ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে

পালন করেন না কোন জাতীয় দিবস: স্কুল ফান্ডের লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাত করেও বহাল তবিয়তে প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিন!

শ্রীপুর ( মাগুরা) প্রতিনিধি :

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কাদিরপাড়া সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম -দুর্নীতি ও রেজুলেশন খাতার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষকের সুয়োগ সুবিধা ভোগসহ বিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়াগেছে। জানাগেছে গত ২০১৩/১৪ সালে দিকে তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (ইউএনও) এর স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশ তৈরী অন্তে সেটি শিক্ষা অফিসে ও প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের সুবিধা ভোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত করা হয়। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার (প্রধান শিক্ষকের) বেতন ৫ বছরের বন্ধ ছিলো।

এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে ২টি ব্ল্যাং চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। অত:পর গত ০১/১২/২০২২ তারিখে ওই চেক ২টি জমা দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ১,৩২.৮০০/- (এক লক্ষ বত্রিশ হাজার আটশত) টাকা এবং জনতা ব্যাংক থেকে ৭১০০০/-(্একাত্তোর হাজার) টাকা তুলে নেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা তার কাছে এই টাকা কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে জানতে চান। তখন প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিন বলেন, তিনি কাউকে হিসাব দিতে বাধ্য নন। তিনি স্কুলের দায়িত্ব ও কর্তব্যে পালনেও সব সময় অবহেলা করে থাকেন। নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকেন না। আবার কখনো কখনো ছুঁটি না নিয়েই মামলা মোকর্দমার কাজে মাগুরা ফৌজদারী আদালতে উপস্থিত থাকেন অথচ: হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর দিয়ে রাখেন। তিনি স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকদের সাথে প্রায় রুঢ় আচরণ করেন। এমন কি অভিবাবকদের সাথেও অসাদাচরণ করেন। তিনি এই স্কুলে কোন জাতীয় দিবস পালন করেন না। যেমন.বিজয় দিবস,স্বাধীনতা দিবস,আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি। এসব দিবস পালনে সরকারি নির্দেশনা ও বাজেট থাকলেও তিনি সে সব দিবস পালন না করেই বরাদ্দকৃত টাকা তুলে নেন।

এমন কি জাতীয় সংগীতও সঠিকভাবে প্যারেড করান না। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তার এহেন অশিক্ষকসুলভ আচরণ এলাকার অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে। আরো জানাগেছে , এই প্রধান শিক্ষক স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ছেড়ে এখন মামলা মোর্কদ্দমা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকছেন। তিনি প্রায়ই (কর্মদিবসে) মাগুরায় অবস্থান করেন। মামলা মোর্কদ্দমার তদবীরে ছুঁটে বেড়ান এ কোর্ট থেকে ও কোর্টে। এতে করে কাদিরপাড়া সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান সর্বনিন্ম পর্যায়ে পৌছেছে। বিষয়টি শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হলে তিনি সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামকে তদন্তে পাঠান। তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে তাকেও নানা প্রকার অপমান জনক কথা বলে তাড়িয়ে দেন। এখানেই শেষ নয় ,এই প্রধান শিক্ষকের অসাদাচরণের কারণে কোন ভাল শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে এসে বেশিদিন চাকুরী করতে পারেন না। তিনি সহকারী শিক্ষকদের সাথে জঘন্য প্রকৃতির দুর্ব্যবহার করেন।

এ বিষয়ে কথা বললে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুঠোফোনে বলেন, প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিন আমাকে ভুল বুঝিয়ে ২ টি ব্ল্যাং চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। বলেছেন স্কুলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য তিনি মাত্র ৪০ হাজার টাকা তুলবেন। পরবর্তীতে তিনি প্রতারণা ও বিশ^াসঘাতকতা করে ২ টি চেক জমা দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮শত টাকা ও জনতা ব্যাংক থেকে ৭১ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। আমরা এই টাকা ব্যায়ের হিসাব চাইলে হিসাব না দিয়ে তিনি মাস্তানসুলভ আচরণ করছেন। আমরা এখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আপন ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের: অভিযোগ অনুসন্ধানকালে আরো জানা যায়, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তিনি তার আপন ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছেন। মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামে পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত ১৫ শতক জমি জবর দখল সংক্রান্তে তিনি গত ০৫/০২/২০২৩ ইং তারিখে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-শ্রীপুর ৮৪/২০২৩। এই মামলায় তিনি তার আপন ২ ভাই নাজমুল হক তুহীন ও মনিরুল হক মনিরকে বিবাদী করেন। এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, গত ইং ০৩/০২/২০২৩ তারিখে তার ২ ভাই লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তার জমিতে অনধিকারে প্রবেশ ও বেদখল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মনিরুল হক মনির এর পাসপোর্ট,বিমান টিকিট ও ভিসা সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা যায় গত ০৩/০২/২০২৩ ইং তারিখে তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না। তখন তিনি ভারতে অবস্থান করছিলেন।

