ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খাল পরিষ্কার অভিযানে আমিনুল হক: জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরিবর্তন সম্ভব আদমদীঘিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বৃক্ষরোপন পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত পাবনায় রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে মানববন্ধন পলাশে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.)’র জশনে জুলুস সিরাজদিখানে ঈদে মিলাদুন্নবী ও জসনে জুলুস পালিত শরীয়তপুরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীর নদীতে পাওয়া রেজাউল বয়াতির লাশের রহস্য উদঘাটন বাউফলে সেই মাদ্রাসার তালা ভাঙ্গার ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত সম্পন্ন, দ্রুত ব্যবস্থা তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার কর্মসূচি জনমনে আশা জাগিয়েছে : কফিলউদ্দিন আহমেদ

পলাশকেই চায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলাবাসী

 

নাদিম আহমেদ অনিক, নিজস্ব প্রতিনিধি-

হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। ৩য় ধাপে আগামি ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

স্মার্ট উপজেলা বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ নিজ প্রতিক প্রচারণায় প্রার্থীরা দিন-রাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে উপজেলার চার পাশ। পাশাপাশি প্রার্থীদের প্রচারণায় মাইকের শব্দে মুখর অলিগলি।

সম্প্রতি চেয়ারম্যান পদের শালিক পাখি প্রতিকের প্রার্থী মো. মীর মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীকারী ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ৮ জন প্রার্থী। তাই এই ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে মূলত তীব্র লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলার জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান রয়েছে ‘টেলিফোন’ প্রতিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ এর নাম।

জীবন বৃত্তান্ত বিশ্লেষনে জানা যায়, প্রার্থী মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ একজন এ্যাডভোকেট। তিনি বঙ্গবন্ধু আইনজীবি পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখা কর্তৃক ‘জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশন’ নির্বাচন ২০১৬ ও ২০১৮ সালে সদস্য পদে মনোনয়ন প্রাপ্ত ও জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে নির্বাচিত। এরপর ২০১৯ সালে সহ-সাধারণ সম্পাদক, আপ্যায়ন, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক পদে মনোনয়ন প্রাপ্ত হোন।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, আসাদুজ্জামান পলাশ এর দাদা মৃত আলহাজ্ব বাদেশ আলী প্রামানিক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৪নং পারইল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রথম মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি পারইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিন অন্যতম সদস্য ছিলেন।

সৎ, নির্ভীক ও সুশিক্ষিত হবার পাশাপাশি রাণীনগর উপজেলাবাসীর নানান বিপদ-আপদে সহযোগীতার হাত প্রথমেই আসাদুজ্জামান পলাশ এর থাকে বলে তাকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করতে চান বলে মন্তব্য করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

উপজেলার বেদগাড়ি এলাকার বাসিন্দা, ভুট্টু, জাহিদুল, আসলাম ও রফিকুল বলেন, একটি ভোটের মূল্য আছে তাই আমরা ভোটগুলো যোগ্য প্রার্থীকে দিতে চাই। আসাদুজ্জামান পলাশ ভাই শিক্ষিত, সুন্দর মনের ও প্রতিবাদী। আমরা তাকেই নির্বাচিত করতে চাই।

রাণীনগর সদরের বাসিন্দা কাজী শিরু জানান, নানান মামলা মোকদ্দমা সহ বিভিন্ন বিপদে পলাশ ভাইকে নিঃস্বার্থে পাশে পেয়েছি। অন্য কাওকে নয় আমি তাকেই যোগ্য হিসাবে মনে করি। আমার পরিবারতো তাকে ভোট দিবেই পাশাপাশি অন্যরা যেন পলাশ ভাইকে ভোট দেয় তার জন্য চেষ্টা করছি।

পারইল ইউনিয়নের বাসিন্দা এস.এ বিপ্লব, সোহেল, শাকিলা আক্তার, পান্না সহ আরও অনেকে বলেন, তাকেই নির্বাচিত করা উচিৎ যে এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারের যোগ্য। পলাশ ভাই সবার থেকে এগিয়ে। তিনি শিক্ষিত, ন্যায় পরায়ন ও পরোপকারী। তাকেই আমরা সবাই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই।

রাণীনগর স্টেশন এলাকার বাসিন্দা শাহিন, কাজী বেলাল ও স্বর্ণা বেগম  সহ আরও কয়েকজন বলেন, আমরা সচেতন নাগরিক তাই ভোট নষ্ট করতে চাইনা যোগ্য প্রার্থী পলাশভাইকে সব সময় পাশে পেয়েছি, ভোটের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ারে পলাশ ভাইকে বসাতে চাই।

মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, উপজেলাবাসীর ইচ্ছাতেই আমি নির্বাচন করছি। মানুষের জন্য প্রকৃতপক্ষে আরও কাজ করতে পারবো যদি নির্বাচিত হই। আমার প্রতিক ‘টেলিফোন’। আমার উপজেলার মানুষ আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে, তাদের ভালোবাসায় আশা রাখছি ইনশাল্লাহ্ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আমার জয় হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

খাল পরিষ্কার অভিযানে আমিনুল হক: জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরিবর্তন সম্ভব

পলাশকেই চায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলাবাসী

আপডেট টাইম : ০৮:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

 

নাদিম আহমেদ অনিক, নিজস্ব প্রতিনিধি-

হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। ৩য় ধাপে আগামি ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

স্মার্ট উপজেলা বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ নিজ প্রতিক প্রচারণায় প্রার্থীরা দিন-রাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে উপজেলার চার পাশ। পাশাপাশি প্রার্থীদের প্রচারণায় মাইকের শব্দে মুখর অলিগলি।

সম্প্রতি চেয়ারম্যান পদের শালিক পাখি প্রতিকের প্রার্থী মো. মীর মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীকারী ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ৮ জন প্রার্থী। তাই এই ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে মূলত তীব্র লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলার জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান রয়েছে ‘টেলিফোন’ প্রতিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ এর নাম।

জীবন বৃত্তান্ত বিশ্লেষনে জানা যায়, প্রার্থী মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ একজন এ্যাডভোকেট। তিনি বঙ্গবন্ধু আইনজীবি পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখা কর্তৃক ‘জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশন’ নির্বাচন ২০১৬ ও ২০১৮ সালে সদস্য পদে মনোনয়ন প্রাপ্ত ও জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে নির্বাচিত। এরপর ২০১৯ সালে সহ-সাধারণ সম্পাদক, আপ্যায়ন, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক পদে মনোনয়ন প্রাপ্ত হোন।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, আসাদুজ্জামান পলাশ এর দাদা মৃত আলহাজ্ব বাদেশ আলী প্রামানিক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৪নং পারইল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রথম মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি পারইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিন অন্যতম সদস্য ছিলেন।

সৎ, নির্ভীক ও সুশিক্ষিত হবার পাশাপাশি রাণীনগর উপজেলাবাসীর নানান বিপদ-আপদে সহযোগীতার হাত প্রথমেই আসাদুজ্জামান পলাশ এর থাকে বলে তাকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করতে চান বলে মন্তব্য করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

উপজেলার বেদগাড়ি এলাকার বাসিন্দা, ভুট্টু, জাহিদুল, আসলাম ও রফিকুল বলেন, একটি ভোটের মূল্য আছে তাই আমরা ভোটগুলো যোগ্য প্রার্থীকে দিতে চাই। আসাদুজ্জামান পলাশ ভাই শিক্ষিত, সুন্দর মনের ও প্রতিবাদী। আমরা তাকেই নির্বাচিত করতে চাই।

রাণীনগর সদরের বাসিন্দা কাজী শিরু জানান, নানান মামলা মোকদ্দমা সহ বিভিন্ন বিপদে পলাশ ভাইকে নিঃস্বার্থে পাশে পেয়েছি। অন্য কাওকে নয় আমি তাকেই যোগ্য হিসাবে মনে করি। আমার পরিবারতো তাকে ভোট দিবেই পাশাপাশি অন্যরা যেন পলাশ ভাইকে ভোট দেয় তার জন্য চেষ্টা করছি।

পারইল ইউনিয়নের বাসিন্দা এস.এ বিপ্লব, সোহেল, শাকিলা আক্তার, পান্না সহ আরও অনেকে বলেন, তাকেই নির্বাচিত করা উচিৎ যে এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারের যোগ্য। পলাশ ভাই সবার থেকে এগিয়ে। তিনি শিক্ষিত, ন্যায় পরায়ন ও পরোপকারী। তাকেই আমরা সবাই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই।

রাণীনগর স্টেশন এলাকার বাসিন্দা শাহিন, কাজী বেলাল ও স্বর্ণা বেগম  সহ আরও কয়েকজন বলেন, আমরা সচেতন নাগরিক তাই ভোট নষ্ট করতে চাইনা যোগ্য প্রার্থী পলাশভাইকে সব সময় পাশে পেয়েছি, ভোটের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ারে পলাশ ভাইকে বসাতে চাই।

মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, উপজেলাবাসীর ইচ্ছাতেই আমি নির্বাচন করছি। মানুষের জন্য প্রকৃতপক্ষে আরও কাজ করতে পারবো যদি নির্বাচিত হই। আমার প্রতিক ‘টেলিফোন’। আমার উপজেলার মানুষ আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে, তাদের ভালোবাসায় আশা রাখছি ইনশাল্লাহ্ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আমার জয় হবে।