ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ
ডিজি শিপিং-এ আইন লংঘনের মহোতসব!

৫ বছরের অধিক প্রেষনে দায়িত্ব পালন করছেন চীফ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল কবীর!

  1. বিশেষ প্রতিবেদক :

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো: মনজুরুল কবীর ২০১৮ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে প্রেষনে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে পর পর দুই জন চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও একজন সার্ভেয়ার ( সম্ভাব্য চীফ ইঞ্জিনিয়ার) দুদকের মামলায় গ্রেফতার হলে , অধিদপ্তরে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের দুই জন প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত ও শাস্তি হলে তারা চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। অধিদপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকলে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় দ্রত সময়ের মধ্যে জনাব মনজুরুল কবীরকে মেরিন একাডেমি থেকে প্রেষণে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিয়োগ দেয়। উল্লেখ্য মনজুরুল কবীর একজন মেরিন প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন। অভ্যন্তরীন নৌ সেক্টর সম্পর্কে তার তেমন কোন ধারনা ছিলো না। অভ্যন্তরীন নৌ সেক্টর সম্পর্কে ধারনা না থাকায় পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উনার ব্যাপারে বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং উনার কম্র্ দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে । একাধিকবার বিভিন্ন পত্রিকায় তার অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হয় । গত বছর তার বিরুদ্ধে ডিজি শিপিং এর সামনে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
মনজুরুল কবীর নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে প্রেষনে যোগদান করেন ২০২৮ সালে এবং অদ্যাবধি চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। কিন্তু সরকারী কর্মচারী প্রেষন বিধিমালা-২০২০ অনুযায়ী “ কোন কর্মচারী প্রেষেনে একই পদে ০৫ পাঁচ বছরের বেশী কাজ করতে পারবে না”। কিন্তু মনজুরুল কবীর ৫ বছরের অধিক সময় ধরে প্রেষনে একই পদে কাজ করে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের আইন পরিপন্থী।
অধিদপ্তরে একাধিক যোগ্য কর্মকর্তা থাকার পরও এখনো কেনো ভারপ্রাপ্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিপার্টমেন্ট চলছে, এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে কর্মকর্তাদের মধ্যে। ভারপ্রাপ্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল কবীরের অভ্যন্তরীন নৌ সেক্টর সম্পর্কে ধারনা ও অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে তিনি ডিপার্টমেন্টের দৃশ্যমান কোন উন্নতি করতে পারেন নি। অভ্যন্তরীন নৌযান ও নৌ ব্যবসায় কোন কোন প্রকার কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় নৌযানের নকশা অনুমোদন, সার্ভে, রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার জনস্বার্থ বিরোধী নিয়ম চালু করেন । সার্ভেতে সার্ভে অফিস নির্ধারণ করে দেয়া, সার্ভেয়ার নির্ধারণ করে দেয়া , পছন্দের সার্ভেয়ারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য তিনি এসব কাজ করতেন মর্মে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও তিনি অধিদপ্তরের অস্থায়ী কর্মকর্তা হওয়ায় ডিপার্টমেন্ট প্রতি তার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বার বার । তাই ডিপার্টমেন্ট সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাওয়া একজন পূর্ণকালীন যোগ্য চীফ ইঞ্জিনিয়ার।
