মাহামুদুন নবী (মাগুরা) :
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলাধীন নহাটা ইউনিয়নের চাকুলিয়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চলমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অর্ধশত ঘর ভাংচুর ও ৬ জন আহত হয়। আহতদের মাগুরা, মহম্মদপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুরাপ এর সমর্থক মোহাম্মদ আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান আলী মিয়ার সমর্থক এবং ইউপি সদস্য খালিদ হোসেন টোকন এর বড় ভাই কাসেদ মোল্লার সাথে চাকুলিয়া উত্তর পাড়া মোকারমের চায়ের দোকানে বাকবিতন্ডা হয়।এই ঘটনার জানাজানি হলে
বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুরাপের লোকজন সংঙ্গবদ্ধ হয়ে ইউপি সদস্য টোকন মেম্বারের লোকজনের উপরে হামলা করে ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাতে অকর্কিত হামলার সময় উভয় পক্ষের ৩৫ জন ব্যক্তির ১১ টি দোকান ঘর সহ অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।এছাড়াও ইউপি সদস্য খালিদ হোসেন টোকন এর ১ টি প্রাইভেট কার, ১ টি ট্রাক্টর গাড়ী ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।
হামলায় উভয় পক্ষের ৬ জন লোক আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।আহতরা হলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী কলেজ ছাত্রী মোছাঃ অন্তরা (১৭) পিতা -হিরুন শেখ, ইমন শেখ (১৮) পিতা-খোকন শেখ,আজিজুল মোল্যা (১৬) পিতা- লিটন মোল্যা, কুদ্দুস শেখ (৭৫) পিতা-মৃত কালু শেখ, মিনহাজ (১৮) পিতা-নজরুল মোল্যা,পলাশ (২৬) পিতা-ইশারত মোল্যা আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যান্যরা মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন আহতদের পরিবার।
বুধবার নহাটা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমরা সাবেক চেয়ারম্যানের সাথে সামাজিক দল করি।কিন্তু কিছুদিন যাবৎ বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুরাপ বিভিন্ন লোকজন দিয়ে তার দলে যোগ দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। তার দলে যোগ না দেওয়ার কারণে তিনি তার লোকজন দিয়ে আমার লোকদের উপরে হামলা করেছে।সাবেক চেয়ারম্যান আলী মিয়ার সমর্থক আবু সাইদ বলেন,আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আকস্মিক ভাবে আমার মার্কেটে এসে একদল দুর্বৃত্ত কারী তান্ডব চালায় এতে আমার মার্কেট এর বেশ কয়েকটি দোকানঘর ভাংচুর হয়েছে এবং লুটপাট হয়েছে। আমি এর নায্য বিচার চাই।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উল ইসলাম বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে হামিদ নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে।এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নহাটার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুরাপ কৌশলে বিষয় টি এড়িয়ে যান।