যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর একটি চিঠি পেয়েছে বিএনপি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে চিঠিটি দেওয়া হয়।
আজ সোমবার রাতে চিঠি পাওয়ার কথা আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি।’
এর আগে বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কাছে চিঠি হস্তান্তর করেন পিটার হাস।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লুয়ের লেখা একটা চিঠি নিয়ে এসেছেন। তিনি চিঠিটা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করেছেন।’
একই চিঠি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছেও পাঠিয়েছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। তবে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোকে ডোনাল্ড লুর চিঠি দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চিঠিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সব দলকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বিকেলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলির পাঠানো জরুরি বার্তায় বলা হয়, আসন্ন নির্বাচন বিষয়ে মার্কিন অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করতে দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। তারা সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না জানিয়ে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বিবাদমান সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানায়। সেই সঙ্গে দূতাবাসের বার্তায় এটাও স্মরণ করানো হয় যে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করবে, তাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি কার্যকর হবে।