আইন লংঘন করে একজন কর্মচারী ৫ বছরের অধিক প্রেষনে কাজ করে যাওয়ায়; ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। একজন কর্মচারী ৫ বছরের অধিক প্রেষনে কাজ করছে এ ব্যাপারে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় কেন বেখবর বা আইন মেনে কেনো এখনো নতুন চীফ ইঞ্জিনিয়ার কেন নিয়োগ হচ্ছে না এ নিয়ে বিভিন্ন কানাঘুষা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার প্রভাব খাটিয়ে বা মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে এই পদে থেকে যেতে চাচ্ছেন। শোনা যায়, মনজুরুল কবীর কিছু নিকটাত্মীয় প্রভাবশালী আমলা। তাদের মাধ্যমে সুপারিশ করে তিনি ঢাকায় থাকতে চান। কারণ তিনি প্রকৃতপক্ষে মেরিন একাডেমী, চট্টগ্রামে চাকরি করতেন। পরিবার থাকে ঢাকায়। তাই তিনি পরিবারের সাথে ঢাকায় থাকার জন্য চট্টগ্রাম যেতে চান না।
একাধিক বিশ্বস্থ মাধ্যমে জানা যায়, তিনি মাস্টার ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় অনিয়ম করে দালাল তুষারের মাধ্যম বিপুল টাকা কাম্ইা করেন। এই সুবিধা যেন বন্ধ না হয়, তাই তিনি বিধি লংঘন করে ডিজি শিপিং এ স্থায়ী বা আরোও যতদিন থাকা যায় সেই চেষ্টা করছেন। এ দিকে মনজুরুল কবীর ৫ বছরের অধিক সময় ধরে প্রেষনে একই পদে থাকায় নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় নতুন চীফ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। সেমতে অধিদপ্তর থেকে দুই কর্মকর্তার নাম সুপারিশ করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এমএমডি অফিসের ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার এহতেছানুল হক ফকির রয়েছেন।
চীফ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ বিধিমালায় ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম যোগ্য নন মর্মে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন । তারপরও কেন তার নাম সুপারিশ করা হলো এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । এর পূর্বে ডিজি শিপিং এর ইঞ্জিনিয়ার বাশার তার রাজনৈতিক ও ডিজির সাথে সুসম্পর্ক এর প্রভাব খাটিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চেষ্টা করেছেন। সর্বশেষ জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম এর পিতা একজন সক্রিয় জামায়াত কর্মী । ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম এরও জামায়াত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তাই নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তার ফাইল ফেরত দেন। এই সুযোগে সার্ভেয়ার এহতেছানুল হক ফকির চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে লবিং করার চেষ্টা করেন। সূত্র অনুসারে জানা যায়, এহতেছানুল হক ফকির চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য প্রায় কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট

