স্টাফ রিপোর্টার :
আজ ২৭ জুন ২০২৪ দুপুরে ঢাকার ফার্মগেট, খামারবাড়িতে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (বাজেট) বরুণ দত্ত একদল ঠিকাদার ও কৃষক লীগ নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
দলীয় পরিচয়ধারী কয়েকজন ঠিকাদার ও কৃষক লীগ নেতাদের অনৈতিক দাবী পুরণ করতে রাজি না হওয়ায় এই ঘটনার সুত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, আজ দুপুর ১.৩০ মিনিটের সময় কৃষক লীগ নেতা ও ঠিকাদার সমীর ও হাবিবের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (বাজেট) বরুণ দত্তের কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে দরজা লক করে দেন। এরপর কক্ষের ভেতরে প্রচন্ড চেঁচামেচি ও হট্টগোলের আওয়াজ শোনা যায়।
এ সময় মহাপরিচালক
মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। তবে পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর ও অন্যান্য কর্মকর্তারা পাশের কক্ষে অবস্থান করলেও পরিচালক বাজেটকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি।
ঘটনার নেপথ্যে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি নিয়ে মলয় কুমার শূর ও বরুণ দত্তের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে বলে একাধিক সুত্র দাবী করেছে।
কিছুক্ষণ পর দলীয় পরিচয়ধারী ঠিকাদার কাম নেতারা বেরিয়ে যান।
তখন পরিচালক (বাজেট) বরুণ দত্তকে ভীতসন্ত্রস্ত দেখাচ্ছিলো। তিনি সাথে সাথে বিষয়টি পরিচালক প্রশাসন মলয় কুমার শূরকে অবগত করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেননি।
এ ঘটনার পর গোটা অধিদপ্তরে আতংক নেমে আসে। অন্যান্য কর্মকর্তারা দাপ্তরিক কর্ম ত্যাগ করে পরিচালক প্রশাসনের কক্ষে ছুঁটে আসেন এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানের দাবী জানান।
দলীয় পরিচয়ধারী ঠিকাদার কাম নেতারা আইন অমান্য করে একটি সরকারী অফিসে অনধিকার প্রবেশ করতঃ একজন সরকারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করলেও তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এ ঘটনার পেছনে পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর এর ইন্ধন রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
উল্লেখ্য যে পরিচালক (বাজেট) বরুণ দত্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপির এলাকার লোক।
বিষয়টি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
মোঃ রেয়াজুল হক জসিম,পরিচালক (প্রশাসন)
মলয় কুমার শূর ও পরিচালক (বাজেট) বরুণ দত্তের মোবাইলে বারবার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।