ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলা: প্রতিবাদে মানববন্ধন মীমাংসিত সম্পত্তি দাম বেড়ে যাওয়ায় পূর্ণরায় দখলের পাঁয়তারা কালিহাতীতে সবজি চাষে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ: প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন আদমদীঘিতে হত্যার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণ: অতঃপর গ্রেপ্তার কালিয়াকৈরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত অবৈধ ম্যাজিক জাল উদ্ধারে গিয়ে গ্রামপুলিশ আহত আদমদীঘিতে উপজেলা ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে আড়ম্বরপূর্ণভাবে কালবেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্নীতি ও লুটপাটের পরেও অর্থনীতি টিকে আছে পোশাক শিল্পের উপর- উপদেষ্টা আসিফ অনলাইনে সরব: অডিও কলে সমন্বয়ককে ধমকালেন সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান

মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট

মোঃ সোহেল রানা :
রাজধনী, মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট এর সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমী। প্রধান শিক্ষকা জিনাত ফারহানার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ।

তথ্য সুত্রে জানা যায় অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা ২৮ শে মার্চ ২০১৬ সালে বহিষ্কার হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ১৩ মার্চ ২০১৭ সালে যোগদান করেন। সরকারি চাকুরী বিধি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কোন নিয়োগ বক্স কোন ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডার যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা এমনকি কোন আবেদন গ্রহণ করা হয়নি তথ্য মতে রাতের অন্ধকারে নিয়োগ হয়েছে বলে একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকদের দাবী। একাধিক সূত্রে জানাগেছে বর্তমানের সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর বিরুদ্ধে রয়েছে নানান ধরনের অভিযোগ। ২৩/০৮/২০২৩ ইং তারিখে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকাকে মানুষিক ও শারীরিক যৌন নির্যাতন করেন যাহা সুনাম ধন্য পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি মহিলা প্রতিষ্ঠানে এরকম জঘন্যতম কাজ করার পরও আহমাদ উল্লাহ কাশেমী এখনো বহাল তবিয়তে চাকুরী করিতেছে।

একাধিক সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দু’জনেই খুব ক্ষমতাধর ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ কোন অভিযোগ করেন তাদের কে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করার ভয় দেখান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটি কে হাতে রেখে স্কুলের বিভিন্ন ভুয়া উন্নয়নমূলক কাজ দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে প্রধান শিক্ষক জিনাত ফারহানা ও সহকারী শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর নেতৃত্বে আরো আটজন শিক্ষকরা মিলে ৭তলা ভবন নির্মাণ করেছেন যাহার ঠিকানা বাড়ী -২৫ /ট/২.লেন-১৫/ব্লক -সি,এভিনিউ/৫ সেকশন -১১মিরপুর ঢাকা ১২১৬ । এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা বাড়িটিকে আইডিয়াল প্যালেস নামেই চিনেন। স্কুলের ভুয়া উন্নয়নমূলক কাজ দেখিয়ে ভুয়া বিল বানিয়ে অর্থ আত্বসাত ২০১৫ সালে মাঠের চারপাশের লোহার খাঁচা বিক্রি করে অর্থ আত্বসাত,এসি ইলেকট্রিক লাইন এর বিল ১৯০০০ হাজার ভবনের পানির টাংকি পরিস্কার বাবদ ৭০ হাজার ১২ পিচ পদার বাবদ ৫৮ হাজার স্কুলের এনেক্স ভবনের সংস্কার বাবদ ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৮২ টাকা। এভাবে ৩১/০৮/ ২০২০ ইং তারিখে কমিটির অনুমোদন ছাড়া জিনাত ফারহানা নিজ স্বাক্ষরিত নোটে ২.৫৫.৬৬২ টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও জিনাত ফারহানা অবৈধ উত্তকোচের বিনিময় সামরিক বরখাস্ত সহকারী শিক্ষক মুন্সি আব্দুল জলিল কে ৮.১৭.০৭২/টাকার মধ্যে ১ম কিস্তি ১.৯০.৭৯০ টাকা প্রদান করেন যা নিয়ম কানুন অনুযায়ী অবৈধ। এছাড়া তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সরকারি বিধিবিধান না মেনে সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা কালীন জনাব জিনাত ফারহানা ১৫ জন চাকুরী প্রার্থীর নিকট হতে জন প্রতি ৭/৮ লক্ষ টাকা করে অনুমানিক ১.২০.০০.০০০/ এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা নেন এবং নিজ হাতে তালিকা লেখা অধ্যক্ষ জনাব নাসরিন নাহারের দেন।

অবৈধ নিয়োগ ১৫ জন শিক্ষকের বর্তমানে ৯ জনের বেতন স্কেল ১১ তম এবং ৬ জনের বেতন স্কেল ১০ম। একাধিক সূত্রে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমী মিলে মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট স্কুলে রাজত্ব কায়েম করছে। সকল অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে একাধিক বার ফোন দিলেও মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নাই । পরবর্তীতে সরাসরি কথা বলার জন্য মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট স্কুল মিরপুর ১০ ঠিকানায় গেলে সাংবাদিক পরিচয় দিলে স্কুলের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেননি। কর্তব্যরত সিকিউরিটি ও স্কুলের গেটে দারোয়ান বলেন সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ উপরের আদেশ। এই বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ আব্দুল মজিদ প্রতিবেদক বলেন আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আরও বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্ব দেখুন………….।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলা: প্রতিবাদে মানববন্ধন

মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট

আপডেট টাইম : ১০:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

মোঃ সোহেল রানা :
রাজধনী, মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট এর সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমী। প্রধান শিক্ষকা জিনাত ফারহানার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ।

তথ্য সুত্রে জানা যায় অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা ২৮ শে মার্চ ২০১৬ সালে বহিষ্কার হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ১৩ মার্চ ২০১৭ সালে যোগদান করেন। সরকারি চাকুরী বিধি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কোন নিয়োগ বক্স কোন ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডার যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা এমনকি কোন আবেদন গ্রহণ করা হয়নি তথ্য মতে রাতের অন্ধকারে নিয়োগ হয়েছে বলে একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকদের দাবী। একাধিক সূত্রে জানাগেছে বর্তমানের সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর বিরুদ্ধে রয়েছে নানান ধরনের অভিযোগ। ২৩/০৮/২০২৩ ইং তারিখে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকাকে মানুষিক ও শারীরিক যৌন নির্যাতন করেন যাহা সুনাম ধন্য পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি মহিলা প্রতিষ্ঠানে এরকম জঘন্যতম কাজ করার পরও আহমাদ উল্লাহ কাশেমী এখনো বহাল তবিয়তে চাকুরী করিতেছে।

একাধিক সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দু’জনেই খুব ক্ষমতাধর ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ কোন অভিযোগ করেন তাদের কে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করার ভয় দেখান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটি কে হাতে রেখে স্কুলের বিভিন্ন ভুয়া উন্নয়নমূলক কাজ দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে প্রধান শিক্ষক জিনাত ফারহানা ও সহকারী শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর নেতৃত্বে আরো আটজন শিক্ষকরা মিলে ৭তলা ভবন নির্মাণ করেছেন যাহার ঠিকানা বাড়ী -২৫ /ট/২.লেন-১৫/ব্লক -সি,এভিনিউ/৫ সেকশন -১১মিরপুর ঢাকা ১২১৬ । এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা বাড়িটিকে আইডিয়াল প্যালেস নামেই চিনেন। স্কুলের ভুয়া উন্নয়নমূলক কাজ দেখিয়ে ভুয়া বিল বানিয়ে অর্থ আত্বসাত ২০১৫ সালে মাঠের চারপাশের লোহার খাঁচা বিক্রি করে অর্থ আত্বসাত,এসি ইলেকট্রিক লাইন এর বিল ১৯০০০ হাজার ভবনের পানির টাংকি পরিস্কার বাবদ ৭০ হাজার ১২ পিচ পদার বাবদ ৫৮ হাজার স্কুলের এনেক্স ভবনের সংস্কার বাবদ ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৮২ টাকা। এভাবে ৩১/০৮/ ২০২০ ইং তারিখে কমিটির অনুমোদন ছাড়া জিনাত ফারহানা নিজ স্বাক্ষরিত নোটে ২.৫৫.৬৬২ টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও জিনাত ফারহানা অবৈধ উত্তকোচের বিনিময় সামরিক বরখাস্ত সহকারী শিক্ষক মুন্সি আব্দুল জলিল কে ৮.১৭.০৭২/টাকার মধ্যে ১ম কিস্তি ১.৯০.৭৯০ টাকা প্রদান করেন যা নিয়ম কানুন অনুযায়ী অবৈধ। এছাড়া তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সরকারি বিধিবিধান না মেনে সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা কালীন জনাব জিনাত ফারহানা ১৫ জন চাকুরী প্রার্থীর নিকট হতে জন প্রতি ৭/৮ লক্ষ টাকা করে অনুমানিক ১.২০.০০.০০০/ এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা নেন এবং নিজ হাতে তালিকা লেখা অধ্যক্ষ জনাব নাসরিন নাহারের দেন।

অবৈধ নিয়োগ ১৫ জন শিক্ষকের বর্তমানে ৯ জনের বেতন স্কেল ১১ তম এবং ৬ জনের বেতন স্কেল ১০ম। একাধিক সূত্রে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমী মিলে মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট স্কুলে রাজত্ব কায়েম করছে। সকল অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আহমাদ উল্লাহ কাশেমীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে একাধিক বার ফোন দিলেও মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নাই । পরবর্তীতে সরাসরি কথা বলার জন্য মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট স্কুল মিরপুর ১০ ঠিকানায় গেলে সাংবাদিক পরিচয় দিলে স্কুলের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেননি। কর্তব্যরত সিকিউরিটি ও স্কুলের গেটে দারোয়ান বলেন সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ উপরের আদেশ। এই বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ আব্দুল মজিদ প্রতিবেদক বলেন আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আরও বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্ব দেখুন………….।