ডিজি শিপিং-এ আইন লংঘনের মহোতসব!

৫ বছরের অধিক প্রেষনে দায়িত্ব পালন করছেন চীফ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল কবীর!

আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  1. বিশেষ প্রতিবেদক :

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো: মনজুরুল কবীর ২০১৮ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে প্রেষনে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে পর পর দুই জন চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও একজন সার্ভেয়ার ( সম্ভাব্য চীফ ইঞ্জিনিয়ার) দুদকের মামলায় গ্রেফতার হলে , অধিদপ্তরে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের দুই জন প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত ও শাস্তি হলে তারা চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। অধিদপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকলে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় দ্রত সময়ের মধ্যে জনাব মনজুরুল কবীরকে মেরিন একাডেমি থেকে প্রেষণে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিয়োগ দেয়। উল্লেখ্য মনজুরুল কবীর একজন মেরিন প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন। অভ্যন্তরীন নৌ সেক্টর সম্পর্কে তার তেমন কোন ধারনা ছিলো না। অভ্যন্তরীন নৌ সেক্টর সম্পর্কে ধারনা না থাকায় পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উনার ব্যাপারে বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং উনার কম্র্ দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে । একাধিকবার বিভিন্ন পত্রিকায় তার অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হয় । গত বছর তার বিরুদ্ধে ডিজি শিপিং এর সামনে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
মনজুরুল কবীর নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে প্রেষনে যোগদান করেন ২০২৮ সালে এবং অদ্যাবধি চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। কিন্তু সরকারী কর্মচারী প্রেষন বিধিমালা-২০২০ অনুযায়ী “ কোন কর্মচারী প্রেষেনে একই পদে ০৫ পাঁচ বছরের বেশী কাজ করতে পারবে না”। কিন্তু মনজুরুল কবীর ৫ বছরের অধিক সময় ধরে প্রেষনে একই পদে কাজ করে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের আইন পরিপন্থী।
অধিদপ্তরে একাধিক যোগ্য কর্মকর্তা থাকার পরও এখনো কেনো ভারপ্রাপ্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিপার্টমেন্ট চলছে, এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে কর্মকর্তাদের মধ্যে। ভারপ্রাপ্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল কবীরের অভ্যন্তরীন নৌ সেক্টর সম্পর্কে ধারনা ও অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে তিনি ডিপার্টমেন্টের দৃশ্যমান কোন উন্নতি করতে পারেন নি। অভ্যন্তরীন নৌযান ও নৌ ব্যবসায় কোন কোন প্রকার কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় নৌযানের নকশা অনুমোদন, সার্ভে, রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার জনস্বার্থ বিরোধী নিয়ম চালু করেন । সার্ভেতে সার্ভে অফিস নির্ধারণ করে দেয়া, সার্ভেয়ার নির্ধারণ করে দেয়া , পছন্দের সার্ভেয়ারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য তিনি এসব কাজ করতেন মর্মে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও তিনি অধিদপ্তরের অস্থায়ী কর্মকর্তা হওয়ায় ডিপার্টমেন্ট প্রতি তার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বার বার । তাই ডিপার্টমেন্ট সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাওয়া একজন পূর্ণকালীন যোগ্য চীফ ইঞ্জিনিয়ার।
আইন লংঘন করে একজন কর্মচারী ৫ বছরের অধিক প্রেষনে কাজ করে যাওয়ায়; ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। একজন কর্মচারী ৫ বছরের অধিক প্রেষনে কাজ করছে এ ব্যাপারে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় কেন বেখবর বা আইন মেনে কেনো এখনো নতুন চীফ ইঞ্জিনিয়ার কেন নিয়োগ হচ্ছে না এ নিয়ে বিভিন্ন কানাঘুষা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার প্রভাব খাটিয়ে বা মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে এই পদে থেকে যেতে চাচ্ছেন। শোনা যায়, মনজুরুল কবীর কিছু নিকটাত্মীয় প্রভাবশালী আমলা। তাদের মাধ্যমে সুপারিশ করে তিনি ঢাকায় থাকতে চান। কারণ তিনি প্রকৃতপক্ষে মেরিন একাডেমী, চট্টগ্রামে চাকরি করতেন। পরিবার থাকে ঢাকায়। তাই তিনি পরিবারের সাথে ঢাকায় থাকার জন্য চট্টগ্রাম যেতে চান না।
একাধিক বিশ্বস্থ মাধ্যমে জানা যায়, তিনি মাস্টার ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় অনিয়ম করে দালাল তুষারের মাধ্যম বিপুল টাকা কাম্ইা করেন। এই সুবিধা যেন বন্ধ না হয়, তাই তিনি বিধি লংঘন করে ডিজি শিপিং এ স্থায়ী বা আরোও যতদিন থাকা যায় সেই চেষ্টা করছেন। এ দিকে মনজুরুল কবীর ৫ বছরের অধিক সময় ধরে প্রেষনে একই পদে থাকায় নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় নতুন চীফ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। সেমতে অধিদপ্তর থেকে দুই কর্মকর্তার নাম সুপারিশ করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এমএমডি অফিসের ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার এহতেছানুল হক ফকির রয়েছেন।
চীফ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ বিধিমালায় ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম যোগ্য নন মর্মে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন । তারপরও কেন তার নাম সুপারিশ করা হলো এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । এর পূর্বে ডিজি শিপিং এর ইঞ্জিনিয়ার বাশার তার রাজনৈতিক ও ডিজির সাথে সুসম্পর্ক এর প্রভাব খাটিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চেষ্টা করেছেন। সর্বশেষ জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম এর পিতা একজন সক্রিয় জামায়াত কর্মী । ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম এরও জামায়াত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তাই নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তার ফাইল ফেরত দেন। এই সুযোগে সার্ভেয়ার এহতেছানুল হক ফকির চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে লবিং করার চেষ্টা করেন। সূত্র অনুসারে জানা যায়, এহতেছানুল হক ফকির চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য প্রায় কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।