বিশেষ প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর যান্ত্রিক ও নৌ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক মো: আতাহার আলী সরদারের বিরুদ্ধে ১০ কর্মচারি বদলীতে ২০ লক্ষ টাকা ঘুস গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে তোলপাড় চলছে। ঘুসের বিনিময়ে পছন্দ মাফিক স্থানে কর্মচারি বদলী করা একটি গরহিত অপরাধ হলেও সেটিই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিধি মোতাবেক রুটিন বদলী হলে কর্মচারিদের কোন আপত্তি ছিল না।
কিন্ত ঘুসের বিনিময়ে পছন্দ মাফিক স্থানে কর্মচারি বদলী করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে তারা বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে তারা ওই বদলী আদেশ বাতিল এবং যান্ত্রিক ও নৌ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক মো: আতাহার আলী সরদারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে,বিআইডব্লিউটিএর প্রশাসন ও মানব সম্পদ শাখা েেথকে দপ্তর আদেশ নং ৩১৪১/২০২৩ স্মারক নং ০০.১১.০০০০.২২৪.৭৫.০০২২১.৭৪৫ তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২৩ মোতাবেক মোট ১০ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিকে নারায়ণগঞ্জ,খুলনা,সিরাজগঞ্জ ও চট্রগ্রামে বদলী করা হয়। এই আদেশ জারির পুর্বেই বদলী হতে ইচ্ছুক কর্মচারিদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। যে সব কর্মচারি চাহিদামত ২ লক্ষ টাকা দিতে পেরেছে তাকেই পছন্দমত জায়গায় বদলী করা হয়েছে ।
আর যে সব কর্মচারি চাহিদামত টাকা দিতে পারেনি তাদের বদলীও হয়নি। পরিচালক মো: আতাহার আলী সরদারের পক্ষে তার দুজন স্টাফ ঘুসের টাকা লেন দেন করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। সুত্রমতে, বিআইডব্লিউটিএর প্রশাসন ও মানব সম্পদ শাখা থেকে এই বদলী আদেশ জারি করা হলেও বদলীর তালিকা চুড়ান্ত করে প্রশাসন ও মানব সম্পদ শাখায় ফাইল জমা দিয়েছেন যান্ত্রিক ও নৌ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক মো: আতাহার আলী সরদার। পরবর্তীতে পরিচালক প্রশাসন ও মানব সম্পদের সাথে আদায়কৃত ২০ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রকৌশল বিভাগের নানা প্রকার অনিয়ম -দুর্নীতির অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে। সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বললে যান্ত্রিক ও নৌ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক মো: আতাহার আলী সরদার বলেন, রুটিন ওয়ার্কের আওতায় এই বদলী করা হয়েছে। কোন প্রকার টাকা পয়সা বা ঘুস লেনদেন হয়নি। আমার ওপর ক্ষুব্ধ কোন কর্মচারি এ ধরনের অপপ্রচার চালাতে পারে।