বিশেষ প্রতিনিধি :
সরকারী দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার বিধান-সরকারের প্রচলিত নিয়মনীতির আলোকে। কোন ধরনের কাজ কোন আইন, বিধি-বিধান অনুসরণ করে সম্পাদন করতে হবে তার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা যাকে ইংরেজীতে বলা হয়ে থাকে গাইড লাইন। সরকারী কর্মচারীদের চাকুরী নিয়ন্ত্রনের জন্য আছে সরকারী চাকরি আইন-২০১৮, এটি একটি সংসদীয় আইন, আছে সরকারী কর্মচারী আচরণ (বিশেষ বিধিমালা) ১৯৭৯ সর্বশেষ সংশোধনীসহ বিশেষ অধ্যাদেশ। একজন সরকারী কর্মচারী সরকারী বিধি-বিধান, নিয়মনীতি মেনে কার্য সম্পাদনে অংগীকারাবদ্ধ। বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান সরকারের গ্রেড-১ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। বিসিকের চেয়ারম্যান পদে তিনি যোগদান করেছেন ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে। বিসিকে তার কর্মকাল নিরপেক্ষতার সাথে পর্যালোচনা একান্ত প্রয়োজন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/অধিদপ্তরে কর্মরত সরকারী কর্মচারীদের কার্যক্রমের সাথে সরকারের ভাবমূর্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বিসিকে চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর তিনি একের পর এক বিতর্কিত এবং উস্কানীমূলক কার্যক্রম সম্পাদন করে জাতির পিতার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বিসিকের কর্মকান্ডে গতিশীলতার পরিবর্তে এনেছেন স্থবিরতা, বঞ্চিত করে চলেছেন বিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্তি প্রদান হতে, অমানবিক আচরণ করে চলেছেন বিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে, একের পর এক অবমাননা করে চলেছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্র্টের আপীলেট ডিভিশনের আদেশ, প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মনগড়া আইনের অপপ্রয়োগ করে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বিসিকের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে। যার দরুন ৭ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিসিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, বিসিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ (পর্ব-২) বিসিকের চাকুরীতে নিয়োজিত নেই এমন ব্যক্তির নাম বিসিকের গ্রেডেশন তালিকায়, চূড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম, বিসিকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আইনের বত্যয়, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মরিয়া বিসিকের একটি মহল, বিসিকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, বিসিক অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার এক অনন্য নজির, বিসিকে রাজাকার প্রশাসন, জাতির পিতা ও জাতীয় শ্লোগান অবমাননাকারী পেলেন জাতীয় শুদ্ধাচার পুরষ্কার, বিসিকে সর্বোচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষিত প্রভৃতি শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ৩৫ (পয়ত্রিশ)-টির অধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যার একটি সংবাদেরও প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়নি। প্রচলিয় নিয়মে সংবাদ প্রকাশের ৭(সাত) দিনের মধ্যে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ না করলে প্রকাশিত সংবাদের সঠিকতা প্রমান করে অর্থাৎ প্রকাশিত সংবাদ সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ ছিল।
ভুলে গেছেন নিয়ম-অনিয়ম বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান এবং তার অধীনস্থ সরকারের যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব এবং বিসিকের কর্মকর্তাগণ। জাতির পিতা এবং জাতীয় শ্লোগান অবমাননার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদেরকে পুরষ্কৃত করার নজির স্থাপন করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান এবং তার অধীনস্থ মোঃ আহসান কবির, মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস এবং শ্যামলী নবী নামীয় তিনজন পরিচালক। পদ পদবীতে যারা সরকারের যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা। কৌশলগত অনিয়মের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান, বিসিকের পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, মোঃ আব্দুল মতিন এবং বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে বিসিকের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল পদবী-সম্প্রসারণ কর্মকর্তা) মোঃ মনির হোসেন। বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কাজে অর্র্থের যোগানদাতা হিসাবে, পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, পরিচালক মোঃ আব্দুল মতিন এবং বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনির হোসেন এর অর্থলিপ্সা পূরণের জন্য বেছে নিয়েছেন ইয়াসীর আরাফাত নামক প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর চুক্তিভিত্তিক পরিচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত একজন ব্যক্তিকে।
বর্তমানে বিসিকের যে কোন টেন্ডারের বা সরবরাহ কাজের ঠিকাদার মোঃ ইয়াসীর আরাফাত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন এর আওতাধীন প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর পরিচালক পদে নিয়োজিত থাকা স্বত্তেও সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তির বত্যয় ঘটিয়ে বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান, পরিচালক (অর্থ) কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, পরিচালক (প্রকল্প) আব্দুল মতিন এবং ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মনির হোসেন এর পারস্পারিক যোগসাজশে বিসিক ক্যামিকেল শিল্প পার্ক, মুন্সীগঞ্জ, বিসিক শিল্প পার্ক সিরাজগঞ্জ, বিসিক টাংগাইল শিল্প পার্ক, বিসিকের ৮টি শিল্প নগরী সংস্কার ও পুনর্বাসন এর ভৌত কাঠামো নির্মাণে/সংস্কার কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে এবং বিসিকের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল সরবরাহের কাজে মোঃ ইয়াসীর আরাফাত নিজ স্বাক্ষরে টেন্ডার দাখিল করেছেন এবং বিসিক চেয়ারম্যান ও বর্নিত ৩ জনের সহায়তায় ঠিকাদারী কাজ পেতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিসিকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ করছেন।
বিসিককে অস্তিত্ব সংকটে ফেলে একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার শত অপপ্রয়াস, ক্ষমতাসীন সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার কৌশলী চক্রান্ত, শত অনিয়মের সাথে যুক্ত থাকার পরও বিসিক চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান এর চাকুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য মোঃ ইয়াসীর আরাফাতের অর্থায়নে সুপারিশকারী রাজনৈতিক নেতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলে জাতীয় স্বার্থে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল। তাছাড়া মোঃ ইয়াসীর আরাফাত সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি ভংগ করে সরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থেকেও নিজ নামে এবং নিজ স্বাক্ষরে ঠিকাদারী কাজে নিয়োজিত থাকার কারণে তার প্রতিষ্ঠান আরাফাত কনষ্ট্রাকশন এর নামে দেয়া সকল কার্যাদেশ বাতিল করার এবং বিসিকের প্রায় সকল ঠিকাদারী কাজ তার প্রতিষ্ঠানের নামে পায়-