আদালত প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার তার আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয় আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
শুনানিকালে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন, বুশরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। ১৫ ডিসেম্বর ডিবি-র্যাব আলাদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানাও শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন এবং বুশরার জামিনে তার আপত্তি আছে বলে জানিয়েছেন।
তবে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এই মামলায় বুশরা প্রধান আসামি। ঘটনার দিন রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি ফারদিনের সঙ্গেই ছিলেন।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের পর পুনরায় জামিন আবেদন করেন বুশরা। এরপর এ মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য গত ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর জামিন আবেদন খারিজ হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দায়ের করার ২ দিন পর গত ১০ নভেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বুশরাকে বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারদিনের বন্ধু বুশরা ও অজ্ঞাত এক আসামি তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। বুশরা ও ফারদিন গত ৪ বছর ধরে পরিচিত ছিলেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দিয়ে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।