ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী আমেজ নেই জাপার প্রধান কার্যালয়ে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে নেই নির্বাচনী আমেজ। যদিও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাপার কিছু সংসদ সদস্যরা এসে জড়ো হচ্ছেন। তবে সেই সংখ্যাও খুবই কম। তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক কার্যালয়ে যেমন ভিড় থাকে সেই উৎসব এখনো পরেনি দলটির প্রধান কার্যালয়ে। রবিবার রাজধানীর বনানী জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন কমিশনে আলাদা দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। মহাজোট থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তবে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানিয়েছিলেন, তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী বাছাই বা মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। ফলে নির্বাচনের ব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে জাতীয় পার্টিতে (জাপা) রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের পক্ষের দ্বন্দ্ব নতুন করে সামনে এসেছে। আর নির্বচানে যাবে কি যাবে না এ নিয়ে নানা ধোঁয়াশা। যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে এখনো মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়নি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এখন কার্যালয়ে আসছেন না। পার্টির সিনিয়র নেতারা চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনার জন্য অপেক্ষায় আছেন। আর জাপার তৃণমূলের নেতাদের কাছে নির্বচনী বার্তা গেলেই মূলত প্রধান কার্যালয়ে ভিড় বাড়বে।

জাপার প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা ওমর ফারুক দেশ রূপান্তরকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা দলের চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছি। চেয়ারম্যান থেকে যে বার্তা দিবে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছে। সামনে এই সংখ্যা বাড়বে। তখন ঢাকাসহ দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসবেন এই জায়গায়। আর তখন আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা-উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এসে সমবেত হবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টি থেকে এক মনোনয়ন প্রত্যাশী দেশ রূপান্তরকে বলেন, এলাকায় নির্বাচনের জন্য সব কিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন দলের দিক নির্দেশনা পেলে বড় পরিসরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারব। তবে কবে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাব- সেটিও এখনো অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। তাই প্রধান কার্যালয়ে আসলাম।

নির্বাচন বর্জন বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী দেশ রূপান্তরকে বলেন, নির্বাচন বর্জন বিষয়ে তো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কিছু বলেননি। তাহলে নির্বাচন বর্জনের তো কোনো কথা নেই। আর জাতীয় পার্টির যারা সংসদ সদস্য প্রার্থী হবেন তারা সবাই নির্বচনী মাঠে প্রস্তুত আছে। তবে দলের চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। তিনি (জিএম কাদের) যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটিও আমরা সবাই পালন করব।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, রওশন এরশাদ একজন পৃষ্ঠপোষক। দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই। তাছাড়া, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভাজন নেই। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন এমনিই চিঠি দিয়েছেন। না বুঝে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাব। সঠিকভাবে নির্বাচন হলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। তাছাড়া জাতীয় পার্টি কোনো জোট কিংবা মহাজোটে যোগ দেবে না।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনী আমেজ নেই জাপার প্রধান কার্যালয়ে

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে নেই নির্বাচনী আমেজ। যদিও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাপার কিছু সংসদ সদস্যরা এসে জড়ো হচ্ছেন। তবে সেই সংখ্যাও খুবই কম। তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক কার্যালয়ে যেমন ভিড় থাকে সেই উৎসব এখনো পরেনি দলটির প্রধান কার্যালয়ে। রবিবার রাজধানীর বনানী জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন কমিশনে আলাদা দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। মহাজোট থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তবে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানিয়েছিলেন, তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী বাছাই বা মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। ফলে নির্বাচনের ব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে জাতীয় পার্টিতে (জাপা) রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের পক্ষের দ্বন্দ্ব নতুন করে সামনে এসেছে। আর নির্বচানে যাবে কি যাবে না এ নিয়ে নানা ধোঁয়াশা। যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে এখনো মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়নি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এখন কার্যালয়ে আসছেন না। পার্টির সিনিয়র নেতারা চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনার জন্য অপেক্ষায় আছেন। আর জাপার তৃণমূলের নেতাদের কাছে নির্বচনী বার্তা গেলেই মূলত প্রধান কার্যালয়ে ভিড় বাড়বে।

জাপার প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা ওমর ফারুক দেশ রূপান্তরকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা দলের চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছি। চেয়ারম্যান থেকে যে বার্তা দিবে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছে। সামনে এই সংখ্যা বাড়বে। তখন ঢাকাসহ দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসবেন এই জায়গায়। আর তখন আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা-উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এসে সমবেত হবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টি থেকে এক মনোনয়ন প্রত্যাশী দেশ রূপান্তরকে বলেন, এলাকায় নির্বাচনের জন্য সব কিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন দলের দিক নির্দেশনা পেলে বড় পরিসরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারব। তবে কবে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাব- সেটিও এখনো অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। তাই প্রধান কার্যালয়ে আসলাম।

নির্বাচন বর্জন বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী দেশ রূপান্তরকে বলেন, নির্বাচন বর্জন বিষয়ে তো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কিছু বলেননি। তাহলে নির্বাচন বর্জনের তো কোনো কথা নেই। আর জাতীয় পার্টির যারা সংসদ সদস্য প্রার্থী হবেন তারা সবাই নির্বচনী মাঠে প্রস্তুত আছে। তবে দলের চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। তিনি (জিএম কাদের) যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটিও আমরা সবাই পালন করব।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, রওশন এরশাদ একজন পৃষ্ঠপোষক। দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই। তাছাড়া, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভাজন নেই। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন এমনিই চিঠি দিয়েছেন। না বুঝে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাব। সঠিকভাবে নির্বাচন হলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। তাছাড়া জাতীয় পার্টি কোনো জোট কিংবা মহাজোটে যোগ দেবে না।’