মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জ-১ আসন তথা শ্রীনগর-সিরাজদিখান আসনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে। নির্বাচন পরবর্তী এই সহিংসতায় অঙ্গহানী সহ বহু হতাহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা সতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীরের সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে। উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপার গ্রামের জামাল শেখের ছেলে নয়ন শেখ(২৫) এর হাতের কব্জী কেটে নেয়া, হিন্দু বাড়ীতে হামলা, শ্রীনগরে উপজেলার কয়কীর্তন গ্রামের আমির হোসেনকে মারধরসহ সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী গ্রামে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। এসব সহিংসতা বন্ধে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদের নিরব ভুমিকা পালনে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি করছে। এসব সহিংসতা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বর্তমান সংসদ সদস্যের ছেলে আনিসুর রহমান রিয়াদ তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোষ্ট শেয়ার করেন। আনিসুর রহমান রিয়াদের পোষ্ট টি হুবহু তুলে ধরা হলো”১জন পরাজিত প্রার্থী আমাদের বিজয়কে মেনে নিতে না পারে ফেইসবুক-সহ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমাদের কোন নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা কোন সহিংসতা মারামারি বা প্রতিহিংসায় জরিত হয়নি। যদি কোন এলাকায় কোন মারামারি হয়ে থাকে সেটা তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা জমি জমা সংক্রান্ত কেউ তাদের মিথ্যা প্রচারে বিশ্বাস করবেন না বিগত এক মাসে তাদের মুখে অনেক মিথ্যা এবং গুজব শুনেছেন সেই ধারাবাহিক মিথ্যা প্রচারে এখনো সে লিপ্ত আছেন। আপনাকে অনুরোধ করবো মিথ্যা ছেড়ে সত্যের পথে আসুন।”
এসব নিয়ে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীরের সমর্থকেরা আতঙ্কে জীবনযাপন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীরের এক সমর্থকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাকে যেখানে পাবে সেখানে দেখে নিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন জীবন হারানোর আশঙ্কায় ভুগছি।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রথমে ফোন করলে তিনি বলেন আমি মৃত বাড়ীতে আছি। পরে কথা বলবো বলে ফোন রেখে দেন ।
সিরাজদিখান থানার সহকারী পুলিশ সুপার(সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তফাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, আপনারা এই বিষয়ে অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা বলেন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এই বিষয়টি কঠোর ভাবে দেখছি। কব্জি কাটার ঘটনায় সাথে সাথে আমরা এক জনকে আটক করেছি। যদি আপনারা কোথাও সহিংসতার খবর পান আমাদের জানান। আমরা তা কঠোর হাতে দমন করবো।