সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন আবাসিক হলে বিক্ষোভ করে ভাঙচুর চালিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ভাঙচুর করার একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে অভিযান চালায়।এ সময় সভাপতির কক্ষের ভেতরে পিস্তল, রামদা ও বিদেশি মদ দেখা গেছে। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে বিপুল সংখ্যক ফেন্সিডিলের বোতল পেয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তার ভিডিও ধারণ করে।
বিশ্ব গণমাধ্যমে কোটা আন্দোলনে নিহতের খবরবিশ্ব গণমাধ্যমে কোটা আন্দোলনে নিহতের খবর
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালাচ্ছেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বাবুর ২৩০ নম্বর কক্ষে অভিযান চালায়। এ সময় তার কক্ষে দুইটি পিস্তল (গান), দুইটি রামদা ও পাঁচটি মদের বোতল দেখা যায়।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু হলের ২২৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের কক্ষে ১৫-২০ টি ফেন্সিডিলের বোতল পাওয়া গেছে৷ যার সবগুলোই খালি বোতল। এগুলো জব্দ করার জন্য বঙ্গবন্ধু হলের হল প্রাধ্যক্ষ ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হককেও জানানো হয়েছে।
শহীদ হতে চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওয়াসিমশহীদ হতে চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওয়াসিম
এরপর একাধিকবার আন্দোলনকারীরা ওই পিস্তল নিতে আসেন। তবে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের বাধা দেন। এতে তারা ফিরে যায়।
রাত ৮টা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এসব অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। তবে সেখানে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
জাবি থেকে ছাত্রলীগকে বের করে দিয়ে ‘প্রবেশ নিষেধ’ পোস্টারজাবি থেকে ছাত্রলীগকে বের করে দিয়ে ‘প্রবেশ নিষেধ’ পোস্টার
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রথম দফায় হামলার সময় আমার রুমে অস্ত্র রেখে গিয়েছে। দ্বিতীয়বার হামলার সময় সেই অস্ত্র সাংবাদিকদের ডেকে দেখিয়েছে। এই অস্ত্রগুলো আমার নয়। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন হলে হলে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুমে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের। নেতাকর্মীদের সার্টিফিকেট জ্বালিয়ে দিয়েছে। এটি পরিকল্পিত হামলা ছিল। যারা হামলা করেছে তারা শিক্ষার্থী নয়, তারা বিএনপি-জামাতের জঙ্গি।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।