অনলাইন ডেস্ক:
নিত্যই নানারকম ফিচার নিয়ে হাজির হয় মেটার অধীনস্থ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ । ইউজারদের কাছে এই সব ফিচারের আবেদন দারুণ। লাস্ট সিন, ভয়েস ও ভিডিও কলিংয়ের মতো নানা ফিচারের পাশাপাশি তেমনই এক জনপ্রিয় ফিচার হল নিজের কারেন্ট লোকেশন শেয়ার করা। কিন্তু জানেন কি এই লোকেশন শেয়ারিং ‘ভুয়ো’ও হতে পারে?
সেকথায় আসার আগে জানিয়ে দেওয়া যাক, কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে কারেন্ট লোকেশন শেয়ার করা যায়। প্রথমে ফাইল সংযোগ করার বাটন টিপে ‘লোকেশন’ সিলেক্ট করতে হয়। তারপর সেখান থেকে ‘শেয়ার লাইভ লোকেশন’ অপশনটিকে বেছে নিতে হয়। এর ফলে আপনি সেই মুহূর্তে যে লোকেশনে আছেন সেটি শেয়ার হয়ে যাবে। এবং আপনি নিজের ইচ্ছেমতো সময়সীমাও বেছে নিতে পারবেন। সেই সময় পর্যন্ত আপনার লোকেশন জানতে পারবেন ইউজাররা। কিন্তু চাইলেই নির্ধারিত সময়ের আগে লোকেশন শেয়ার করা বন্ধ করে দিতেও পারা যায়। সেজন্য ‘স্টপ শেয়ারিং’-এ ট্যাপ করলেই হয়।
এবার বলা যাক ‘ফেক কারেন্ট লোকেশন’-এর কথা। ডিজিটাল যুগে অনেক সময়ই অফিস বা অন্যত্র লোকেশন পাঠাতে হয় নিজের প্রকৃত অবস্থান জানাতে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্যতই তা শেয়ার করেন ইউজাররা। এই সব ক্ষেত্রে কিংবা অন্য কোনও কারণেও ফেক কারেন্ট লোকেশন পাঠানো হয়।
যাঁরা পাঠান, তাঁরা এজন্য একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করে নেন। গুগল প্লে স্টোরেই অ্যাপটি পাওয়া যায়। এর নাম জিপিএস এমুলেটর। এরপর ফোনে ডেভেলপার অপশনটি চালু করতে হয়। সেজন্য ডেভেলপার অপশনে গিয়ে ‘সিলেক্ট ফেক লোকেশন অ্যাপ’ সিলেক্ট করতে হয়। এরপর সার্চ বারে ইচ্ছেমতো লোকেশন বসিয়ে জিপিএস এমুলেটরের সবুজ বোতাম টিপে দিলেই শেয়ার হয়ে যায় সেই ভুয়ো লোকেশন।