ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ছোরা, দুটি লোহার রড, একটি লোহার হাতুড়ি ও একটি সেলাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ফরিদপুর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফরিদপুরের জেলা সদরের পরমানন্দপুর এলাকার আতিয়ার শেখ (৩৮), নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার মো. কবির হোসেন (৪৩), একই উপজেলার জালাকান্দী এলাকার সাইদুল ইসলাম (৪১), ওই উপজেলার কাইমপুর এলাকার হৃদয় (৩৫), শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার চর বয়রা এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ও ওই উপজেলার চরনারায়নপুর এলাকার ফরহাদ হোসেন (৩২)।
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, গত ১৩ জুন রাতে ফরিদপুরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গোসাই ভাবুকদিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতি করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ জুন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তার আগে গত ১০ জুন গোসাই ভাবুকদিয়ার পাশের গ্রাম পরমানন্দপুরে পান্না বেগমের বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা হয়েছে থানায়। এরপর এসব ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, প্রথমে ডাকাত চক্রের ওই সদস্যদের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের সনাক্ত ও তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। পরে ফরিদপুর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। তিনি বলেন, তারা দিনের বেলায় শ্রমিকের রুপ ধারন করেন, আর রাত হলে বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কবির হোসেনের নামে সাতটি, সাইদুল ইসলামের নামে নয়টি, হৃদয়ের নামে পাঁচটি ও সাইফুল ইসলামের নামে একটি মামলা রয়েছে।
সংঘবদ্ধ এই আন্তঃজেলা ডাকাতদলের বিষয়ে আরো তথ্য জানতে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তুহিন লস্কর, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কোতয়ালী জোন) আব্দুল মতিন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহাবুল করিম সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।