ করে বর্তমানের হাজী মুসা। সুত্রে আরো জানা যায় ইটের ভাটায় কর্মরত এক শ্রমিককে গুলি করে মেরে অন্যর উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছিলেন দুধস্য সন্ত্রাসী ঐই মুসা। ক্ষমতার দাপটে হত্যা গুম চাঁদাবাজিঁ জায়গা দখল কোনটাই বাদ দেননি ডাকাত সরদার মুসা। পরবর্তীতে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে মুখোশ পাল্টিয়ে এখন সাধু সেজে সমাজের চোখে নিজেকে বিশিষ্ট ইটভাটা ব্যাবসায়ী ও হাজী মুছা হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। তবে এক চালা টিনের ঘর ভাঙ্গা সাইকেল পরিবর্তন করে বর্তমানে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক একতালা বিল্ডিং থেকে চার তালা বিল্ডিং ও আবাসিক হোটেল এর মালিক ভুমিদূশ্য মুছা। বেশিরভাগ জায়গা ক্ষমতার অপব্যাবহার করেই মিথ্যা মামলা ও পেশা শক্তি খাটিয়ে দখল করেছেন বলে সাধারণ জনগণ জানান। বর্তমানে মুছার অবৈধ সম্পদের পাহাড় যেন আঙ্গুর ফুলে কলাগাছ। অনুসন্ধানে ভুক্তভোগীদের সাথে সাক্ষাতে জানা যায় বর্তমানে যে ইটভাটার মালিক মুছা সেই ইট ভাটার ব্যাবসায়ীক পাটনার কে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দিয়ে জোর পুর্বক রাতের আধারে লিখে নিয়েছেন পিস্তল দেখিয়ে । ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী দখলবাঁজ মুসা নিজেকে ধোয়া তুলসী পাতার মতো মনে করলেও অতিত যেন তার পিছু ছাড়েনা।ডাকাত মুসা কৌশলে আবার আলমডাঙ্গা থানা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ হাতিয়ে নেয় পরবর্তীতে আলমডাঙ্গা থানার সাবেক অফিসার ইনর্চাজ বিষয়টি জানতে পেরে মুছাকে কমিটির পদ থেকে বহিস্কার করেন। সুত্রে জানা যায় ডাকাত মুসার ইটভাটার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। দেশের বাড়ি রসুনপুর গ্রামে হলে ও অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে আলমডাঙ্গা থানা পাড়া এলাকায় দাপটের সাথেই বসবাস করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বেশ পাল্টিয়ে দখলবাঁজি ও তার অদৃশ্য শক্তি আর ক্ষমতার দাপটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে শুরু করে আলমডাঙ্গা থানাপাড়া এমনটাই জানান ভুক্তভোগীরা। তাই আগের মতোই সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে অর্থ থেকে শুরু করে বসত বাড়ি জায়গা জমি ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান সহ জোরপূর্বক দখল নিতে মরিয়া। দখল নিতে না পারলে মিথ্যা মামলা দিয়ে সহজ সরল মানুষকে দিনের পর দিন হয়রানি করে যাচ্ছে ডাকাত মুছা। তার একান্ত সহযোগী হিসেবে রেখেছেন টাকার বিনিময়ে পর্রামর্শ দাতা ও সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী। জায়গা জমি দখলের মামলার বিষয়ে মুছার নিকটবর্তী এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন মামলা আপোষ করার জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাদী আর বিবাদী দুই পক্ষ আসলে আমি মামলা মিটিয়ে দিব, প্রতিবেদক জানতে চাই আপনি কি করে মামলা আপোষ করাবেন তখন তিনি বলেন মুছাকে আমি যা বলবো তাই আমার কথার বাহিরে মুছার যাওয়ার ক্ষমতা নেই কত টাকা দিবেন বলেন, বুঝতে আর বাকি থাকলো না জাল দলিল বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আত্মসাত করাই ভুমি দূশ্য মুসার কাজ। যা পূর্বে জামজামী বাজারে করেছিল ওই ডাকাত