গত ৩১ অক্টোবর থেকে তিন দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৩৪ স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ১৯টি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা মোট ৩৪টি স্থানে আগুন দেয়। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১২টি, ঢাকা বিভাগে (গাজীপুর, কালিয়াকৈর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ) ৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (সীতাকুণ্ড, কর্ণফুলি, রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, চাঁদপুর, বায়েজিদ) ৮টি, রাজশাহী বিভাগে (বগুড়া, রায়গঞ্জ) ৪টি, রংপুর বিভাগে (পার্বতীপুর) ১টি, বরিশাল বিভাগে (চরফ্যাশন) ১টি, ময়মনসিংহ বিভাগ (কেন্দুয়া) ১টি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৮টি বাস, ৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৫টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেটকার, ৩টি মোটরসাইকেল, ২টি বাণিজ্যিক পণ্যের শো রুম, ১টি পুলিশ বক্স পুড়ে যায়।
তিনি আরও জানান,পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা দেখা গেছে- দিনের বেলা থেকে রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এই ৩ দিনে মোট ৩৪টি আগুনের মধ্যে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত ১৯টি আগুনের ঘটনা ঘটে এবং বাকি ১৫টি দিনের অন্যান্য সময় সংঘটিত হয়েছে।
পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, দিনের বেলা সংঘটিত আগুনের মধ্যে দিনের শুরুতে অগ্নিকাণ্ড বেশি সংঘটিত হয়েছে। দিনের ১৫টি আগুনের ঘটনার মধ্যে সকাল ৬ থেকে সকাল ১১ টার মধ্যে ৯টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ১ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৮টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪টি, ময়মনসিংহ বিভাগে (কেন্দুয়া) ১টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (রাঙ্গুনিয়া, ফেনী) ২টি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ) ১টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫টি বাস, ১টি প্রাইভেটকার, ১টি ট্রাক পুড়ে যায়।
অপরদিকে ২৮ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত (৫ দিন) উচ্ছৃঙ্খল জনতা মোট ৮২টি স্থানে আগুন দেয় বলে সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯ টি, ৩০ অক্টোবর ১টি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।