বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালী সদর থানার এএসআই জুয়েল, সুবর্নচর উপজেলার নিশান নামের ছেলেটিকে তার মা-বোনকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করছেন, এমনটি তথ্য পাওয়া যায় একটি অডিও রেকর্ড ক্লিপে। সুত্রে জানা যায় নিশান সুবর্ণ উপজেলার আব্দুর রহিমের মেয়ে মোসাঃ রোকসানা আক্তারকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন এতে মেয়ের বাবা-মা রাজি না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন এবং অভিযোগের তদন্ত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান এএসআই জুয়েল। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় ঘটনা ঘটছে চরজব্বার থানায় কিন্তু নোয়াখালী সদর থানায় কিভাবে অভিযোগ হলো জানতে চাইলে এএসআই জুয়েল জানান আমার ইচ্ছায় মামলা হয়েছে, বাদীর যেখানে খুশি সেখানে মামলা করবে তাতে আইনি কোন বাধা নেই।
সুত্রে জানা যায়, এএসআই জুয়েল নিরীহ মানুষজনকে গাড়ীতে তুলে মাদক, ডাকাতি ও হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে থাকেন। আর সাধরণ জনগণের সাথে ব্যবহার করেন কর্কট ভাষায়।
নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চর তোরাব গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ছেলে নিশান (২২) জানান আমার ও আমার গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে মোসাঃ রোকসানা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে ফলে আমরা গত ৫ এপ্রিল ২০২৩ইং তারিখে কাজী অফিস থেকে রেষ্ট্রিমুলে দুইজনে বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হই। পরে মেয়ের বাবা নোয়াখালী সদর থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়, এর পর থেকে এএসআই জুয়েল আমার নিকট ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে। আমি দিতে রাজি না হলে সে আমাকে প্রতিদিন ফোন করে বিভিন্ন ভাষায় মা-বোনকে জড়িয়ে আমাকে গালিগালাজ করে।
এএসআই জুয়েলের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি কিছু বলিনি এই বলে মোবাইল ফোন কল কেটে দেন।