অথচ: মামলার আরজিতে তিনি লিখেছেন যে, ওই দিন ও তারিখে বিবাদী মনির হোসেন দলবলসহ জমিতে উপস্থিত হয়ে দখল নেওয়ার চেষ্ঠা করেন। এর আগেও তিনি ২০২১ সালের ২৬/১১/২০২১ইং তারিখে তার ভাই মনিরুল হক মনির এর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন । যার নং ৫৩২/২০২১। সেই মামলাটিও আদালত খারিজ করে দেন। আদালতে শপথ করে এমন ডাহা মিথ্যা কথায় যে নারী মামলা করতে পারেন তার দ্বারা কাদিরপাড়া সরকারি প্রাইমারী বিদ্যালয়ের শিশু কিশোর শিক্ষার্থীরা কি আদর্শ শিক্ষা পাবেন সেটাই এখন সকলের প্রশ্ন। অন্যদিকে এই মামলারইবা গ্রহনযোগ্যতা থাকে কোথায়? এ প্রসংগে মাগুরা জেলা জজ কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবি বলেন, আদালতে শপথ করে মিথ্যা কথা বলার জন্য ওই বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী দন্ডবিধি আইনে মামলা হতে পারে। বিবাদীরা চাইলে মামলা করার সুযোগ আছে। এলাকাবাসী অতি সত্তর এই প্রধান শিক্ষকের যাবতীয় অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা

পালন করেন না কোন জাতীয় দিবস: স্কুল ফান্ডের লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাত করেও বহাল তবিয়তে প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিন!

আপডেট টাইম : ০৭:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

শ্রীপুর ( মাগুরা) প্রতিনিধি :

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কাদিরপাড়া সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম -দুর্নীতি ও রেজুলেশন খাতার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষকের সুয়োগ সুবিধা ভোগসহ বিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়াগেছে। জানাগেছে গত ২০১৩/১৪ সালে দিকে তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (ইউএনও) এর স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশ তৈরী অন্তে সেটি শিক্ষা অফিসে ও প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের সুবিধা ভোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত করা হয়। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার (প্রধান শিক্ষকের) বেতন ৫ বছরের বন্ধ ছিলো।

এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে ২টি ব্ল্যাং চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। অত:পর গত ০১/১২/২০২২ তারিখে ওই চেক ২টি জমা দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ১,৩২.৮০০/- (এক লক্ষ বত্রিশ হাজার আটশত) টাকা এবং জনতা ব্যাংক থেকে ৭১০০০/-(্একাত্তোর হাজার) টাকা তুলে নেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা তার কাছে এই টাকা কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে জানতে চান। তখন প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিন বলেন, তিনি কাউকে হিসাব দিতে বাধ্য নন। তিনি স্কুলের দায়িত্ব ও কর্তব্যে পালনেও সব সময় অবহেলা করে থাকেন। নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকেন না। আবার কখনো কখনো ছুঁটি না নিয়েই মামলা মোকর্দমার কাজে মাগুরা ফৌজদারী আদালতে উপস্থিত থাকেন অথচ: হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর দিয়ে রাখেন। তিনি স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকদের সাথে প্রায় রুঢ় আচরণ করেন। এমন কি অভিবাবকদের সাথেও অসাদাচরণ করেন। তিনি এই স্কুলে কোন জাতীয় দিবস পালন করেন না। যেমন.বিজয় দিবস,স্বাধীনতা দিবস,আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি। এসব দিবস পালনে সরকারি নির্দেশনা ও বাজেট থাকলেও তিনি সে সব দিবস পালন না করেই বরাদ্দকৃত টাকা তুলে নেন।

