মো. জসিম উদ্দিন :
রাজধানী শাহআলী থানা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কিল-ঘুষিতে ওমর ফারুক নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা জাহানারা বেগম ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন শাহআলী থানায়। এ ঘটনায় আবু হানিফ রনি, সৌরভ ও রাহাত নামে তিনজনকে আটক করেছে শাহআলী থানা পুলিশ। আটক আবু হানিফ রনি শাহআলী থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক।
নিহত মো. ওমর ফারুক শাহ আলী থানার ডি ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ৩৫ নম্বর বাড়ির মৃত লোকমান শেখের ছেলে। তার গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ফারুক টায়ার ভলকানাইজিং নামের একটি দোকান রয়েছে।
নিহত ওমর ফারুকের মা জাহানারা বেগম মামলার অভিযোগে বলেন, শনিবার দিবাগত রাতের আমার ছেলে ওমর ফারুক তার দোকান থেকে বাসায় আসার জন্য রওনা হয়। রাত ৯টা ৪০ মিনিটের সময় আসামি মো. মীম, সৌরভ, লিয়ন, সৈকত, আবু হানিফ রনি এবং রোমান আহমেদ ছয়জন মিলে শাহআলী থানার ডি ব্লকের ২ নম্বর রোডের কাজী ফার্মার পাশে আসা মাত্র আমার ছেলেকে কিল-ঘুষি মারে। আমার ছেলে সেখান থেকে আমার বাসার সামনে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইন্সটিউটে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে শাহআলী থানার মামলার তদন্তকারি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর মো. মশিউর রহমান খবর বাংলাদেশকে বলেন, এ ঘটনায় মো. আবু হানিফ রনি, সৌরভ ও রাহাত নামের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আর বাকীদের আটক করতে অভিযান চলছে। কী কারণে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যার কারণটি এখন ধোঁয়াশা রয়েছে। বাকীদের আটক করতে পারলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।