মুছা। আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় বসবাসকারী একাধিক ব্যাক্তি বলেন জায়গা জমি দখল ছাড়া বিভিন্ন অনৌতিক কাজে মুছার একান্ত সহকর্মী ও বুদ্ধি দাতা রয়েছে এছাড়াও একাধিক বিধবা মহিলা কে নির্যাতন ও করেছেন ডাকাত মুছা মামলা হয়েছে কিন্তু টাকার বিনিময়ে বারবার পারপেয়ে যায়। দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ডাকাত ভুমিদূস্য মুছার রোশানলে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত কেউ আবার অর্থ সম্পত্তি হারিয়ে ষ্টক করে মারা গেছে তবে সন্ত্রাসী মুছা সমাজের বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করে এখন নিজেকে সাধু দাবী করে হাজী বেশে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়ান। বর্তমানে আলমডাঙ্গা এলাকা বাসী সবাই মামলা বাজ মুছা অথবা ডাকাত মুসা নামেই চিনে। কেউ কেউ আবার লুচ্ছা মুছা ও বলে। অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য মুছা হক এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মুছা হক এর ছেলে লিংকন মোবাইল ফোনে প্রতিবেদকে বলেন নিউজ করলে আপনার পরিণতি ভালো হবে না আমার বাবার ক্ষমতা আর টাকা আছে আমার বাপের নামে আলমডাঙ্গা কাঁপতো, আমাদের সম্মধে সাংবাদিকদের ধারণা নেই বলে ফোন কেটে দেন। অনুসন্ধানে মুছার গ্রাম রসুনপুর গেলে স্থায়ী বাসিন্দারা জানান তার দুই চালা একটা টিনের ঘর একটা ভাঙ্গা সাইকেল জামজামি বাজারে ছোট্ট একটা দোকান ছিল কিন্তুু কিভাবে এতো সম্পত্তি টাকা পয়সার মালিক হলো তা আমরা কেউ বলতে পারবো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে জানান বিএনপি সরকার যে সময় ক্ষমতাই ছিল সেই সময় মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন ধর্ষণ নিরিহ মানুষের জমি দখল জোরপূর্বক ফসলি জমির মাটি কেটে ইট বানানো সহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মুল হোতা ছিল ঐই মুছা।বর্তমানে মুছার যতো টাকা অর্থ সম্পদ সব মানুষের কাছে থেকে অবৈধ ভাবে লুটপাটকরে নেওয়া।সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনীর অফিসার,ঘনিষ্ট বন্ধু, বিধবা মহিলা পযর্ন্ত ছাড় পাইনি এই ভুমিদূশ্য নারী লোভী সন্ত্রাসী ডাকাত মুছার হাত থেকে।তবে এলাকা বাসী ও ভুক্তভোগীরা বলেন ডাকাত মুছার খুটির জোর কোথায় তা যেন ধরা ছোয়ার বাহিরেই থেকে যায়। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাই তার পরে ও দখলবাঁজ মুছার তান্ডব কমেনি কারণ টাকা দিয়ে মুছা সব ক্ষণিকের মধ্য মেনেজ করেনেন। ভুক্তভোগীরা বলেন অন্যর সম্পদ জুলুম করে নিয়ে কেউ কখনও ভালো থাকেনা যেমন মুছার ছেলেরা এখন মাদকাসক্ত আগে ছিল ছিচকে চোর আর মুছা তার পুরোনো চরিত্র এখনো বদলাতে পারেনাই ।ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের একটাই চাওয়া আইনের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে মুছা ও তার সহকারী বুদ্ধি দাতাদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে কলংকিত করতে কতিপয় বিএনপির ক্যাডার অনৈতিক কার্যকলাপও আইন বহিভূত কাজ করে বার বার রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।সেই সাথে বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা প্রসাশন গুরুত্বর সাথে বিবেচনা করবে বলে আশা করে সুশীল সমাজ, ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণ। আরোও বিস্তারিত ২য় পর্বে দেখুন।