এমন কি জাতীয় সংগীতও সঠিকভাবে প্যারেড করান না। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তার এহেন অশিক্ষকসুলভ আচরণ এলাকার অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে। আরো জানাগেছে , এই প্রধান শিক্ষক স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ছেড়ে এখন মামলা মোর্কদ্দমা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকছেন। তিনি প্রায়ই (কর্মদিবসে) মাগুরায় অবস্থান করেন। মামলা মোর্কদ্দমার তদবীরে ছুঁটে বেড়ান এ কোর্ট থেকে ও কোর্টে। এতে করে কাদিরপাড়া সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান সর্বনিন্ম পর্যায়ে পৌছেছে। বিষয়টি শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হলে তিনি সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামকে তদন্তে পাঠান। তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে তাকেও নানা প্রকার অপমান জনক কথা বলে তাড়িয়ে দেন। এখানেই শেষ নয় ,এই প্রধান শিক্ষকের অসাদাচরণের কারণে কোন ভাল শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে এসে বেশিদিন চাকুরী করতে পারেন না। তিনি সহকারী শিক্ষকদের সাথে জঘন্য প্রকৃতির দুর্ব্যবহার করেন।

এ বিষয়ে কথা বললে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুঠোফোনে বলেন, প্রধান শিক্ষক সালমা ইয়াসমিন আমাকে ভুল বুঝিয়ে ২ টি ব্ল্যাং চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। বলেছেন স্কুলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য তিনি মাত্র ৪০ হাজার টাকা তুলবেন। পরবর্তীতে তিনি প্রতারণা ও বিশ^াসঘাতকতা করে ২ টি চেক জমা দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮শত টাকা ও জনতা ব্যাংক থেকে ৭১ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। আমরা এই টাকা ব্যায়ের হিসাব চাইলে হিসাব না দিয়ে তিনি মাস্তানসুলভ আচরণ করছেন। আমরা এখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আপন ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের: অভিযোগ অনুসন্ধানকালে আরো জানা যায়, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তিনি তার আপন ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছেন। মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামে পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত ১৫ শতক জমি জবর দখল সংক্রান্তে তিনি গত ০৫/০২/২০২৩ ইং তারিখে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-শ্রীপুর ৮৪/২০২৩। এই মামলায় তিনি তার আপন ২ ভাই নাজমুল হক তুহীন ও মনিরুল হক মনিরকে বিবাদী করেন। এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, গত ইং ০৩/০২/২০২৩ তারিখে তার ২ ভাই লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তার জমিতে অনধিকারে প্রবেশ ও বেদখল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মনিরুল হক মনির এর পাসপোর্ট,বিমান টিকিট ও ভিসা সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা যায় গত ০৩/০২/২০২৩ ইং তারিখে তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না। তখন তিনি ভারতে অবস্থান করছিলেন।

অথচ: মামলার আরজিতে তিনি লিখেছেন যে, ওই দিন ও তারিখে বিবাদী মনির হোসেন দলবলসহ জমিতে উপস্থিত হয়ে দখল নেওয়ার চেষ্ঠা করেন। এর আগেও তিনি ২০২১ সালের ২৬/১১/২০২১ইং তারিখে তার ভাই মনিরুল হক মনির এর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন । যার নং ৫৩২/২০২১। সেই মামলাটিও আদালত খারিজ করে দেন। আদালতে শপথ করে এমন ডাহা মিথ্যা কথায় যে নারী মামলা করতে পারেন তার দ্বারা কাদিরপাড়া সরকারি প্রাইমারী বিদ্যালয়ের শিশু কিশোর শিক্ষার্থীরা কি আদর্শ শিক্ষা পাবেন সেটাই এখন সকলের প্রশ্ন। অন্যদিকে এই মামলারইবা গ্রহনযোগ্যতা থাকে কোথায়? এ প্রসংগে মাগুরা জেলা জজ কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবি বলেন, আদালতে শপথ করে মিথ্যা কথা বলার জন্য ওই বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী দন্ডবিধি আইনে মামলা হতে পারে। বিবাদীরা চাইলে মামলা করার সুযোগ আছে। এলাকাবাসী অতি সত্তর এই প্রধান শিক্ষকের যাবতীয় অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।